v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-05-20 13:41:06    
বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উপায়ে চাষাবাদের প্রস্তুতি

cri
    বসন্তকালের মার্চ মাসে বিশাল ভূভাগে আবার সবুজের আস্তরণ দেখা দিয়েছে । ফেন ইয়াং হ্রদের সুজলা-সুফলা তীরবর্তী চিয়াংসি প্রদেশের দু ছাং জেলার কৃষকরা বসন্তকালের চাষাবাদের প্রস্তুতি শুরু করেছেন। প্রযুক্তিবিদ আমন্ত্রণ ,বাজারের তথ্য জানা ও প্রশিক্ষণ নেয়া চাষাবাদের প্রস্তুতির তিনটি নতুনত্ব ।

    থু খান টাউনের হান ছৌ গ্রামে খাদ্যশস্যচাষী লিয়ু চিন দির সঙ্গে সংবাদদাতার সাক্ষাত্ হয় । তিনি গত বছর ১০০ মু জমি অথার্ত্ প্রায় ১৭ একর জমির ঠিকা নিয়েছেন । খাদ্যে মোট উত্পাদন পরিমাণ হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার কিলোগ্রাম । বাষির্ক আয় হয়েছে ১ লক্ষ ইউয়ানেরও বেশী । তিনি বলেছেন , "চাষাবাদ এখন শুধু অভিজ্ঞতা ও প্রকৃতির উপর নির্ভর করছে না , বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উপরও নির্ভর করছে ।" তিনি নিজের খরচে দশ বারোটি পত্রিকা ও সাময়িকীর গ্রাহক হয়েছেন । তবুও তা যথেষ্ট মনে না করে বিশেষভাবে টাউনের কৃষিপ্রযুক্তি কেন্দ্র থেকে একজন প্রযুক্তিবিদকে নিজের চাষাবাদের উপদেষ্টা হিসেবে আমন্ত্রণও জানিয়েছেন ।

    উত্পাদনে কৃষকদের সম্মুখীণ সমস্যাদি সমাধানের জন্য দু ছাং জেলা কমিটি ও জেলা সরকার কৃষি ,বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইত্যাদি বিভাগ থেকে শতাধিক লোক বেছে নিয়ে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পরিসেবা দল গঠন করে গোটা জেলার ২৪টি মহকুমা ও টাউনে পাঠায় । তাঁরা কৃষকদের সঙ্গে সামনাসামনি আলাপ আলোচনা করেন । বিভিন্ন মহকুমা ও টাউন আর বিভিন্ন খামারও পরপর কৃষিপ্রযুক্তি পরিসেবা দল গঠন করে । দলের প্রযুক্তিবিদরা খাদ্যশস্যচাষীদের সাহায্য করেন এবং স্বতস্ফূতর্ভাবে তাদের প্রযুক্তি উপদেষ্টা হন । জানা গেছে ,এখন গোটা জেলায় মোট ২০০০-এরও বেশী কৃষক পরিবার চাষাবাদের উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ।

    সংবাদদাতা ওয়াং তুয়ান মহকুমায় সাক্ষাত্কার নেয়ার সময়ে কৃষক ওয়ান শৌ ছুয়ান মহকৃমার কৃষি অথর্নীতি ওয়েবসাইট অফিসে কম্পিউটারের সামনে বসে বিভিন্ন স্থানের কৃষিজাত পণ্যের তথ্য দেখছেন এবং মাঝে মাঝে নোটবুকে লিখছেন । তিনি আনন্দের সঙ্গে বলেছেন ,"অতীতে কৃষকরা বাজারের চাহিদার খবর না রেখে অন্ধভাবে চাষাবাদ করতেন । প্রায়ই এমন অবস্থা হতো যে ,সারা বছর খেটেও তেমন কোনো আশানুরুপ আয় হতো না । এখন অবস্থার পরিবতর্ন হয়েছে । বাজারের চাহিদা অনুসারেই চাষাবাদ হচ্ছে ।"গত বছর তিনি বাজারের দেয়া তথ্য অনুসারে ৫০ মু অথার্ত্ আট একরের বেশী জমিতে চাঁদোয়ায় শাকসব্জীর চাষ করেছেন । তাতে আয় হয়েছে বিশ হাজার ইউয়ান ।

    কৃষির কাঠামোর পুনবির্ন্যাসের সঙ্গে সঙ্গে দু ছাং জেলার কিছু বুদ্ধিমান কৃষক স্বতস্ফূতর্ভাবে কৃষি উত্পাদনের প্রক্রিয়ায় বাজার অনুসরণ করতে শুরু করেছেন । কেউ কেউ কৃষি ব্যুরো , কৃষিপ্রযুক্তি জনপ্রিয়করণ কেন্দ্র , বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ব্যুরো ইত্যাদি কৃষি সম্পকির্ত বিভাগে গিয়ে নতুন বীজ , নতুন প্রযুক্তি ইত্যাদি জেনে নেন । কেউ কেউ শাকসব্জীর বাজার , সুপার-মাকের্ট ইত্যাদি জায়গায় গিয়ে বিভিন্ন কৃষিজাত পণ্যের বিক্রীর অবস্থা জেনে নেন । নেটওয়ার্ক থেকে অন্যান্য স্থানের কৃষিজাত পণ্যের তথ্য জেনে নেয়া দু ছাং জেলার কৃষকদের নতুন সূত্রও বটে ।

    ২৪ মার্চ সকাল সকাল সু পু টাউনের কৃষক ইউয়ান সুই হাই টাউনের কৃষিপ্রযুক্তি কেন্দ্রে এসে এই কেন্দ্রের প্রধান ইউ হুইয়ের দেওয়া ফলগাছ রোপন ও লালন ,হাঁস-মুর্গী পালন ,ধানক্ষেতের পোকা নিবারণ ইত্যাদি জ্ঞান সম্পকির্ত বক্তৃতা শুনেছেন । তিনি হেসে বলেছেন ,"কৃষকরা এরকম প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ নিতে পছন্দ করেন । আশা করি ভবিষ্যতে সরকার বেশী করে এরকম প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করবে ।"এবছর সু পু টাউনে ৫বার কৃষির ব্যবহারিক প্রযুক্তি প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করা হয়েছে । ২০০০-এরও বেশী কৃষক এই সব কোর্সে অংশ নিয়েছেন ।

    এবছর থেকে গোটা দু ছাং জেলায় মোট ২০বারেরও বেশী বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কোর্সের আয়োজন করা হয়েছে । প্রায় দশ হাজার কৃষক এগুলোতে অংশ নিয়েছেন । কৃষকদের দৃষ্টি প্রসারিত হয়েছে এবং তাদের চাষাবাদের সক্রিয়তা আরও বেড়েছে ।