v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-04-13 19:18:15    
সিন্চিয়াংয়ের যোগাযোগ ব্যবস্থার নির্মানকাজ

cri

(সিন্চায়াংয়ের বিমান বন্দর)

    পশ্চিম চীনের সিন্চিয়াং উইগুর স্বায়ত্ত শাসিত অঞ্চল চীনের মোট আয়নের এক ষষ্ঠাংশ। এটা চীনের বৃহত্তম প্রদেশ পর্যায়ের অঞ্চল। বিস্তীর্ণ আয়তন এই অঞ্চলের পক্ষে একটি গৌরবের ব্যাপার। কিন্তু অনুনুত যোগাযোগ ব্যবস্থাও সিন্চিয়াংয়ের অর্থনীতার উন্নয়ন আর বাইরের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য অসুবিধা ডেকে এনেছে। গত শতাদ্বির শেষ দিকে থেকে সিন্চিয়াংয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার নির্মানকাজ জোরদার হয়েছে এবং একস্প্রেস ওয়ে, রেলপথ আর বেসামরিক এয়ারলাইন্স নিয়ে গঠিত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে।

    মিচিদি জাফর একজন বাসের চালক। তার কাজ এক দিনের মধ্যে উরুমুচি থেকে কাশ গর পর্যন্ত দূর পাল্লার বাস চালানো। সিন্চিয়াংয়ে সড়ক ও যোগাযোগ ব্যবস্থার পরিবর্তন প্রসংগে তিনি আবেগের সঙ্গে বলেছেন, গত শতাদ্বির আশির দশকে উরুমুচি থেকে বাসে করে ১ হাজার ৩ শো কিলোমিটার দূরে কাশগর যাওয়অর জন্য তিন দিন সময় লাগতো। পথে দু'রাতে হোটেলে থাকা প্রয়োজন। এখন উরুমুচি থেকে কাশগর পর্যন্ত একসপ্রেস ওয়ে নির্মান করা হয়েছে। আমতে-যেতে সময় অনেক লাগে। তিনি বলেছেন, আগে সড়কের অবস্থা ভাল ছিল না বলে বাসের আয়ুও কমে যেতো এবং বেশি সময় লাগার কারনেও পর্যটকরা করে বাইরে যেতে অনিচ্ছুক। এখন একসপ্রেস ওয়ে নির্মিত হয়েছে, পর্যটকের সংখ্যা বেশি হয়েছে।

    গত দশ-বারো বছরে সিন্চিয়াংয়ে সড়কের নির্মানকাজ দ্রুত প্রসারিত হয়েছে। উরুমুচি থেকে কাশগর পর্যন্ত একসপ্রেস ওয়ে ছাড়া উরুমুচি থেকে পূর্ব, পশ্চিম আর উত্তরাংশ পর্যন্ত যথাক্রমে চার শো কিলোমিটারেরও বেশি একসপ্রেস ওয়ে-এর নির্মানকাজ ফলমূল উত্পাদিত হয়। ১৯৯৮ সালের আগে তুরুফান থেকে উরুমুচিতে যাওয়ার জন্য গড়িতে করে দশাধিক ঘন্টা লাগতো। এখন একসপ্রেস ওয়ে নির্মিত হয়েছে, শুরু তিন চার ঘন্টা সময় লাগে। স্থানীয় অধিবাসী মুহামে চিনাইতি সংবাদদাতাকে বলেছেন, একসপ্রেস ওয়ে নির্মিত হবার পর আমাদের আসা যাওয়ার জন্য অনেক সুবিধা হয়েছে। উশ্চ পর্যায়ের একসপ্রেস ওয়ে ছাড়া সিন্চিয়াংয়ে যাত্রী ও মাল পরিবহনের জন্য ৬৮টি আন্তর্জাতিক সড়কও চালু হয়েছে। গত বছর সিন্চিয়াং থেকে বাইরে যাওয়া আর বাইরে থেকে সিন্চিয়াংয়ে আসা যাত্রাদের সংখ্যা ১ লক্ষে দাঁড়িয়েছে। আমদানি আর রফতারির পন্যের পরিমান ১০ লক্ষ টনেরও বেশি। গত বছরের শেষ দিকে পর্যন্ত সিন্চয়াংয়ে সড়কের দৈর্ঘ্য ৮০ হাজার কিলোমিটারেরও বেশি হয়েছে। স্বয়ও শাসিত অঞ্চলের যোগাযোগ বিভাগের পরিচালক মুথিয়েলিফ হাসম বলেছেন, সড়কের যোগাযোগ ছাড়া সিন্চিয়াংয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল ব্রতও দ্রুত প্রসারিত হয়েছে। বর্তমানে দেশের বিভিন্ন বড় শহর আর আশেপাশের কতকগুলো দেশের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ স্থাপন করার জন্য সিন্চিয়াং বিমান কোম্পানির উদ্যোগে ৬০টি অভ্যন্তরীন এয়ার লাইন্স আর ছ'টি আন্তর্জাতিক এয়ার লাইন্স চালু হয়েছে। এখন পেইচিং, শাংহাই, কুয়াংচৌ ইত্যাদি বড় শহর থেকে উরুমুচি পর্যন্ত প্রতিদিন কয়েকটি ফ্লাইট আছে। এ সব শহর থেকে উরুমুচি পর্যন্ত বিমানে শুরু চার ঘন্টা লাগে। যখন ছুটি, তখন উরুমুচি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে প্রতিদিন ৯০টি ফ্লাইট উড্ডয়ন বা অবতরন করা হয়। দিনে যাত্রীর সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি।

    উইগুর জাতীয় ম্যাদাম মালিয়া উফুর বিমানে চাকারি করেন। সিন্চায়াংয়ের বেসামরিক বিমান চলাচল ব্রতের উন্নয়ন প্রসংগে তিনি বলেছেন, আগে সিন্চায়াংয়ে শুধু ছোট বিমান ব্যবহার করা হতো। উরুমুচি থেকে হোথিয়েন পর্যন্ত কয়েকবার থামতে হতো। আসা যাওয়ার জন্য দশাধিক ঘন্টা লাগতো। এখন বোয়িং ৯০৯ বিমানে করে মাত্র এক ঘন্টা প্রয়োজন।

    সড়ক ও বিমানের পরিবহন ছাড়া সিন্চায়াংয়ে রেলপথও একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবহনের হাতিয়ার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন সিন্চায়াং দুটো বিরাট রেলপথের মাধ্যমে পূর্ব ও পশ্চিমের সংগে সংযুক্ত হয়েছে। একটি হল পূর্ব চীনের চিয়াংসু প্রদেশের লিয়ান ইউন কাং শহর থেকে উত্তর ইউরোপের নেদারল্যান্ডের রটারডাম পর্যন্ত এবং অন্য একটি রেলপথ হল পূর্বের তুরুফান থেকে পশ্চিমের কাশগর পর্যন্ত।

    উরুমুচি থেকে ট্রেরে করে যেমন প্রত্যক্ষভাবে পেইচিং, শাংহাই, সি আন, ছেনতু ইত্যাদি চীনের বড় বড় শহরে যাওয়া যায়, তেমনি আন্তর্জাতিক রেলগাড়িতে কাজাখস্তানের রাজধানী আলমা আতায়ও যাওয়া যায়।