v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-06-13 13:12:13    
জাতি সংঘের সংস্কার সম্পর্কিত টুকিটাকি

cri
    গত ২১ মার্চ জাতি সংঘ সাধারণ পরিষদের ৫৯তম অধিবেশনে জাতি সংঘ মহা সচিব কৌফি আন্নানা জাতি সংঘের সংস্কার সংক্রান্ত একটি রিপোট দাখিল করেছিলেন। রিপোটে বিভিন্নদেশের উদ্দেশ্যে তাঁর রিপোটে উল্লেখিত উন্নয়ন, নিরাপত্তা, মানবাধিকার আর জাতি সংঘের সংস্থাগুলোর সংস্কার সংক্রান্ত প্রস্তাব পাইকারীভাবে গ্রহণ করার আহ্বান জানিয়েছেন।রিপোটে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, জাতি সংঘের সংস্কার সাফল্যমন্ডিত বা ব্যর্থ হবে তা জাতি সংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের উপর নির্ভর করে। তিনি বিভিন্ন দেশকে জাতি সংঘের সংস্কার বিষয়ক খ্যাতনামা ব্যক্তি গ্রুপের উত্থাপিত জাতি সংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সম্প্রসারণ সংক্রান্ত দুটো কর্মসূচী বিবেচনা করতে তাগিদ দিয়েছেন।

    স্নায়ু যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর , জাতি সংঘের সংস্কার ব্যাপার একটি আলোচ্য বিষয়ে পরিণত হয়।জাতি সংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার এ সব সংস্কারের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।১৯৯৩ সালে জাতি সংঘ সাধারণ পরিষদের ৪৮তম অধিবেশনে নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার সংক্রান্ত একটি বিশেষ গ্রুপ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৯৭ সালের জানুয়ারী মাসে কৌফি আন্নান জাতি সংঘের মহা সচিব হওয়ার পর জাতি সংঘের সংস্কারের কাজ শুরু হয়। সে বছরের মার্চ মাসে জাতি সংঘ সাধারণ পরিষদের ৫১তম অধিবেশনের চেয়ারম্যান লাগালি জাতি সংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার গ্রুপের চেয়ারম্যান হিসেবে নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের পাইকারী কর্মসূচী উত্থাপন করেছিলেন।তাঁর প্রস্তাব ছিল, জাতি সংঘ নিরাপত্তা পরিষদে আরও পাঁচটি ভেটোর অধিকার ভোগী স্থায়ী সদস্য রাষ্ট্র যুক্ত হোক। ২০০৪ সালের জুলাই মাসে মহা সচিব কৌফি আন্নান জাতি সংঘের সংস্কারের বিষয়ে জাতি সংঘ সাধারণ পরিষদের ৫১তম অধিবেশনে সার্বিক সংস্কারের কর্মসূচী দাখিল করেছেন।

    গত কয়েক বছর ধরে জাতি সংঘের প্রত্যেক মেয়াদের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে জাতি সংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কার নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু জাতি সংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সম্প্রসারণ, স্থায়ী পরিষদ রাষ্ট্র আর ভেটো অধিকার ইত্যাদি বিষয়াদি বিভিন্ন পক্ষের স্বার্থের সঙ্গে জড়িত। যার ফলে বিভিন্ন সদস্য রাষ্ট্র সংস্কারের কর্মসূচী সম্বন্ধে ব্যাপক মতৈক্য অর্জন করতে পারেনি।

    ২০০৩ সালের নভেম্বর মাসে মহা সচিব কোফি আন্নান জাতি সংঘের সংস্কারের বিষয় গবেষণা সংক্রান্ত উচ্চ শ্রেণীর গ্রুপ নিযুক্ত করেছেন। এই গ্রুপ বিশেষভাবে আন্তর্জাতিক শান্তি আর নিরাপত্তার সম্মুখীন চ্যালেন্জ এবং জাতি সংঘের সংস্কার ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি নিয়ে গবেষণা করবে। ২০০৪ সালের ডিসেম্বর মাসে এই গ্রুপ জাতি সংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সম্প্রসারণ সম্বন্ধে দুটো কর্মসূচী উত্থাপন করেছে।

    বর্তমানে ভারত, ব্রাজিল, জর্মানী আর জাপান জাতি সংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যপদ লাভের জন্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এ চারটি দেশ গত বছর একটি যুক্ত বিবৃতি ঘোষণা করেছিল যে তারা জাতি সংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারে স্থায়ী সদস্যপদ লাভের প্রশ্নে পরষ্পরকে সর্মথন করবে।