চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও ২৩ এপ্রিল ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় এশিয়ান-আফ্রিকান শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী জাতি সংঘের মহা সচিব কোফি আন্নান ও বেশ কিছু দেশের নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেছেন ।
আন্নানের সঙ্গে সাক্ষাত্কালে হু চিন থাও বলেছেন , জাতি সংঘের সংস্কারে প্রচুর পরামর্শ ও প্রস্তুতি দরকার , যাতে ব্যাপক মতৈক্য পাওয়া যায় । সঙ্গে সঙ্গে চীন মনে করে জাতি সংঘে উন্নয়নশীল দেশের প্রতিনিধিত্ব বাড়ানো দরকার ।
অন্যদিকে তাজিকিস্তানের প্রেসিডেন্ট এমোমালি রাখমনোভের সঙ্গে সাক্ষাত্কালে দু'দেশের আদান-প্রদান ও সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে যে সফলতা অর্জিত হয়েছে , হু চিন থাও তার উচ্চ প্রশংসা করেছেন । সাংহাই সহযোগিতা সংস্থা ও অন্যান্য আন্তর্জাতিক সংস্থার কাঠামোয় দু'দেশ যে সহযোগিতা করেছে , হু চিন থাও তারও সক্রিয় মুল্যায়ন করেছেন ।
এরপর ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের সঙ্গে সাক্ষাত্কালে হু চিন থাও বলেছেন , সীমান্ত সমস্যা সমাধানের রাজনৈতিক নীতির ওপর দু'দেশ মতৈক্যে পৌঁছেছে , এটি সীমান্ত সমস্যা সমাধান করার জন্য সুষ্ঠু ভিত্তি স্থাপন করেছে ।
মায়ানমারের শান্তি ও উন্নয়ন কমিশনের চেয়ারম্যান থান স্ভির সঙ্গে সাক্ষাত্ করার সময় হু চিন থাও বলেছেন , দেশের স্থিতিশীলতা রক্ষা করা , জাতীয় সমঝোতা ত্বরান্বিত করা ও কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রসারিত করার জন্য মায়ানমার সরকার যে প্রয়াস চালিয়েছে , চীন তা সমর্থন করে।
সংশ্লিষ্ট দেশের নেতারাও বলেছেন , তাঁরা চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা ও দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে ইচ্ছুক ।
|