হাইতি প্রজাতন্ত্র ১৮০৪ সালের ১ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। এইদিন হাইতির জাতীয় দিবস।
হাইতির জাতীয় পতাকা আয়তাকার। জাতীয় পতাকার রঙ নীল ,লাল এবং সাদা। পতাকার মাঝখানে হাইতির জাতীয় সংগীতের ডিজাইন করা।হাইতির জাতীয় পতাকার রঙ ফরাসী পতাকার রঙ-এর আদলে তৈরি হয়েছে।
হাইতি ক্যারেবিয়েনের পশ্চিম তীরে হাইতি দ্বীপে অবস্থিত। হাইতিতে প্রচুর পাহাড় রয়েছে।
হাইতির জনসংখ্যা ৮৩.০৪ লক্ষ। জনগণের মধ্যে কৃষ্ঞাঙ্গ প্রায় ৯৫ শতাংশ। হাইতির জনসংখ্যা লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যে প্রথম স্থানে রয়েছে। রাষ্ট্রীয় ভাষা হলো ফরাসী এবং ক্রিওলে ভাষা। জনগণের মধ্যে ৯০ শতাংশ ক্রিওলে ভাষা ব্যবহার করে। অধিবাসিদের ৮০% ক্যাথলিক খ্রীষ্টান , ৫% প্রোটেস্ট্যান্ট খ্রীষ্টানধর্ম বিশ্বাস করে।
হাইতির রাজধানী পোর্ট অব-প্রিন্স ।ওই স্থানে একটি বিখ্যাত পোর্ট রয়েছে। রাজধানীর জনসংখ্যা প্রায় ১০ লক্ষ।
হাইতিকে নয়টি প্রদেশে ভাগ করা হয়েছে। প্রদেশগুলো হলো উত্তরপশ্চিম, উত্তর, উত্তরপূর্ব, আটিবোনিটে, মাঝখান, পশ্চিম, দক্ষিণপূর্ব, দক্ষিণ এবং ক্রান্তআনসে।
রাজনীতিঃ ১৯৮৭ সালে হাইতির নতুন সংবিধান প্রণয়ন করা হয়েছে। নতুন সংবিধান অনুযায়ী , প্রেসিডেন্ট গণতান্ত্রিক নির্বাচনে নির্বাচিত হন। তাঁর কার্য-মেয়াদ পাঁচ বছর। প্রেসিডেন্ট হলেন রাষ্ট্রপ্রধান এবং সরকারের প্রধান। তাঁর প্রশাসনিক ক্ষমতা রয়েছে। সংসদ রাষ্ট্রীয় আইন সংস্থা। মন্ত্রীসভা হলো সরকারের প্রশাসনিক সংস্থা। প্রধানমন্ত্রী আর মন্ত্রীসভার সদস্যরা প্রেসিডেন্টের কাজে সহযোগিতা প্রদান করেন।
অর্থনীতিঃ হাইতি একটি উন্নয়নমূখী দেশ। কৃষি হাইতির প্রধান অর্থনৈতিক উপকরণ। কিন্তু হাইতির কৃষির ভিত্তি ততো মজবুত নয়।
পররাষ্ট্র নীতিঃ হাইতি আত্মনিয়ন্ত্রন আর অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ না করার পররাষ্ট্র নীতি অনুসরণ করে।
|