ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী জেন পিয়েরে রাফারিন ২১ এপ্রিল পেইচিংয়ে বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন পরিষদের চীনের উপর আরোপিত অস্ত্র-বিক্রি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার সাম্প্রতিক মতাধিষ্ঠান পরিবর্তন খুব অযৌক্তিক।
সম্প্রতি চীনের উপর আরোপিত অস্ত্র-বিক্রি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ক্ষেত্রে কিছু দেশ মানবাধিকার সম্পর্কিত শর্ত জুড়ে দিয়েছে। রাফারিন আর চীনের প্রধানমন্ত্রীর যৌথভাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ফ্রান্স ই ইউ পরিষদের সম্প্রতিক সিদ্ধান্ত সমর্থন করে, এবং নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার জন্য ই ইউ-এর বিভিন্ন দেশকে অব্যাহতভাবে উদ্বুদ্ধ করবে। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, ফ্রান্স মানবাধিকারের ক্ষেত্রে ফ্রান্স ও চীনের আদান-প্রদানের উপর গুরুত্ব দেয়।
চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও বলেছেন, চীনের উপর আরোপিত অস্ত্র-বিক্রি নিষেধাজ্ঞা হলো স্নায়ু-যুদ্ধকালীন নীতি। তা শুধু চীন-ইউরোপ সার্বিক রননৈতিক অংশীদারীত্বের সম্পর্কের সঙ্গেই অসমঞ্জস নয়, বরং এক রকমের রাজনৈতিক পক্ষপাতও বটে। চীন পক্ষ তাতে তীব্র আপত্তি করে। মানবাধিকার সম্পর্কে ওয়েন চিয়া পাও বলেছেন, চীন পক্ষ মানবাধিকার সমস্যায় সংলাপ চালাতে ইচ্ছুক, কিন্তু তা নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের শর্ত হোর, তা চায় না।
রাফারিন আবার জোর দিয়ে বলেছেন, ফ্রান্স এক চীন নীতি অনুসরণ করে এবং চীনের সরকার দু'তীরের ব্যাণিজ্যক সম্পর্ক জোরদার করা-সহ থাইওয়ান সমস্যা সমাধানে যে প্রয়াস চালিয়েছে, ফ্রান্স তার উচ্চ পর্যায়ের মূল্যায়ন করে।
|