|
|
(GMT+08:00)
2005-06-08 09:56:55
|
|
বাজেটে কৃষি ভর্তুকি
cri
আগামী তিনটি অর্থবছরে কৃষিখাতে ভর্তুকি যথাক্রমে ৬০০ কোটি ৬৫০ কোটি ও ৭০০ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দকৃত ৬০০ কোটি টাকার মধ্যে গত বছরের ভয়াবহ বন্যা পরবর্তী কৃষি পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনায় প্রায় ১৮৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এ টাকা দিয়ে দেশব্যাপী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ত্রিশ লক্ষাধিক ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষীকে যেকোন ফসলে এক বিঘা জমি চাষ করার বীজ ও সার বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়েছে। দেশের সার্বিক কৃষি উত্পাদন পরিস্থিতিতে এর সরাসরি কোন প্রভাব না পড়লেও একাধিকবার বন্যা ও অতিবর্ষণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের মনোবল ধরে রাখতে যথেষ্ট প্রেরণা যুগিয়েছে। কৃষক মাঠ ছাড়ে নি। ফসল তলিয়ে গেছে, আবার লাগিছে। আবার নষ্ট হয়েছে, নতুন ফসল বুনেছে। বাংলাদেশের কৃষক কত বেশী পরিশ্রমী, সহসী, বুদ্ধিমান তা তারা গত মৌসুমে প্রমাণ করেছে। বন্যার পর সবজি বাজারে সরবরাহ কমে গেলেও এক মাসের মধ্যেই সরবরাহ বেড়ে ছিল কৃষকদের মাভৈঃ মাভৈঃ মনোভাবের কারণে। চাঁদাবাজ ও মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্যে ভোক্তারা বেশীদিন কম দামে সবজি কিনতে পারেনি। কৃষকরাও কিন্তার উত্পাদনেরন্যায্য মূল্য পায়নি। আমাদের দেশের কৃষকরা প্রায়শঃই ন্যায্য মূল্য প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়। এটা নিশ্চিত বাজার ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রয়োজন। পাশাপাশি উত্পাদন ব্যয় হ্রাসেও পদক্ষেপ নিতে হবে। এ জন্যই পৃথিবী জুড়েই কৃষিখাতের ভর্তুকি দেয়া হয়।
ইত্তেফাক থেকে
|
|
|