আজকের অনুষ্ঠানে আমরা একটি নতুন বিষয় বলবো , তা হলো জীবনের লক্ষ্য। আমি বিশ্বাস করি , বিভিন্ন বয়সে আপনাদের প্রত্যেকের লক্ষ্য ভিন্ন । শৈশবে, পড়া-লিখার সময়ে এবং এখন আপনাদের লক্ষ্যকি ?একই রকম ? আমি জানতে আগ্রহী ।
আমি বিশ্বাস করি , শৈশবে আমাদের প্রত্যেকের জীবনের লক্ষ্য খুব মজার । শৈশবে বাবা-মা সবসময় নিজের ছেলে-মেয়েকে একই প্রশ্ন করেন , তা হলো , বড় হয়ে তুমি কি কাজ করতে চাও ? তার উত্তর খুব মজার এবং বৈচিত্রময়। পেইচিংয়ে গরমকালে আবহাওয়া খুব গরম । তাই ছেলে-মেয়েরা আসইক্রিম খেতে খুব পছন্দ করে। তাই সেসময়ে , অনেক ছেলে-মেয়ের আদর্শ হলো ভবিষ্যতে আইসক্রিম বিক্রী করবে । কিছু কিছু ছেলে গাড়ী খুব পছন্দ করে , তাই তারা আশা করে , ভবিষ্যতে একজন ড্রাইভার হবে । আমার মনে হয় , সেসময়ে বেশীর ভাগ ছেলে-মেয়ের লক্ষ্য ছিল , ভবিষ্যতে শিক্ষক , ডাক্টার , সৈন্য বা বিজ্ঞানী হবে । শৈশবে আপনার জীবনের লক্ষ্য কি ? যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাদের বলবেন।
শৈশবের চেয়ে পড়া-লিখার সময়ে আমাদের জীবনের লক্ষ্য আরো বাস্তব। আমার মনে হয় , পড়া-লিখার সময়ে আমার লক্ষ্য ছিল একটি ভালো বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করা । সেসময়ে আমার অনেক সহপাধীর লক্ষ্য আমার মতো । তাই , এই আদর্শ বাস্তবায়নের জন্যে প্রতিদিন আমরা চেষ্টা করে পড়া-লিখা করি । এই সময়ে , আমাদের অধিকাংশই ভবিষ্যতে নিজের চাকরির লক্ষ্য নির্ধারণ করি এবং এর জন্যে প্রচেষ্টা চালাই । কিছু কিছু বন্ধু আশা করেন , উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পর বিদেশে গিয়ে পড়া-লিখা করবেন , তাই তারা খুব ভালো করে ইংরেজি শেখেন। কিছু কিছু বন্ধু কম্পিউটার পছন্দ করেন , তাই তারা চেষ্টা করে গণিতবিদ্যা অব্যয়ন করেন , কিছু কিছু বন্ধু সাহিত্য পছন্দ করেন , তারা দেশী-বিদেশী অনেক বই আর উপন্যাস পড়েন । আমরা সবাই নিজেদের জীবনের লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্যে প্রচেষ্টা চালাই । এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । তাই না ?
স্নাতক হবার পর , আমরা সমাজে প্রবেশ করি । এই সময়ে , আমাদের প্রত্যেকজনের লক্ষ্য ভিন্ন । বেশীর ভাগ পুরুষ আশা করেন , একটি ভালো চাকরি এবং বেশীর ভাগ নারী আশা করেন , একজন ভালো স্বামী । তার পর , সময়ের পরিবর্তনের সংগে সংগে আমাদের লক্ষ্যপরিবর্তন হয় । চাকুরী জীবনে প্রবেশ করার , প্রথম সময়ে , আমার লক্ষ্যহলো একজন ঘোষিকা হবো , তার পর , আমি আশা করি , একটি ভালো অনুষ্ঠান পরিচালনা করবো । কিন্তু এখন , আমি শুধু আশা করি , একজন ভালো মা হবো । এটা হচ্ছে এসময়ে আমার উত্তম ইচ্ছা ।
আমি বিশ্বাস করি , চাকুরী জীবনে প্রবেশ করার পর , আমাদের প্রত্যেকে প্রত্যেকের লক্ষ্য আরো বাস্তব , এবং এটা বাস্তবায়নের জন্যে একটানা প্রচেষ্টা চালাই । হয়তো এর প্রক্রিয়ায় আপনাদের অনেক গল্প আছে , দয়া করে চিঠি বা ইমেইলের মাধ্যমে আমাদের বলবেন ।
আমার প্রিয় বন্ধুরা , অনুষ্ঠানের সময় বেশী নেই। আজকের অনুষ্ঠানের শেষে আমি বলতে চাই , আজকের অনুষ্ঠানে আমার এই বিষয় বেছে নেয়ার কারণ হলো , আমি বিশ্বাস করি , আমাদের প্রত্যেকের জীবনের লক্ষ্য আছে এবং তা আমাদের প্রতিদিনের সংগী । কিন্তু শুধু লক্ষ্য থাকাটাই যথেষ্ট নয় , আমাদের লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্যে প্রচেষ্টাও চালানো উচিত ।
|