v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-05-19 14:26:50    
চীনের বিজ্ঞান একাডেমী

cri
    গত বছরের ১লা নভেম্বর ছিলো চীনের বিজ্ঞান একাডেমীর ৫৫তম প্রতিষ্ঠা বাষির্কী । প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এটি হচ্ছে প্রকৃতিবিজ্ঞান গবেষণায় নিয়োজিত চীনের বৃহত্তম সংস্থা । চীনের অনেক বুনিয়াদী বিজ্ঞান গবেষণা ও হাইটেক গবেষণার সাফল্য চীনের বিজ্ঞান একাডেমীই অজর্ন করেছে ।

    কিন্তু গত শতাব্দীর নব্বইয়ের দশকে বৈজ্ঞানিক গবেষণার জন্য প্রয়োজনীয় পুজির অভাব ,সাজসরঞ্জাম ও ব্যবস্থাপনার পদ্ধতির পশ্চাত্পদতা ইত্যাদি কারণে চীনের বিজ্ঞান একাডেমী বহু বৈজ্ঞানিক ও গবেষককে হারিয়েছে এবং বৈজ্ঞানিক গবেষণায় অজির্ত সাফল্যের মানও বিশ্বের উন্নতমান থেকে বেশ দূরে ।

    এই ধরণের অবস্থার পরিবতর্ন ,বিশ্বের বৈজ্ঞানিক গবেষণার উন্নতমানের নাগাল পাওয়া এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি চীনের আথর্সামাজিক দ্রুত উন্নয়নের তীব্র চাহিদা মেটানোর জন্য ১৯৯৮ সাল থেকে সরকারের সহায়তায় চীনের বিজ্ঞান একাডেমী মেধা উদ্ভাবন প্রকল্প বলে পরিচিত ব্যাপকাকারের সংস্কার চালিয়েছে । চীনের বিজ্ঞান একাডেমীর মহাসচিব লি চি কাং বলেছেন,"মেধা উদ্ভাবন প্রকল্প প্রবতর্নের উদ্দেশ্যই হলো অনবরত আমাদের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত লক্ষ্য ধায করা । বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত লক্ষ্য রাষ্ট্রের প্রধান প্রধান বৈজ্ঞনিক ও প্রযুক্তিগত চাহিদা এবং বিশ্বের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত বিকাশের পুরোভাগে ধায করে দিতে হবে । এবং একই সময় সাংগঠনিক কাঠামোর পুনবির্ন্যাস ও ব্যবস্থাপনার সংস্কার চালাতে হবে"

    মেধা উদ্ভাবন প্রকল্প প্রবতর্নের পর চীনের বিজ্ঞান একাডেমী রাষ্ট্রের রণনৈতিক চাহিদা ও বিশ্বের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত বিকাশের প্রবণতা অনুসারে তার প্রধান প্রধান উন্নয়নের লক্ষ্য অথার্ত্ তথ্য , জীবন , সম্পদ ও পরিবেশ , শক্তিসম্পদ , সমুদ্র ইত্যাদি ক্ষেত্রের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি উন্নয়নের লক্ষ্য ধায করেছে । একই সময় বিজ্ঞান একাডেমী তার ইতিহাসে বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত কাঠামো আর সাংগঠনিক কাঠামোর ব্যাপকতম পুনবির্ন্যাস চালিয়েছে এবং পুনবির্ন্যাসের মাধ্যমে বেশ কিছু বহুশাখাবিশিষ্ট বৃহদাকারের বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন ঘাঁটি স্থাপন করেছে । এর সঙ্গে সঙ্গে প্রধানত: ভূ-পরিবেশ , জিন ইত্যাদি বিজ্ঞানের নবোত্থিত বিষয় গবেষণার জন্য চীনের বিজ্ঞান একাডেমী বেশ কিছু নতুন গবেষণাগারও প্রতিষ্ঠা করেছে ।

    চীনের বিজ্ঞান একাডেমীর পদার্থবিদ্যা গবেষণাগারের উপপ্রধান সুন মো সংবাদদাতাকে বলেছেন ,

    "চীনের বিজ্ঞান একাডেমী উদ্ভাবন প্রকল্পের মাধ্যমে অভিনব ব্যবস্থাপনার ধারণা ও ব্যবস্থাপনা আমদানি করেছে । যেমন , বিদেশে বসবাসকারী শ্রেষ্ঠ যুব বৈজ্ঞানিকদের আকৃষ্ট করা , অজির্ত বৈজ্ঞানিক সাফল্যের সঙ্গে ইন্গেজমেন্ট ব্যবস্থা ও বন্টন ব্যবস্থাকে ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত করে প্রত্যেকের সক্রিয়তাকে পুরোপুরি উদ্বুদ্ধ করা , বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সাফল্যের বাষির্ক পরীক্ষা ও আন্তজার্তিক মূল্যায়নের ব্যবস্থা প্রবতর্ন ইত্যাদি ।"

    মেধা উদ্ভাবন প্রকল্প প্রবতর্নের ফলে চীনের বিজ্ঞান একাডেমীর উদ্ভাবিত বৈজ্ঞানিক ওপ্রযুক্তিগত সাফল্যবিরাটমাত্রায় বেড়েছে । ২০০৩ সালে আন্তজার্তিক পত্রিকায় প্রকাশিত এই একাডেমীর বৈজ্ঞানিক নিবন্ধের সংখ্যা ছয় বছর আগেকার চেয়ে দ্বিগুনেরও বেশী বেড়েছে ,পাওয়া আবিষ্কারের পেটেন্ট ও সফ্টওয়্যারের স্বত্বাধিকার ইত্যাদির সংখ্যাও বিরাটমাত্রায় বেড়েছে ।

    সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চীনের বিজ্ঞান একাডেমীর বহু গবেষণাগারের মধ্যে কম্পিউটার গবেষণাগারের অজির্ত বৈজ্ঞানিক সাফল্য সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য । এই গবেষণাগারের উদ্ভাবিত "উষার আলো ৪০০০এ。" নামে উচ্চগুণসম্পন্ন কম্পিউটারের হিসাবের সবোর্চ্চ গতি সেকেন্ডে এগারো হাজার বিলিয়ন টাইমসে পৌঁচেছে । এই গবেষণাগারের প্রধান লি কো জিয়ে বলেছেন ,

    "১৯৯৫ সালে আমাদের উদ্ভাবিত 'উষার আলো ১০০০' –এর স্থান পৃথিবীতে ছয়শোতমেরও নিচে । এখন আমাদের উদ্ভাবিত 'উষার আলো ৪০০০এ.' –এর স্থান দশম । হিসাবের গতি ছয় হাজার সাত শো গুণেরও বেশী বেড়েছে । এপযর্ন্ত এক হাজার সেটেরও বেশী এই ধরণের উচ্চগুণসম্পন্ন কম্পিউটার বিক্রি হয়েছে । আন্তজার্তিক ক্ষেত্রে এই কম্পিউটারের বেশ প্রভাব আছে ।"