চীনের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া পাও ২১ এপ্রিল পেইচিংয়ে সফররত ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী রাফারিন-এর সঙ্গে সাক্ষাতকালে বলেছেন, চীন এবং ফ্রান্সের উচিত বিশ্বের শান্তি ও উন্নয়নের স্বার্থে উচ্চস্তরের দায়িত্ববান দৃষ্টিভংগী নিয়ে দু'দেশের সার্বিক রণনৈতিক অংশীদার সম্পর্ক অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা এবং মিলিতভাবে বিশ্বের শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধি বাস্তবায়নের জন্য অবদান রাখা।
ওয়েন চিয়া পাও চীন ও ফ্রান্সের সম্পর্কের সক্রিয় মূল্যায়ণ করেছেন। তিনি আশা করেন, চীন এবং ফ্রান্স জাতি সংঘ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদেশ হিসেবে অব্যাহতভাবে উচ্চ পর্যায়ে পারস্পরিক আদান-প্রদান বজায় রাখবে, জাতি সংঘ সহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থায় সমন্বয় ও সহযোগিতা ঘনিষ্ঠ করবে,সক্রিয়ভাবে আর্থ-বাণিজ্যিক সম্পর্ক ত্বরান্বিত করবে, শক্তি সম্পদ, পরিবহন, বিমান চলাচল, কৃষি আর পরিবেশ সংরক্ষণ ইত্যাদি ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার করবে এবং বিভিন্ন ধরনের আন্তঃসরকার সহযোগিতা ব্যবস্থাপনা গঠন ও উন্নয়ন করবে।
রাফারিন বলেছেন, ফ্রান্স দু'দেশের আর্থ-বাণিজ্যিক সম্পর্ককে শুভ দৃষ্টিতে দেখে। ফ্রান্স চীনের সঙ্গে পারস্পরিক উপকারিতার ভিত্তিতে পুরোপুরিভাবে উভয়ের পরিপুরক সুবিধা কাজে লাগিয়ে বাণিজ্য, শক্তি সম্পদ, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্রে সহযোগিতা জোরদার , অব্যাহতভাবে সংস্কৃতি এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে আদান-প্রদান ত্বরান্বিত করার আশা পোষণ করে।
বৈঠকের পর দু'দেশের দুই প্রধানমন্ত্রী কৃষি, বিমান চলাচল এবং শক্তি সম্পদ ইত্যাদি ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন।
|