v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-05-11 14:22:09    
তুংসিয়াং জাতি অধ্যুমিত গ্রাম---থাইপিন গ্রাম

cri

 

    তুংসুয়াং জাতির জনসংখ্যা চার লক্ষ। চীনের পঞ্চান্নটি সংখ্যালঘু জাতির মধ্যে তা এমন একটি জাতি , যার জনসংখ্যা অপেক্ষাকৃত অল্প। পশ্চিম চীনের কান্সু প্রদেশের লিনসয়া হুই জাতি স্বায়ও শাসিত বিভাগে তাঁদের বাস। চতুর্দশ শান্দির শেষার্ধে মঙ্গোলিয় জাতি বীর জেনগিসখান ও তাঁর সেনাবাহিনী সামরিক অভিযান চালাবার জন্য মধ্য এশিয়া থেকে এখানে এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে কিছু লোক স্থানীয় বাসি-দাদের সঙ্গে বিয়ে করে বংশ বিস্তার করেছেন। ফলে ধীরে ধীরে তুভসায়াং জাতির সৃষ্টি হয়। তাঁরা ইসলাম ধর্ম বলস্বী এবং গত কয়েক শো বছর ধরে ধরে তাঁরা যেমন চাযাবাদ, তেমনি পশুপালনের জীবনষাপনও করে আসছেন। গত বিশ বছরে ধরে চীনের অর্থনীতি দ্রুতগতিতে প্রসারিত হয়েছে এবং জনসাধারনের জীবনযাত্রার মান সার্বাকভাবে উন্নত হয়েছে।

    পশ্চিম চীনের কান্সু প্রদেশের লিসিয়া বিভাগে থাইপিন গ্রাম অবস্থিত। গ্রাম প্রবেশ করলে চোখে পড়ে গ্রামবাসীদের বাগিঘর পরিপাটি, একটি ছোট নদি গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত এবং কৃষিক্ষেত গ্রামের আশেপাশে ছড়িয়ে পড়ে।

    স্থানীর বাসিন্দা সিং হোয়াং সেনের সাহচর্যে আমরা একটি কৃষক পরিবারে প্রবেশ করলাম। দেখলাম উদ্যানের মাঝখানের দিকে সৌরশক্তি-চালিত একটি চূলা আছে। সৌরশক্তি প্রতিফলনে একটি কেটলিতে গরম পানি ফুটছিল।

   

     হহোয়ান সেন আমাকে বলেছেন, আগে গ্রামবাসীরা প্রধান জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করতো। এখন বাড়িতে এই ধরনের সৌরশক্তি চালিত চলা ব্যবহার করা হয়।

    গত শতাব্দির আশির দশকের গোড়ার দিকে সৌরশক্তি চালিত চুলা তৈরার খাতে সরকার অর্থ বরাদ্দ করেছে। তার পর বিভিন্ন গ্রাম ও কৃষক পরিবারে এই ধরনের চুল্লা জনপ্রিয় করে তোলার একটি অভিযান চালানো হয়েছে। প্রথমে গ্রামবাসীরা এ ধরনের চুলা ব্যবহারে অভ্যস্ত ছিলেন না, ধীরে ধীরে সবাই এটা ব্যবহার করতে পছন্দ করেছেন।

    হোয়ান সেন বলেছেন, পানি সিদ্ধ করা আর রান্না-বান্না করার জন্য সৌর শক্তি চালিত চুলা ব্যবহারর করা যায়। এর আগে এসব কাজ করার জন্য গ্রমবাসীরা কাছ আর গমের গাছ ব্যবহার করতো। ফলে পাহাড়ের গাছ উজাড় হয়ে যাচ্ছিলো। বাড়িতে বাড়িতে এই ধরনের চুলা ব্যবহৃত হবার পর বিপুল পরিমান কাঠ বাঁচানো হয়েছে এবং স্থানীয় প্রাকৃতিক পরিবেশও অনেক উন্নত হয়েছে।

   

একজন গৃহিনীর আন্তরিক আমন্ত্রনে আমরা একটি কৃষক পরিবারে গেলাম। বাসায় টেলিভিশন, রিফ্রিজ্যারেটর, কাপড় কাচা যন্ত্র প্রভৃতি বাড়িতে বৈদ্যুতিক ব্যবহার্য দ্রব্য আছে। আলমারির উপরে একটি টেলিফোনও আছে। বাড়ির গৃহিনী গৌরবের সঙ্গে বলেছেন, এই টেলিফোনের মাধ্যমে যেমন সারা দেশের তেমনি সারা বিশ্বে টেলিফোন করা যায়।

    গৃহিনী কলেছেন, তাঁর পরিবারে মোট পাঁচ জন সদস্য আছে। ইট ও কাঠের এই নতুন বাড়ি সাত বছর আগে নির্মিত হয়েছে। আগেকার বাড়ির চেয়ে এখনকার বাড়ি অনেক বড় ও ভাল হয়েছে। গৃহিনী বলেছেন, এখন আমাদের খাওয়া ও পরার কোনো সমস্যা নেই। আমরা এখন সে জীবনযাপন করছি, তা আগে আমরা কোনোমতেই ভাবতে পারতাম না।

    এই পরিবারের গৃহিনীর কাছ থেকে বিদায় নেয়ার পর আমরা দোতলাবিশিষ্ট একটি বাসায় আসলাম।

    এই পরিবারের মালিক মা চ্যান সানের সঙ্গে কথা হচ্ছিলো।

    উনি আমাদের জানিয়েছেন, তার দুতলাবিষ্ট বাগি গত বছর সম্পন্ন হয়েছে। এটা নির্মান করার জন্য ৫০ হাজারেরও বেশি ইউয়ান খরচ করা হয়েছে। তার বাসার আশেপাশে কমপক্ষে পাঁচ ছ'টি দুতলাবিশিষ্ট করা হয়েছে।

   

তার পর আমরা মা লু ছান নামে গ্রামের একজন শ্রদ্ধেয় বুদ্ধের সাক্ষাত্কার নিলাম। তিনি জেলার রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের একজন সদস্য। তিনি জনসাধারনের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে বহু কল্যান মূলক প্রস্তাব উন্থাপন করেছেন। যেমন গ্রামে বিদ্যুতের দাম বেশি ছিল। তার ভার বহন করার সামর্থ্য গ্রামবাসীরা ছিলোনা। তার প্রস্তাবটি পেয়ে জেলার বিদ্যুত্ ধ্যুরো বিদ্যুত্ সরবরাহের ব্যবস্থার ব্যাপারে পূনর্গছনের কাজ চালিয়েছে। ফলে প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুতের খরচ মাত্র অর্ধেক ইউয়ান।

    জেলার রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের সদস্য হিসেবে মা লু ছাং গ্রামের জন্য আরো বেশি কল্যান মুলক কাজ করেছেন।