ইউরোপীয় ইউনিয়ন অর্থাত্ ই-ইউ'র পালাক্রমিক সভাপতি রাষ্ট্র লুক্সেমবোর্গের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জীন আসেলর্বন ১৫ জুন বলেছেন, ১৬ জুন অনুষ্ঠিতব্য ইইউ শীর্ষ সম্মেলনকে প্রচন্ড ভারি দায়িত্ব পালন করতে হবে। এই সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী রাষ্ট্রীয় বা সরকার প্রধানরা "ই-ইউ সংবিধান চুক্তির" ভবিষ্যত নিয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
জীন আসেলর্বন বলেছেন, ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ড গণভোটের মাধ্যমে এ চুক্তি প্রত্যাখ্যান করেছে বলে ই-ইউ'র উচিত এ চুক্তি অনুমোদনের প্রক্রিয়া এবং তার ভবিষ্যতের ব্যাপারে মতৈক্য অর্জন করা। নইলে, ই-ইউ'র সামগ্রিক ভাবমূর্তির ওপর দারুণ কু-প্রভাব পড়বে।
অন্য খবরে প্রকাশ, ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডসের ই-ইউ সংবিধান চুক্তি প্রত্যাখ্যানের প্রভাবে পর্তুগাল, জর্মানি এবং লুক্সেমবোর্গ ইত্যাদি দেশে এ চুক্তির প্রতি সমর্থন হার কমে যাচ্ছে।
পর্তুগালের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিওগো ফ্রেইটাস দি আমারাল ১৫ জুন বলেছেন, পর্তুগীজ সরকার এ চুক্তি অনুমোদনের প্রক্রিয়া স্থগিত রাখবে এবং সামনের অক্টোবরে অনুষ্ঠিতব্য গণভোটও পিছিয়ে দেবে।
জার্মানির প্রেসিডেণ্ট ভবন একই দিন এক বিবৃতিতে বলেছে, প্রেসিডেণ্ট হর্স্ট কোহলার ই-ইউ সংবিধান চুক্তির আদেশপত্র স্বাক্ষর করবেন না।
ই-ইউ পরিষদের চেয়ারম্যান জোসে ম্যানুয়েল বারোসো ১৫ জুন ই-ইউ'র সদর দফতরে বলেছেন, ই-ইউ'র উচিত এ চুক্তির অনুমোদনের প্রক্রিয়া স্থগিত রাখা এবং এ নিয়ে চিন্তা করা।
|