হোপেই প্রদেশের শ্রম ও সামাজিক বীমা ব্যুরো সূত্রে আমাদের সংবাদদাতা জানিয়েছেন, হোপেই প্রদেশের সরকার সম্প্রতি "বেকার বীমা প্রবর্তনের পদ্ধতির" সংষ্কার করেছে। নতুন পদ্ধতি অনুযায়ী, বীমাভূক্ত অঞ্চলের শহর পর্যায়ের সরকারের স্থানীয় বেকার বীমা তহবিলের অর্থপ্রদানের সামর্থ্য অনুযায়ী, বেকার বীমা অঞ্চলভূক্ত চুক্তিবদ্ধ শহরে কর্মরত গ্রামীণ শ্রমিকদের জন্য ধাপে ধাপে শহুরে শ্রমিকদের মতো একই বেকার বীমা ব্যবস্থা প্রবর্তিত হবে।
নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বীমাভূক্ত অঞ্চলের শহর পর্যায়ের প্রশাসনিক অঞ্চলের বেকার বীমার আওতাভূক্ত শহরে কর্মরত গ্রামীণ শ্রমিকদের জন্য শহুরে শ্রমিকদের সমান বেকার বীমা ব্যবস্থা প্রবর্তিত হবে কিনা তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার আছে।যদি একই বেকার বীমা ব্যবস্থা প্রবর্তিত হবে, তাহলে শহুরে শ্রমিকদের মতো শহরে কর্মরত গ্রামীণ শ্রমিকরাও নিজের আয়ের ১ শতাংশ নিয়ে বেকার বীমায় অংশ নিতে পারবে। বেকার বীমার অর্থ পাওয়ার শর্ত পূরন করতে পারে এমন শহরে কর্মরত গ্রামীণ শ্রমিক সর্বোচ্চ ২৪ মাসের বেকার বীমার জন্যে অর্থ আবেদন করতে পারবে এবং চিকিত্সা সহায়তা অর্থ, পেশাগত প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান অনুসন্ধান পরিসেবা উপভোগ করতে পারবে। যদি ভিন্ন বেকার বীমা ব্যবস্থা প্রবর্তিত হয়, তাহলে কর্মস্থান থেকে বেতনের ২শতাংশ নিয়ে বেকার বীমার কিস্তি জমা দিতে হবে, শহরে কর্মরত গ্রামীণ শ্রমিকদের নিজেদের এই খরচ দিতে হয় না। পুরোন চুক্তির মেয়াদ পূর্ণ হবার নতুন চুক্তি না হলে বা মেয়াদের আগে চুক্তি বাদ দেয়া হলে শহরে কর্মরত গ্রামীণ শ্রমিকরা সর্বোচ্চ ৯ মাসের জীবন রক্ষা সহায়তার অর্থ পাবে, কিন্তু অন্য বেকার বীমা সুবিধা পাবে না।
হোপেই প্রদেশের শ্রম ও সামাজিক বীমা ব্যুরোর বেকার বীমা বিভাগের মেন ইয়ান ফিং বলেছেন, হোপেই প্রদেশের নতুন "বেকার বীমা প্রবর্তনের পদ্ধতি" কৃষকদের শহরে গিয়ে কাজ করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সুরক্ষা ব্যবস্থা যুগিয়ে দিয়েছে, তা শহর ও গ্রামাঞ্চলের সার্বিক অর্থনীতির উন্নয়ন ও সারা দেশের কর্মসংস্থানের পরিস্থিতির অনুকূল।
|