থাইল্যান্ডের তথ্য মাধ্যম সম্প্রতি আলাদা আলাদাভাবে সম্পাদকীয় প্রবন্ধ এবং বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করে অভিযোগ করেছে যে, চীনের বস্ত্রপণ্যের উপর যুক্তরাষ্ট্রের "কোটা আরোপ" হচ্ছে অবাধ বাণিজ্য নীতি প্রশ্নে তাদের কথা ও কাজের অমিলের পরিচায়ক।
২২ মে চীনা ভাষার "বিশ্ব ডেইলী" পত্রিকায় প্রকাশিত এক সম্পাদকীয় প্রবন্ধে বলা হয়েছে , দীর্ঘ ৪০ বছর স্থায়ী বিশ্বব্যাপী বস্ত্রপণ্যে কোটা ব্যবস্থা বাতিল হবার পর পাঁচ মাস না যেতেই, যুক্তরাষ্ট্রের নিজ দেশের বস্ত্রবয়ন শিল্প রক্ষা করার অজুহাতে তথাকথিত জরুরি ব্যবস্থা নিয়েছে। ফলে বুঝা যায় যে, পাশ্চাত্য শিল্পোন্নত দেশগুলো সবসময় উচ্চস্বরে অবাধ বাণিজ্যের স্লোগান তুললেও যখন অবাধ বাণিজ্য নিজের প্রতি প্রতিকুল হয়, তখন সঙ্গে সঙ্গে নিজের স্বার্থ অনুযায়ী আন্তর্জাতিক চুক্তি তৈরি করে।
সম্পাদকীয় প্রবন্ধে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র কেবল চীনের বস্ত্রপণ্যের উপর বাধা-নিশেধ আরোপ করে, নিজের প্রতিদ্বন্দ্বিতার শক্তি বাড়ানোর চিন্তা করে না, এতে তার কর্মসংস্থানের সমস্যার সমাধান হবে না। চীনের বস্ত্রপণ্যের উপর কোটা আরোপের পর অন্যান্য দেশের বস্ত্রপণ্যও যথাক্রমে মার্কিন বাজার দখল করবে।
|