চীনের বস্ত্র শিল্প সমিতির উপ-পরিচালক স্যু খুন ইউয়ান ৩১ মে পেইচিংয়ে বলেছেন, চীন সরকারের ১ জুন থেকে ৮১ রকম বস্ত্রের রপ্তানী শুল্ক করার সিদ্ধান্তকে চীনের বস্ত্র শিল্প মহল প্রশংসা করে। তিনি বলেছেন, চীনের বস্ত্র শিল্পপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘকালে আন্তর্জাতিক মার্কেটে অন্যায় ব্যবহার পেয়েছে এবং বরাবরই বস্ত্র কোটা ইত্যাদি বাধা পেয়েছে। বর্তমানে বস্ত্র কোটা সবেমাত্র বাতিল করা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ই-ইউ আবার নতুন বাধানিষেধ আরোপ করেছে। এটা মার্কেট অর্থনীতির পরিবেশে অবাধ বাণিজ্য নীতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয় চীন তার বিরোধীতা করে। তিনি আরও বলেছেন, এ বছর থেকে সারা বিশ্বে বস্ত্রের কোটা বাতিল হয়েছে বলে চীন সরকার যথা সময় রপ্তানি কর আদায় করার ব্যবস্থা নিয়েছে এবং শিল্পপ্রতিষ্ঠার কাছে সামাজিক দায়িত্ব ইত্যাদি ব্যবস্থা জোরদার করার অনুরোধ করেছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ চীনের এই ইতিবাচক পদক্ষেপের প্রতি সাড়া দেয় নি। নীতি বুঝতে পারে নি। চীন যদি অব্যাহতভাবে রপ্তানির কর আদায় করতে থাকে, তাহলে নিজ দেশের শিল্পপ্রতিষ্ঠানের বোঝাই ভারী হবে।
বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র চীনের সাত রকম বস্ত্রের ওপর আমদানির বাধানিষেধ ব্যবস্থা নিয়েছে, ই-ইউও গত সপ্তায় চীনের দু'রকম বস্ত্রের ওপর বাধানিষেধ আরোপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ই-ইউ'র পরপর বাধানিষেধ আরোপ করার জবাবে, চীনের অর্থ মন্ত্রণালয় ৩০ মে নিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ১ জুন থেকে ৮১ রকম বস্ত্রপণ্যের রপ্তানি কর মৌকুফ করবে।
|