v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-06-14 17:37:44    
সংখ্যালঘু জাতির ঐতিহ্যিক সংস্কৃতি রক্ষার ক্ষেত্রেচীনের সরকারের অর্জিত সক্রীয় সাফল্য

cri
    চীন হচ্ছে একটি বহুজাতিক দেশ। ৫৫টি সংখ্যালঘু জাতির যোট জনসংখ্যা বারো কোটি। এদের অধিকাযশই চীনের পশ্চিমানঞ্চলে বসবাস করেন।শত শত বছর ধরে চীনের বিভিন্ন সংখ্যালঘু জাতি যাব যাব স্বতন্ত্র সংস্কৃতি সৃষ্টি করেছে। এই সব সংস্কৃতি চীনাজাতির গোটা সংস্কৃতিকে আরো সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময় করে তুলেছে।

    গত শতাদ্ধীর চল্লিশের দশকের শেষদিকে চীন গণ প্রজাতন্ত্র প্রতিশষ্ঠিত হওয়ার আগে শৈল্পিক রত্ন "বারো মোকামের" উপর গথোপসুক্তভাবে গুবুতৃ দেয়া হয় নি এবং রক্ষা করা হয় নি। যাতে উইঘুব জাতির এই সাংস্কৃতিক সম্পদ বংশপরম্পরায় চলতে থাকে সেজন্যে চীন সরকার গত শতাব্ধীর পন্চাশের দশক শক থেকে জবুবীবীওতে রক্ষা ও পুনীবন্যাসের কাজ চালিয়েছে এবং ষাটের দশকে "বারো মোকাম" সংগীতের পূর্ণাংগ পুস্তক প্রকাশ করেছে। গত বছরের শেষদিকে "বারো মোকামেব" কিছু কিছু সংগীতের সি.ডি.আর ভি.সি.ডি. ও প্রকাশিত হয়েছে। তাছাড়া চীনের জাতীয় তথ্য প্রকাশনা বিভাগ "বারো মোকামের সি.ডি.আর ভি.সি.ডি প্রকাশনাকে ২০০১"থেকে ২০০২ সালের গুরুত্বপূর্ণ কাজকর্মের তালিকায়াও অন্তর্ভুক্ত করেছে।

    "বারো মোকামের" সি.ডি.আর ভি.সি.ডি বেকডিংয়ের কাজ সম্পর্কে সিংচিয়াংয়ের বেতার, ছায়াছবি ও টেলিভিশন ব্যুরোর উপ প্রধান আব্লের আদ্ধুজাইন গভীর আবেগের সংগে বলেছেন, "কেন্দ্রীয় সরকার আর বিভিন্ন স্তরের স্থানীয় সরকার আর বিভিন্ন জাতির সংশ্লিষ্ট কর্মীদের অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফলেই" বারো মোকামের সি.ডি.আর ভি.সি. ডি. রেকডিং সম্ভব হয়েছে।আর্থিক অভাব সেটানোর জন্য রাষ্ট্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয় বিশ লক্ষ ইউয়ান রেনমিপি অর্থ ববাদ্দ করেছে। জাতীয় বেতার ছয়য়াছবি ও টেলিভিশন সাধারণ ব্যুরো কয়েক লক্ষ ইউয়ান রেনমিনপি মূল্যের ডিজিটাল বেকডিং সবজ্ঞাম সরবরাহ করেছে এবং সাধারণ সুদক্ষ ক্যামেরামেন পাঠিয়েছে।"

    সাম্প্রতিক বছরগুলোতে টীনের বিভিন্ন সংখ্যালঘু জাতি অধ্যুষিত এলাকা-গুলোতে সংখ্যালঘু জাতির প্রাচীন বইপুস্তক সাজানোর বিস্তর সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং বিভিন্ন সংখ্যালঘু জাতির প্রাচীন দলিলিদি জবুবীভিত্তিতে রক্ষা করে সাজিয়ে প্রকাশ করা হয়েছে। চীনের সংখ্যালঘু জাতির প্রাচীন বইপুস্তক গবেষণাগারের পরিচালক লি তংসেন আনিসংগিক অবস্থা সম্পর্কে বলেছেন, "এপর্গন্ত এখনো সংরক্ষাত একমাত্র সংস্করণের অনেক মূল্যবান প্রাচীন বইপুস্তক, মূল্যাবান দুর্লভ প্রাচীন বইপুস্তক আর শ্রেষ্ঠ প্রাচীন বইপুস্তক সহ সংখ্যালঘু জাতির প্রায় তিন লক্ষ ধরনের প্রাচীন বইপুস্তক জবুরীভিত্তিতে রক্ষা করে সাজনো হয়েছে এবং মংগোলিয় জাতির চিয়াং কে আর, কিবগিজ জাতির মানাস আর তিব্বতীজাতির কেশের বাজার জীবনী এই তিনটি বিখ্যাত বীবত্বপূর্ণ মহাকাব্য সহ সংখ্যালঘু জাতির বিপুল পরিমান মূল্যাবান ও প্রভাবশালী প্রাচীন বইপুস্তক প্রকাশ করা হয়েছে। "

