v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-06-10 21:18:01    
সুপ্রসিদ্ধ প্রাচীন রাজধানী

cri
    মানব সভ্যতার ইতিহাসে বিভিন্ন প্রাচীন জাতি আর দেশের ছিল সুপ্রসিদ্ধ প্রাচীন রাজধানী , যেমন এথেন্স ,রোম, কায়রো, বাগদাদ ,জেরুজালেম ইত্যাদি। এ-সব শহর বরাবরই যার যার দেশের বা জাতির রাজধানি।

    কিন্তু চীনের ইতিহাসে এই রাজধানীর ব্রপরটা একটু অন্য রকম। প্রাচীন কাল থেকে এ-পর্যন্ত সুবিশাল চীনের রাজধানি অনেকবার স্থানান্তরিত হয়েছে। চীনের ইতিহাসে বিশ্ব-তিরিশটি বেশী শহর নান সময়ে দেশের রাজধানি ছিল। তবে সবচেয়ে নাম করা, আটটি প্রাচীন রাজধানি শহরের নাম ছিল, যথাক্রমে আনইয়াং , সিআন , লোইয়াং ,নানচিং , ছেংতু, হাংচৌ , খাইফেং এবং পেইচিং।

    চীনের মানচিত্র অনুযায়ী সিআন শহর চীনের মধ্য অংশের উত্তর দিকে।এই শহর মধ্যচীনের সমতলভূমি চীনের উত্তরপশ্চিম অংশে যাওয়ার পথের শুরুর দিকে। সিআন শহরের প্রাচীন নাম ছিল ছাংআন এবং সিচিং।শহরটির চারদিকেই কুয়াংচোং সমতলভূমি। এখানে আছে পাহাড় আর নদী, জলবায়ুর দিক থেকে সিআন নাতিশীতো এলাকার অন্তর্ভুক্ত। এখানকার জমি চীনা জাতির পূর্বপুরুষরা এই এলাকায় সবচেয়ে আগে বসবাস করতে আর উত্পাদনমূলক তত্পরতা চালাতে। দীর্ঘকাল ধরে এই এলাকায় ছিল চীনের সবচেয়ে উন্নত প্রাচীন সভ্যতা আর সংস্কৃতি।

    চীনের ইতিহাসে প্রায় তিন হাজার বছর আগেকার চৌ রাজবংশ। তারপর ছিন রাজবংশ, হান রাজবংশ , চিন রাজবংশ , সুই রাজবংশ, থা রাজবংশ প্রভৃতি মোট এগারোটি রাজবংশের রাজধানি ছিল এই সিআন শহর। সব মিলিয়ে সিআন শহর প্রায় এক হাজার বছর চীনের রাজধানি ছিল। সিআন শহরই থাকার চীনের রাজধানী ছিল সবচেয়ে দীর্ঘকাল ধরে। প্রাচীন থেকে আজ পর্যন্ত সি আন চীনের "উত্তরপশ্চিম অংশের" সবচেয়ে বড় শহর।

    সিআন শহরে ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থান অনেক। তাই পর্যটনের ব্যাপারে বিশ্ববিখ্যাত।

    সিআন শহরে অনেক প্রাচীন মন্দীর আর মসজিদ আছে। বড় বড় আর খুবই নামকরা মন্দির আর মসজিদের মোট সংখ্যা বিশটিরও বেশী। সংখ্যার থেকে চীনের অন্য কয়েকটি শহরে মন্দির আর মসজিদের সংখ্যা আরও বেশী হলেও সিআন শহরের বৈশিষ্ট্য হলো এখানে বৌদ্ধ মন্দীর ছাড়াও লামা ধর্মীয় মন্দির, তাও মন্দির আর মসজিদও অনেকগুলো।

    চীনের হান রাজবংশের রাজত্বকালে সিআন যখন চীনের রাজধানি ছিল, সেসময়ে চীনের চাং ছিয়েন নামে এক ব্যক্তি চীনের উত্তরপশ্চিম দিকের অঞ্চল তথ্য মধ্য এশিয়া প্রভৃতি অঞ্চলের সঙ্গে চীনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপনে বিশেষ অবদান রাখেন। তার সেই সব অঞ্চলের লোকেরা ঘন ঘন সিআনে আসতে শুরু করে, প্রধানত ব্যবস্থা করার জন্যে। আর সপ্তম শতাব্দীতে থাং রাজবংশের রাজত্বকালেও সিআন যখন চীনের রাজধানি ছিল , সে সময়ে উত্তরপশ্চিম আর মধ্য এশিয়ার সঙ্গে চীনের আদানপ্রদান আরও বেড়ে যাওয়ায় সব অঞ্চলের মুসলমানরা ক্রমেই আরও বেশী করে।