মহাশূন্য সীমাহীন । এ পযর্ন্ত কেউই জানেন না যে ,মহাশূন্য কত বড় । মহাশূন্যের সীমা কোথায় এই প্রশ্নের উত্তর বৈজ্ঞানিকরা পযর্ন্ত দিতে পারেন না । কিছু বৈজ্ঞানিকের অনুমান ,মহাশূন্যে প্রায় একশো বিলিয়নেরও বেশী গ্যালাক্সি আছে ,আর ছায়াপথ সেগুলোর মধ্যে একটি মাত্র । শুধু ছায়াপথেই একশো বিলিয়নেরও বেশী নক্ষত্র আছে ,আমাদের অতিপরিচিত সূয সেগুলোর মধ্যে সাধারণ একটি মাত্র ।
মহাশূন্য এত বিশাল যে ,আলোকবর্ষ দিয়ে নক্ষত্রগুলোর মধ্যকার ব্যবধান হিসাব করতে হয় । আলো এক বছরের মধ্যে যত ব্যবধান অতিক্রম করে ,এক আলোকবর্ষের ব্যবধান ততই ,অথার্ত্ প্রায় দশ হাজার বিলিয়ন কিলোমিটার ।
আমাদের পৃথিবী সৌরজগতে অবস্থিত । এই সৌরজগতের কথাই ধরা যাক , তার দুই প্রান্তের মধ্যে সরাসরি ব্যবধান প্রায় বারো বিলিয়ন কিলোমিটার । যদি আমরা আলোর গতির মতো দ্রুত রকেটযোগে ছায়াপথে ভ্রমণ করতে যাই তাহলে ছায়াপথের কেন্দ্রস্থলে পৌঁছুতে অন্তত: তেইশ হাজার বছর সময় লাগবে । ছায়াপথের ব্যাস এক লক্ষ আলোকবর্ষ ।
যদি আমরা আলোর গতির মতো দ্রুত রকেটযোগে মহাশূন্যে ভ্রমণ করতে যাই তাহলে সূযের নিকটতম নক্ষত্র স্ব-প্রজ্জ্বলিত নক্ষত্রে পৌঁছুতে অন্তত: চার বছর সময় লাগবে । পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব চার দশমিক তিন আলোকবর্ষ অথার্ত্ চল্লিশ হাজার ছয়শো আটাত্তর বিলিয়ন কিলোমিটার । যদি একই বেগে অব্যাহতভাবে আরো সামনে এগিয়ে যাই তাহলে আরেকটি গ্যালাক্সিতে পৌঁছুতে এক লক্ষ ষাট হাজার বছর সময় লাগবে ।
মহাশূন্যের শেষ যে কোথায় ? এ পযর্ন্ত বৈজ্ঞানিকরা পরিমাপক যন্ত্র ব্যবহার করে মহাশূন্যে ত্রিশ কোটি আলোকবর্ষ দূরের জায়গা দেখতে পেয়েছেন এবং সেখানে অনেক গ্যালাক্সি আবিষ্কার করেছেন । কোনো কোনো জ্যোতিবির্দ এমন কি দশ বিলিয়ন আলোকবর্ষেরও বেশী দূরের জায়গায় গ্যালাক্সির অস্তিত্ব পযবেক্ষণ করতে পেরেছেন । আরো দূরের জায়গা আমাদের কাছে এখনো একটি প্রশ্নচিণ্হ । মহাশূন্য সীমাহীন ,হয়তো তার আদৌ কোনো সীমা নেই ।
|