১৯৯১ সালের জানুয়ারী মাসের প্রথম দিকে কোন এক রাতে না পারি কইতে না পারি সইতে গানটি শোনার মধ্য দিয়ে সি আর আই সাথে আমার যাত্রার সূচনা হয়। তখন আমি MW রেডিও মারফতে অনুষ্ঠান শুনতাম, চীন দেশের প্রতি আমার আগে থেকেই কৌতুহল ছিল প্রচুর, পাশাপাশি দুর্বলতা ছিল। সেহেতু চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠানের প্রতি দূর্বল হয়ে পড়লাম। চলতে থাকল নিয়মিত অনুষ্ঠান শোনা।
কয়েকটি চিঠি লিখলাম PO Box—6105 ঢাকার ঠিকানায় এবং ২০০০ সালে জুলাই মাসে আমার হাতে সি আর আই থেকে পাঠানো ১টি চিঠি পাই। আমি তখন মহা আশ্চর্য্য হই। দেখলাম এই চিঠিখানা সূদুর চীন থেকে পাঠানো। তখন আমি আনন্দের সাথে নাচতে লাগলাম। সি আর আই উপহার আমার বাবা , মা ভাই, ও বাড়ীর প্রতিবেশী সবাই দেখাল, তারা মহা খুশি। তখন থেকে আমার মা জননী সবচেয়ে বেশি উত্সাহ দেন সি আর আই কাছে চিঠি লিখতে বিবরণ। আর তখন থেকে আজ পর্যন্ত সি আর আই সাথে চিঠি বিনিময় আর মিতালী হচ্ছে ব্যাপক হারে।
২০০২ সালে চীনা দূতাবাস থেকে একটি আমন্ত্রণ পত্র পাই, কিন্তু দুঃখের বিষয় যে, আমার ব্যক্তিগত কারণে উপস্থিত হতে পারি নাই। ঐ বছরে সি আর আই জ্ঞান যাচাই প্রতিযোগিতায় আমি ৩য় শ্রেণীর বিজয়ী হই। ২০০৩ সালে পশ্চিম চীনের সাংস্কৃতিক ভ্রমণ নামক জ্ঞান যাচাই প্রতিযোগিতায় আমার ক্লাব থেকে ২ জন ২য় শ্রেণীর এবং ২ জন ৩য় শ্রেণীর পুরস্কার পান।
২০০৩ সালে ১৪ই ডিসেম্বার সি আর আই বাংলা বিভাগের ৩৫ বছর বর্ষ পুর্তি উপলক্ষ্যে ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাবে শ্রোতা সম্মেলনে যোগদান করি। আমি সহ ক্লাবের মহাসচিব মিঃ জ্যাক শিরাক, ও সচিব মোঃ আব্দুর রশিদ তোতা ও মহিলা সম্পাদিকা মিসেস রওশন আরা উপস্থিত ছিলাম। এই দিনে শ্রোতার মিলামেশা দেখে মহা খুশি। আমি সহ সবাই লটারী দ্বারা পুরস্কার পাই। আমি কাপড়ের ব্যাগ উপহার পাই, যা মাডাম ইয়ু কুয়াং ইয়ুংর হাত থেকে গ্রহণ করি। ওই দিন মাডামকে বললাম "নি হাও"। আমার জীবনে এটাই ছিল চীনাদের সাথে প্রথম কথা বলা। মিঃ চিয়াং চিন ছেন আমার সাক্ষাত্কার গ্রহণ করলেন এবং তা সি আর আই হটলাইনে চুলচেরাভাবে প্রচার করেন।
১৪ই ডিসেম্বর ২০০৩ সালের সেই সাড়ে তিন ঘন্টা কাটানোর স্মৃতিগুলো আজও আমাকে রোমাঞ্চিত করে যা আমার কাছে চীর স্বরনীয়া হয়ে থাকবে।
---আদমদীঘির নিমাইদীঘি গ্রামের সারাক ইন্টারন্যাশনাল রেডিও লিসনার্স ক্লাবের প্রেসিডেন্ট এম আব্দুর রাজ্জাক
|