    বিশ্বের দীর্ঘতম ঐতিহ্যসিক মহাকাব্য "কেসের রাজার জীবনী" এক হাজার বছরেরও বেশী সময় আগে বচিত হয়। এটি হচ্ছে ছিন হাই-তিব্বত মালভূমির প্রাচীনকালের সমাজ সম্পর্কিত তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক একটি বিশ্বকোষ।

    গত প্রায় বিশ বছর ধরে চীন সরকার বিপুলভাবে জবীপ চালিয়েছে ও "কেসের বাজার জীবনী" রক্ষা করেছে এবং পরপর কয়েক শো বিদ্যাগত পর্যবেক্ষক ও বৈজ্ঞানিক গবেষণা বাহিনী সংগঠিত সংগ্রহ ও সাজানোর কাজ করেছে।

    জানা গেছে, ১৯৯৬ সাল থেকে চীনের সংখ্যালঘু জাতির প্রাচীন বইপুস্তক সংরক্ষণ ও গবেষণাগার চীনের সংখ্যালঘু জাতির বআ পুস্তকের সূচীপত্র সম্পাদনা ও লেখার কাজ সংঘঠিত করতে শুরু করেছে।এই সূচীপত্র পঁচান্নটি অধ্যায় নিয়ে গঠিত। প্রতিটি সংখ্যালঘু জাতির একটি করে অধ্যায় থাকবে। এতে সাধিকভাবে চীনের পঁচান্নটি সংখ্যালঘু জাতির ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক সম্পদ বিবৃতি করা হবে। এই শতাদ্ধীউত্তর সাংস্কৃতিক প্রবল্প ২০০৮ সালে সম্পন্ন হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। অর্থবিনিয়োগের মোট পরিমান হবে প্রায় চল্লিশ কোটি ইউয়ান রেনমিনপি।

    সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সংখ্যালঘু জাতির ঐতিহ্যিক সাংস্কৃতিক বীতিনীতি রক্ষা করার জন্য চীন কিছু কিছু সংখ্যালঘু জাতি অধ্যুষিত অঞ্চলে সংখ্যালঘু জাতির যাদুঘর আর সংখ্যালঘু জাতির রীতিনীদি প্রচলন এলাকাও গড়ে তুলেছে। চীনের জাতীয় সংখ্যালঘু জাতিবষয়িক কমিশনের সংস্কৃতি প্রচার বিভাগের উপপ্রধান ছেন ইউ ছি বলেছেন, "ভবিষতের কাজকর্মে জনসংখ্যা এক লক্ষের নীচে এখন বাইশটি সংখ্যালঘু জাতির উপর প্রধান্য দেয়া হবে। এই সব সংখ্যালঘু জাতীর সাকার ও নিরাকার পুরাকীতিগুলোকে রক্ষা করা হবে। সরকার কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে অর্থববাদ্দের মাত্রা বাড়াবে"

    অপেক্ষাকৃত কম জনসংখ্যার সংখ্যালঘু জাতিগুলোর ঐতিহ্যিক সংস্কৃতি রক্ষার দৃষ্টান্ত সংবাদদাতাও দক্ষীণপশ্চিম চীনের ইউন্নান প্রদেশের সিমুয়াংপান্না অঞ্চলের চিনোজাতি অধ্যুষিত একটি গ্রামে দেখতে পেয়েছেন। চিনোজাতির মোট জনসংখ্যা বিশ হাজারেরও কম। গত বছরের মে মাসে ইউন্নান প্রদেশের চিনোজাতি অধ্যুষিত পাখাগ্রামে সংশ্লিষ্ট বিভাগ চিনো-জাতির একটি যাদুঘর গড়ে তুলেছে। এটি চীনের ছোটো গ্রামে প্রতিষ্ঠিত একমাত্র সংখ্যালঘু জাতির যাদুঘরও বটে।