জাপানের কিছু সংবাদ মাধ্যম ও বিশিষ্ট ব্যক্তি সম্প্রতি বলেছেন , ইতিহাস সম্পর্কে জাপানের ভুল মনোভাব তার কূটনীতির অচলাবস্থা ডেকে এনেছে ।
১২ এপ্রিল প্রকাশিত "আসাহি শিম্বুন" পত্রিকার সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে , এশিয়া , বিশেষ করে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক জাপানের কূটনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভে পরিণত হয়েছে । কিন্তু জাপানের কূটনীতি এখন নির্ভুল পথ থেকে বিচ্যুত হচ্ছে । প্রধানমন্ত্রী কোইজুমি জুনিচিরোর ইয়াসুকোনি মন্দিরে শ্রদ্ধা তর্পনে অবিচল থাকাই তার মূল কারণ । ৬ এপ্রিল প্রকাশিত এই পত্রিকার সম্পাদকীয়তে ইতিহাস বিকৃতকারী পাঠ্যপুস্তককে স্কুলের ব্যবহারযোগ্য বলে অনুমোদন দেওয়ায় জাপানের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞান বিভাগেরও সমালোচনা করা হয়েছে ।
জাপানের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ত্বরান্বিতকরণ সমিতির প্রধান ইয়োশিও নাকাতা সম্প্রতি বলেছেন , জাপানের যুদ্ধোত্তর শিক্ষায় বিরাট সমস্যা বিদ্যমান । জাপানের আগ্রাসী যুদ্ধ বাধানোর ইতিহাস সম্পর্কে অনেকের উপলব্ধি গভীর নয় । জাপানের নেতাদের উচিত্ মনোযোগের সঙ্গে বিবেচনা করা ।
"আকাহাতা" পত্রিকায় প্রকাশিত সুরকার শিনিছিরো ইকেবে'র একটি প্রবন্ধে বলা হয়েছে , জাপান সরকার সঠিকভাবে অতীত উপলব্ধি এবং অনুশোচনা করলেই কেবল ভবিষ্যত সৃষ্টি করতে পারবে ।
|