বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড.সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ব্যাংকিং খাত থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণের পরিমাণ কমেছে। সংস্কারের ফলে খেলাপি ঋণের পরিমাণও কমেছে। একই সঙ্গে সামষ্টিক অর্থনীতিতে এর ইতিবাচক প্রভাব প্রবৃদ্ধির গতি ত্বরান্বিত করেছে। ৯০ দশকে শুরু হওয়া সংস্কার কর্মসূচীর ফলে প্রবৃদ্ধির হার ৪ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে বেড়ে গত কয়েক বছরে গড়ে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ দাঁড়িয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকায় স্থানীয় একটি হোটেলে আমেরিকান চেম্বার অফ কমার্স ইন বাংলাদেশ (এ্যামচেম) আয়োজিত মধ্যাহ্ন ভোজসভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে সংস্কার ও সামনের চ্যালেঞ্জ বিষয়ে তিনি বক্তৃতা করেন। গভর্নর বলেন, ২০০৪ সালে নীট খেলাপি ঋণের পরিমাণের ৯ দশমিক ৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। যা ১৯৯৮ সালে ছিল ২৩ দশমিক ২ শতাংশ। সংস্কারের সাফল্যের পরও আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে সংস্কারের মাধ্যমেই।
ড. সালেহ উদ্দিন বলেন, গরীবমুখী ঋণ নীতির ফলে কৃষি ও কৃষিভিত্তিক শিল্প এবং ক্ষুদ্র শিল্পে ঋণ সরবরাহ বেড়েছে। ক্ষুদ্র শিল্পে ঋণ সরবরাহের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক ১০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন সুবিধা চালু করেছে। তিনি বলেন, বর্তমানে মূল্যস্ফীতির হারকে স্থিতিশীল রাখাই হচ্ছে বড় চ্যালেঞ্জ। গত বছরের বন্যা ও আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধিই নয়, ঋণ সরবরাহ বেড়ে যাওয়াও মূলস্ফীতির অন্যতম কারণ। বন্যা পুনর্বাসন কাজেও মুদ্রা সরবারহ বেড়ে গিয়েছিল। তবে বোরো ও গমের ভাল ফলন ইতিবাচক হয়েছে।
|