ছেনতু শহরের তা ইয়ে জেলার আন রেনের কৃষকদের নতুন গ্রামে এঁকে এঁকে বয়ে চলা ছোট নদীর পারে একটার পর একটা বসতবাড়ী সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো । একটি সুন্দর চকমিলানো বাড়ীতে বড় "কৃষক পরিবারে আনন্দ" সাইনবোর্ডটা টাঙ্গানো । এটি একটি রেস্তোঁরা । এখানে খেতে আসা অতিথিদের ভীষণ ভিড় । রেস্তোঁরার মালিক লি চিয়েন রু সংবাদদাতাকে বলেছেন , "এক বছর আগেও আমি ছিলাম নীরেট চাষী । আমি ভাবতে পারি নি যে , এখন আমি শহুরে হয়েছি , রেস্তোঁরার মালিকও হয়েছি।"
চাষাবাদ থেকে নিজে রেস্তোঁরা খোলা পযর্ন্ত , মাটির ঘর থেকে বাগানবাড়ী পযর্ন্ত এবং চাষী থেকে শহুরে পযর্ন্ত লি চিয়েন রু'দের এই স্বপ্ন বাস্তবায়নের মূলে রয়েছে ছেনতু শহরের বিপুল প্রয়াসে প্রবতির্ত "শহরাঞ্চল ও গ্রামাঞ্চলের আথর্সামাজিক উন্নয়ন সমন্বিতকরণ এবং শহরাঞ্চল ও গ্রামাঞ্চলের একীভূতকরণ ত্বরান্বিতকরণের" রণনৈতিক ব্যবস্থা ।
জানা গেছে , ২০০৪ সালে ছেনতু শহর "কৃষক , কৃষি ও গ্রামাঞ্চল" খাতে মোট ১৭ বিলিয়ন রেনমিনপি অর্থবিনিয়োগ করেছে । এর মধ্যে বিভিন্ন স্তরের সরকারের বিনিয়োজিত অর্থ প্রায় ৫.৮ বিলিয়ন রেনমিনপি এবং আহরিত বেসরকারী পুজি ১১.২ বিলিয়ন রেনমিনপি । কৃষকদের আয়ের বৃদ্ধিহার প্রথমবারের মতো শহরাঞ্চলের অধিবাসীদের ছাড়িয়ে গিয়েছে । কৃষকদের সত্যিকার উপকার হয়েছে ।
পুজি সবসময় শহরাঞ্চল ও গ্রামাঞ্চলের উন্নয়ন সমন্বিতকরণের সবচেয়ে কঠিন সমস্যা । ছেনতু শহর বাজারের মাধ্যমে সম্পদের বন্টন করে বিজ্ঞানসম্মত ও যুক্তিসংগতভাবে শহরাঞ্চল ও গ্রামাঞ্চলের সম্পদের বন্দোবস্ত করে অপেক্ষাকৃত কম জনশক্তি,বৈষয়িক শক্তি ও সময় ব্যয়ে সবচেয়ে ভালো অথর্নৈতিক , সামাজিক ও প্রাকৃতিক ফলপ্রসূতা অজর্ন করে সুন্দরভাবে এই কঠিন সমস্যা সমাধান করেছে ।
শহরাঞ্চল ও গ্রামাঞ্চলের একীভূতকরণ প্রক্রিয়ায় সিন চিন জেলার শিল্প উন্নয়ন এলাকায় তিনটি বড় রাস্তা নিমার্ন এবং পানি , বিদ্যুত ও গ্যাস ইত্যাদির নল বসাতে প্রায় ৩০ কোটি রেনমিনপি দরকার । অথচ ২০০৪ সালের জানুয়ারী থেকে সেপ্টেম্বর পযর্ন্ত এই জেলার মোট নীট আয় মাত্র ২৩ কোটি ৮০ লক্ষ রেনমিনপি । অথার্ত্ এই জেলার মোট আয় ব্যয়ের তুলনায় অপ্রতুল । তবে উপায় কি? সিন চিন জেলা ভূমি নিলাম , বেসরকারী পুজি আহরণ ইত্যাদি উপায়ে বিভিন্নভাবে পুজি সংগ্রহ করে রাস্তাগুলোর নিমার্ন ও বিভিন্ন নল বসানোর কাজ সম্পন্ন করেছে ।
ছেনতু শহরের অন্যান্য এলাকা ও জেলাও নানা ব্যবস্থা নিয়েছে । ছিন ইয়াং এলাকা শ্রেষ্ঠ শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর পুজি ও দক্ষ ব্যক্তিদে ধার করে পেশাদার কোম্পানি গঠন করেছে এবং প্রয়োজনীয় বিরাট অংকের পুজি সংগ্রহ করেছে । তু চিয়াং ইয়েন উপশহর প্রকাশ্যে ট্যাক্সী , মিনিবাস ও রিকশার পরিসেবার অধিকার নিলামে বিক্রি করে উপশহরের নিমার্নের জন্য পাঁচ কোটি রেনমিনপি অর্থ যোগাড় করেছে । ইত্যাদি ইত্যাদি ।
ছেনতু শহরের বিভিন্ন এলাকা , উপশহর ও জেলা বাজার ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে বেসরকারী পুজিবিনিয়োগ আহরণ করার মাধ্যমে কৃষকদের কেন্দ্রীভূত আবাসিক এলাকা নিমার্ন খাতে আট কোটি বাহাত্তর লক্ষ চল্লিশ হাজার রেনমিনপি অর্থ কম বিনিয়োগ করেছে । তা ইয়ে জেলার আন রেন টাউনের কৃষকদের কেন্দ্রীভূত আবাসিক এলাকা নিমার্নের ক্ষেত্রে জেলার অর্থ বিভাগ শুধু পানি , বিদ্যুত্ গ্যাস ইত্যাদি বুনিয়াদী ব্যবস্থা নিমার্ন খাতে অর্থবরাদ্দ করেছে । অন্যান্য যাবতীয় প্রয়োজনীয় পুঁজি সমাজের অলস পুঁজি থেকে পাওয়া । এভাবে স্থানীয় ৩০ লক্ষেরও বেশী কৃষক পরিবারের নতুন বাড়ীতে স্থানান্তরণের সমস্যা সমাধান করা হয়েছে ।
জানা গেছে ,প্রধানত: কৃষি ও গ্রামাঞ্চল খাতে ,বিশেষ করে কৃষিজাত দ্রব্য উত্পাদন ও বিক্রয় এবং গ্রামাঞ্চলের শিল্প ,শিক্ষা ,পযর্টন ইত্যাদি খাতে ১১.২ বিলিয়ন বেসরকারী পুঁজি বিনিয়োজিত হয়েছে । কৃষকদের নতুন বসতবাড়ী নিমার্ন খাতে বিনিয়োজিত পুজির পরিমাণও মোট বেসরকারী পুঁজির ১১.২৮ শতাংশ হয়েছে ।
|