v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-04-28 17:18:35    
পেইচিং গ্রহায়তন

cri
    পেইচিং গ্রহায়তন তথা প্ল্যানেটরিয়াম পেইচিংয়ের পশ্চিমাংশের কর্মব্যস্ত এলাকায় অবস্থিত । এর আঙিনার গেটে ঢুকলে একটি বিশেষ নতুন স্থাপত্যরীতির স্থাপত্যকর্ম চোখে পড়ে । বাইরে থেকে বিরাট কাচের দেয়ালের ভেতরের বিরাট গোলক আর অন্যান্য বেশ কয়েকটি জিনিসের আশ্চয আকৃতি ঝাপ্সাভাবে দেখা যায় । এসব নিয়ে মহাশূণ্যের বিশালতা , গভীরতা আর রহস্যপূণর্তার বৈশিষ্ট্য গড়ে উঠে । এটিই সদ্য-উন্মুক্ত পেইচিং গ্রহায়তনের নতুন ভবন ।

    লন্ডন থেকে আসা এন্ড্রু সেন্ডার্স্ হচ্ছেন একজন ডিজাইনার । তিনি সংবাদদাতাকে বলেছেন,

    "আমি চীনে ভ্রমণ করতে এসেছি । আমি আর আমার ভ্রমণসংগীরা গতকাল এই স্থাপত্যকর্মের সামনে দিয়ে যাই । এটি দেখে আমাদের কৌতূহল জন্মেছে । তাই আজ দেখতে এসেছি । এটি হচ্ছে একটি খুবই মহান খুবই সুন্দর স্থাপত্যকর্ম ।"

    পেইচিং গ্রহায়তনের মধ্যে ডিজিটাল স্পেস থিয়েটারই সবচেয়ে বিখ্যাত । এই থিয়েটারে বিশ্বের সবচেয়ে উন্নত ডিজিটাল প্রোজেক্ট ব্যবস্থা বসানো হয়েছে । পেইচিং গ্রহায়তনের প্রধান চু চিং সংবাদদাতাকে বলেছেন ,

    "এই ব্যবস্থা , তা কম্পিউটার ব্যবস্থাই হোক আর আলোকরশ্মি-প্রক্ষেপন ব্যবস্থাই হোক , কতর্মানের সবচেয়ে উন্নত প্রযুক্তিমানের প্রতিনিধিত্ব করে । এই দুই ধরণের প্রযুক্তির সমন্বয়ে এমন একধরণের ফল পাওয়া যায় যা দশর্করা আগে অন্য কোনো জায়গায় দেখেন নি ।"

    সেদিন দেখানো ছবির নাম "জীবন অন্বেষণ" । কৃত্রিম মহাশূণ্যের আওয়াজের মধ্য দিয়ে দশর্করা একবার মহাশূণ্য ভ্রমণ অনুকরণ করেন । গোলাকার থিয়েটারে গম্বুজ ও দেয়াল নিয়ে গঠিত একটি বিশাল পর্দায় দেখানো সুবিশাল মহাশূণ্যে যেনো তারকাগুলো দশর্কদের কাছে জ্বলজ্বল করছে , পৃথিবী যেনো তাদের চোখের সামনে ঘুরছে , তারা যেনো মহাশূণ্যে তারকাগুলোর মধ্যে ছুটছে , এমন কি মংগলগ্রহে আরোহণ করছে , অসংখ্য বালুকা আর পাথর যেনো তাদের সামনে ছুটে আসছে ।

    বৃটেনের পযর্টক সেন্ডার্স্ ছবি দেখার পর বলেছেন ,

    "যদিও আমি চীনাভাষা বুঝি না তবুও সেই সব চমত্কার চিত্রের মাধ্যমে আমি উপলব্ধি করতে পারি , সুবিশাল মহাশূণ্যে মানুষ কত ছোটো । এটি একটি নতুন গ্রহায়তন । তাই বিশ্বের অন্যান্য পুরানো গ্রহায়তনের চেয়ে এটি বেশী চমত্কার" ।

    গ্রহায়তনের নতুন ভবনের মধ্যে থ্রি-ডাইমেন্শনাল ফিল্ম দেখানোর দুটো থিয়েটারও রয়েছে।

    হাইটেক ব্যবহার করে দেখানো জ্যোতিবির্দ্যা অনুষ্ঠান দশর্কদের ব্যাপক সমাদর পেয়েছে । প্রতিটিবার উত্সব ও ছুটির দিনে পেইচিং গ্রহায়তনের টিকেট অফিসের সামনে দশর্কদের লম্বা লাইন দেখা যায় ।

    থিয়েটারের ছবি ছাড়াও পেইচিং গ্রহায়তনের নতুন ভবনের প্রদশর্নীও অনুরূপভাবে আকষর্ণীয় । বতর্মানে সৌরজগত , গ্যালাক্সি ও চীনের জ্যোতিবির্দ্যার ইতিহাস ইত্যাদি ক্ষেত্রের যে প্রদশর্নী চলছে তাতে সূয সম্পকির্ত প্রদশর্নী কক্ষে দশর্কদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশী ।

    এই প্রদশর্নী কক্ষের পটভূমি হচ্ছে আকাশ । দশর্করা এই কক্ষে ঢুকলে এমন একটা অনুভূতি পান যে , তারা যেনো আকাশে ঢুকেছেন । একজন মানুষের সমান উঁচু কমলা রঙের সূযের মডেল প্রদশর্নীকক্ষের কেন্দ্রস্থলে দন্ডায়মান । দ্বিখন্ডিত সূযের মডেল থেকে দশর্করা সূযের গঠন পরিষ্কারভাবে জানতে পারেন । এই প্রদশর্নীকক্ষে বসানো সান ভ্যাকিউয়াম টেলিস্কোপের মাধ্যমে দশর্করা তাত্ক্ষণিকভাবে এক দশমিক আট মিটার ব্যাসের আসল সূযের চিত্র দেখতে পারেন । জানা গেছে , এটা হচ্ছে বতর্মানে বিশ্বের যাবতীয় গ্রহায়তনে দেখতে পারা বৃহত্তম সূযের চিত্র ।

    পেইচিং গ্রহায়তনের পুরোনো ভবন নতুন ভবনের পশ্চিম পাশে অবস্থিত । প্রাচীন স্থাপত্যরীতির পুরোনো ভবন ও আধুনিক স্থাপত্যরীতির নতুন ভবন পরস্পরের পরিপূরকস্বরূপ । এ দুটোর সমন্বয়ে পেইচিং গ্রহায়তন আরো পূর্ণাংগ ,আরো সুন্দর হয়েছে ।