প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় জাতীয় উদ্যোগের সাফল্যের জন্য আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বরোপ করেছেন।
তিনি বলেন, কেবল বর্তমানের জন্য নয়, ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্যও বছরে শুধু একদিন পরিবেশ দিবস পালন করলেই হবে না, বছরের ৩৬৫ দিনই পরিবেশের যত্ন নিতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী গতকাল রবিবার বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে বিশ্ব পরিবেশ দিবসের সূল আলোচনা ও তিনদিনব্যাপী পরিবেশ মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভাষণদানকালে এ কথা বলেন।
এ বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসের প্রতিপাদ্য বা "সবুজ নগরী-সুন্দরী পৃথিবী"। এ বছর বিশ্ব পরিবেশ দিবসের স্বাগতিক দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
প্রধামন্ত্রী সকলকে সম্মিলিতভাবে এই সবুজ নগরী গড়ার কাজে সচেষ্ট হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ঢাকার আশপাশের নদীগুলোর পরিবেশ দূষণ রোধ ও সামগ্রিক পরিবেশ ব্যবস্থাপনার জন্য ২০ বছরের একটি দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা "ঢাকা পরিবেশ কর্মসূচি" হাতে নিয়েছে। পরিবেশ সংক্রান্ত পাঁচটি বিষয়কে জাতীয়ভাবে গুরুত্বপূর্ণ চিহ্নিত করা হয়েছে। এগুলো হলো, ভূমির অবক্ষায়, পানি দূষণ ও পানির দুষ্প্রাপ্যতা, বায়ুদূষণ ও জীব-বৈচিত্র্য এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ। তিনি বলেন অপরিকল্পিত শহর সম্প্রসারণ ও অননুমোদিত দালান কোঠা নির্মাণ পরিবেশের জন্য হুমকি। যারা নদী বা জলাশয় দখল করে ভরাট করছেন বা ভবন নির্মাণ করছেন, তারা একটিবারও এর ভয়াবহ পরিণামের কথা ভাবছেন না। বেগম জিয়া বলেন, চার বছরের পুরানো বাস-ট্রাকের পরিবর্তে রাস্তায় এখন নতুন ও পরিবেশ-বান্ধব সিএনজি গাড়ি।
ইত্তেফাক থেকে
|