v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-05-24 15:45:12    
এক নজরে পেইচিং আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা

cri

    পেইচিং আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শিল্প মেলার সংক্ষিপ্ত নাম হল বিজ্ঞান প্রদর্শনী।চীনের রাষ্ট্রীয় পরিষদের অনুমোদনে এবং চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় শিক্ষা মন্ত্রণালয় , তথ্য শিল্প মন্ত্রণালয় , চীনের বাণিজ্য উন্নয়ন সোসাইতি, রাষ্ট্রীয় মেধাস্বত্বদফতর আর পেইচিং গণ সরকারের যৌথ উদ্যাগে প্রতি বছরের মে মাসে পেইচিংএ এই পদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।

    ১৯৯৮ সালে বিজ্ঞান প্রদর্শনীরজন্ম হয়। তখন এটিকে " চীনের পেইচিং হাইটেক শিল্প আন্তর্জাতিক সপ্তাহ" বলা হত।২০০২ সালে পঞ্চম মেয়াদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে "বিজ্ঞান প্রদর্শনীর" নাম বদলে গেছে।গত সাত মেয়াদের লালনপালন আর যত্ন পরিচালনার মাধ্যমে এই প্রদর্শনী এমন একটি প্রদর্শনী হয়েছে যার আকার বিরাট এবং বিষয়বস্তু প্রভূত।অধিক থেকে অধিকতর সংখ্যক আন্তর্জাতিক সংস্থা এই প্রদর্শনীতে যোগ দিয়েছে। এই প্রদর্শনী আন্তর্জাতিক আর চীনা সমাজে এবং হাইটেক শিল্প ক্ষেত্রে তীব্র ।আলোড়ন সৃস্টি করেছে। বর্তমানে বিজ্ঞান প্রদর্শনী চীনের আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিআর আর্থ-বাণিজ্যিক আদান- প্রদান চালানোর গুরুত্বপূর্ণ তত্পরতাগুলোর অন্যতম।

    এই বিজ্ঞান প্রদর্শনী আয়োজনের ফলে চীনের উন্নয়ন কর্মনীতি আর পরিবেশ সার্বিকভাবে প্রচার আর জনপ্রিয় করা হয়েছে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিগত ফলাফলকে পণ্যব্রতেরুপান্তরিত করা এবং বাজারায়নের জন্য সুযোগ আর শর্ত সৃষ্টি করা হয়েছে , প্রযুক্তি, প্রতিভাবানব্যক্তি, তথ্য , পুঁজি এবং ব্যবস্থাপনা ইত্যাদিকে হাইটেকের সঙ্গে যুক্ত করে বাজারের অবকাশ যুগিয়ে দেওয়া হয়েছে, হাইটেককে পণ্যে রুপান্তর, শিল্পায়ন এবং বিশ্বায়নের প্রক্রিয়াকেএগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশগুলোর সঙ্গে চীনের অর্থনৈতিক আর প্রযুক্তিগত আদান-প্রদান আর সহযোগিতা তরান্বিত করা হয়েছে, হাইটেক শিল্প উত্পাদন উন্নয়নের নতুন চিন্তাধারা, নতুন ধারণার আদান-প্রদান আর বিনিময় এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং আঞ্চলিক অর্থনীতির উন্নয়ন সম্প্রসারিতহয়েছে।

    গত সাত মেয়াদের বিজ্ঞান প্রদর্শনীতে প্রায় দু হাজার প্রকল্প স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তির মোটমূল্য দাঁড়িয়েছে তিন হাজারাধিক কোটি মার্কিন ডলারে।প্রায় চার শোটি প্রতিনিধি দল এবং ২০ লক্ষ পার্সন টাইমস ব্যক্তি এই বিজ্ঞান প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছে, আট হাজারেরও বেশী দেশী-বিদেশী সংস্থা আর শিল্প-প্রতিষ্ঠান এই প্রদর্শনীতে যোগ দিয়েছে. চার হাজারেরও বেশী দেশী-বিদেশী ব্যবসায়ী আর্থ-বাণিজ্যিক আলোচনায় অংশ নিয়েছেন।

    চীনের রাষ্ট্রীয় নেতারা এই বিজ্ঞান প্রদর্শনীর দিকে উচ্চ পর্যায়ের মনোযোগ দিয়েছেন।প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও, উয়েন চিয়া পাও, চিয়া ছিং লিন প্রমুখ নেতারা বেশ কয়েক বার এই প্রদর্শনী পরির্দশন করেছেন।তাঁরা এই প্রদর্শনীতে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণও দিয়েছেন।

    এ পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশী বিদেশী অতিথী এই প্রদর্শনী পরিদর্শন করেছেন। দ্বিতীয় মেয়াদ থেকে প্রত্যেক বছর চীনের ৩১টি প্রদেশ, স্বায়ত্তশাসিতঅঞ্চল , কেন্দ্র শাসিত শহর এবং হংকং ও ম্যাকাও বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল সরকার বা আর্থ-বাণিজ্যিক প্রতিনিধিরা এই বিজ্ঞান প্রদর্শনীর সুবাদে নিজ নিজ ব্যবসা রফতানি করার তত্পরতা চালিয়েছিল।

    দেশ-বিদেশের নাম-করা শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলোও সক্রিয়ভাবে এই প্রদর্শনীতে নিজেদের হাইটেক পণ্য প্রদর্শনআর জনপ্রিয় করেছে।এরিকসন , সীমেন্সসাইমেন্স, নোকিয়া, জেরারেল মোটর, ক্যানন প্রভৃতি বিদেশের বেশ কয়েকটি কোম্পানি এবং নায়নভল, স্টন, হাই , প্রভৃতি বেশ কয়েকটি বড় বড় যৌথ-মালিকানাধীন কোম্পানি প্রত্যেক বার এই প্রদর্শনীতে যোগ দিয়েছে।