চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও ২৫শে এপ্রিল ইন্দোনেসিয়ার প্রেসিডেন্ট সুসিলোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন । সুসিলোর সঙ্গে স্বাক্ষরিত একটি যুক্ত ঘোষনায় দুদেশের জনগণের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য দুটি দেশের মধ্যে রণনৈতিক অংশীদার সম্পর্ক স্থাপনের কথা ঘোষণা করা হয়েছে ।
আলোচনা বৈঠকে হু চিন থাও বলেছেন , চীন ও ইন্দোনেসিয়ার মধ্যে মৈত্রী ও সহযোগিতা বাড়ানো দুটি দেশের মৌলিক স্বার্থের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ এবং আঞ্চলিক তথা বিশ্বশান্তি ও উন্নয়নের অনুকুল । চীন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উজ্জ্বল ভবিষ্যত সম্বন্ধে আশাবাদী ।
প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও ইন্দোনেসিয়ার সঙ্গে রণনৈতিক অংশীদার সম্পর্ক জোরদারের লক্ষ্যে সাতটি প্রস্তাব পেশ করেছেন । এই সাতটি প্রস্তাব হলো দুদেশের মধ্যে রণনৈতিক আলোচনা বাড়ানো , প্রথম বছরে দুদেশের প্রেসিডেন্টের সফরবিনিময় বাস্তবায়ন , অর্থনৈতিক ও বানিজ্যিক সহযোগিতা বাড়ানো , নিরাপত্তা ক্ষেত্রের সহযোগিতা বাড়িয়ে প্রতিরক্ষা বিষয়ক আলোচনা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা , প্রাকৃতিক দুর্যোগ প্রতিরোধ ক্ষেত্রের সহযোগিতা বাড়ানো ,সামাজিক আদান-প্রদান বাড়ানো , চীন-আসিয়ান সম্পর্ক আর পূর্ব এশিয়ার সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানো আর উন্নয়নশীল দেশগুলোর সঙ্গে ঐক্য ও সহযোগিতা বাড়ানো ।
প্রেসিডেন্ট সুসিলো হু চিন থাওয়ের প্রস্তাবগুলোর প্রতি সক্রিয় সমর্থন জানিয়ে বলেছেন , এশিয়া ও আন্তর্জাতিক ব্যাপারাদিতে চীন যে সক্রিয় ভুমিকা নিয়েছে , ইন্দোনেসিয়া তার উচ্চ মূল্যায়ন করে । দুদেশের মধ্যে রণনৈতিক অংশীদার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর দুদেশের সহযোগিতার ক্ষেত্র আরো প্রসারিত হবে । সুসিলো পুনরায় ঘোষনা করেছেন , ইন্দোনেসিয়া একচীনের নীতিতে অটল থাকবে এবং চীনের দেশের একায়ন বাস্তবায়নের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে ।
|