প্রশ্নকর্তাঃবাংলাদেশের ঢাকার খিলগাঁও থানার তালতলার সৈয়দা নাজমুন নাহার লক্ষী প্রশ্ন করেছেন ।
উত্তরঃপোতালা প্রাসাদ সমুদ্র-সমতল থেকে ৩৭০০ মিটার উঁচু , এর মোট আয়তন ৩.৬ লক্ষ বর্গমিটারেরও বেশী, প্রধান ভবন ১১৭ মিটার উঁচু, মোট ১৩ তলা । এর মধ্যে প্যাগোডা,প্রাসাদ,মন্দির, আঙ্গিনা, সন্ন্যাসীর ভবন ইত্যাদি দালান আছে এবং পোতালা প্রাসাদকে বিশ্বের সর্বোচ্চ ও বৃহত্ কেল্লা বলা যায় । পোতালা প্রাসাদের গায়ে প্রধানত লাল, সাদা, হলুদ তিনটি রং আছে । তিব্বতী জাতির স্থাপত্যশিল্পের বৈশিষ্ট্য প্রতিফলিত হয়েছে । পোতালা প্রাসাদ ইতিহাস থেকে তিব্বত অঞ্চলেরলামার ভবন এবং ইতিহাসে তিব্বত অঞ্চলের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় কেন্দ্র ছিল । পঞ্চম দালাই লামা থেকে গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় আর রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সবাই সেখানে সৃষ্ট হয়েছে । পোতালা মানে বুদ্ধের ধ্যাণ করার স্থান । ৬৩১ সালে পোতালা প্রাসাদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । তখনকার মোট ৯৯৯টি রুম প্রতিষ্ঠিত হয়েছে । পোতাদা প্রাসাদের প্রধান স্থাপত্যশিল্প হচ্ছে সাদা প্রাসাদ আর লাল প্রাসাদ । সাদা প্রাসাদ দালাই লামার প্রাসাদ এবং সাবেক তিব্বত সরকারের কার্যালয় ছিলো । মোট ৭টি তলা আছে এবং এর আয়তন ৭১৭ বর্গমিটার,সেখানে হল দালাই লামার গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় ও সরকারী তত্পরতা চলতো ।
লাল প্রাসাদে মোট ৮টি লামা প্যাগোডা রয়েছে । এগুলোর মধ্যে পঞ্চম দালাই লামার প্যাগোডা সবচেয়ে বড় । এর পশ্চিম দিকে পোতালা প্রাসাদের সবচেয়ে বড় রুম , এর মোট আয়তন ৭২৫ বর্গমিটার ,গোটা রুমের দেয়ালে ফ্রেসকোর আঁকার ছবি আছে । ত্রয়োদশ দালাই লামার প্যাগোডা হল পোতালা প্রাসাদের সর্বশেষ স্থাপত্যশিল্প । ১৯৩৩ সালে এর গঠনকাজ শুরু হয়েছে । তিন শতাধিক বছর ধরে পোতালা প্রাসাদে প্রচুর ইতিহাসিক দেহাবশেষ সংগ্রহ করা হয়েছে । এদের মধ্যে ২৫০০ বর্গমিটার জুড়ে ফ্রেসকোর আঁকা ছবি , হাজার প্যাগোডা, কয়েক ডজন মূর্তি এবং বহু পাণ্ডুলিপি অতিমূল্যবান । ১৯৯৪ সালের ডিসেম্বর মাসে পোতালা প্রাসাদ বিশ্বের উত্তরাধিকার তালিকাভুক্ত হয়েছে ।
|