(মুশাররাফের সঙ্গে হু'র সাক্ষাত) চীনের প্রেসিডেণ্ট হু চিন থাও ২৩ এপ্রিল সকালে ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় এশিয়ান-আফ্রিকান শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী মায়ানমার শান্তি ও উন্নয়ন কমিটির চেয়ারম্যান থান শেই, সুদানের প্রেসিডেণ্ট আল-বাশির এবং ঘানার প্রেসিডেণ্ট জন কুফোরের সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে সাক্ষাত করেছেন। সাক্ষাত্কালে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং এশিয়ান-আফ্রিকান সহযোগিতা ইত্যাদি সমস্যা নিয়ে তাঁদের সঙ্গে হু চিন থাও মত বিনিময় করেছেন।
(জ্ঞানেন্দ্রের সঙ্গে হু'র সাক্ষাত)
এর আগে ২২ এপ্রিল, শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী আলজেরিয়া, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড, নেপাল এবং পাপুয়া নিউগিনি ইত্যাদি দেশের নেতাদের সঙ্গেও হু চিন থাও আলাদ আলাদাভাবে বৈঠক করেছেন।
আলজেরিয়ার প্রেসিডেণ্ট আব্দেলাজিজ বোটেফ্লিকার সঙ্গে সাক্ষাত্কালে হু চিন থাও বলেছেন, চীন আলজেরিয়ার সঙ্গে দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা চালাতে ইচ্ছুক।
(থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হু'র সাক্ষাত)
পাকিস্তানের প্রেসিডেণ্ট মুশাররাফের সঙ্গে সাক্ষাত্কালে হু বলেছেন, দু'দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের নতুন বিষয়-বস্তু যোগ করে চীন-পাক রণনৈতিক সহযোগিতামূলক অংশীদারি সম্পর্ক জোরদার করার জন্য পাকিস্তানের সঙ্গে চীন যৌথ প্রয়াস চালাতে ইচ্ছুক।
নেপালের রাজা জ্ঞানেন্দ্রের সঙ্গে সাক্ষাত্কালে হু চিন থাও বলেছেন, এ বছর চীন-নেপাল কূটনৈতিক সমপর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বার্ষিকী। এ উপলক্ষে "প্রতিবেশির সঙ্গে সদিচ্ছা, প্রতিবেশির সঙ্গে বন্ধুত্ব" নীতি এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের পঞ্চশীল নীতিতে নানা ক্ষেত্রে দু'দেশের যোগাযোগ এবং সহযোগিতা গভীরতর করা এবং ঐতিহাসিক বন্ধুত্বপূর্ণ সুপ্রতিবেশিমূলক চীন-নেপাল সম্পর্ক ত্বরান্বিত করতে চীন ইচ্ছুক।
(পাপুয়া নিউগিনির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হু'র সাক্ষাত)
এই দেশগুলোর সকল নেতৃবৃন্দ একই মত প্রকাশ করে বলেছেন যে, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অব্যাহত উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে এবং চীনের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা সম্প্রসারিত করতে তারাও ইচ্ছুক।
|