ছোট বেলা থেকে রেডিও শুনতে আমার খুব ভালো লাগে, শত ব্যস্ততার মাঝেও মনের খোরাক পুরম করতে । রেডিওর কিছু নিয়মিত অনুষ্ঠান শুনি । এভাবে রেডিও শোনাটা এখন আমার অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। ২০০০ সালের কোনও এক দিন মামার বাড়িতে বেড়াতে যাই । দিনটি ছিল শনিবার, রাত তখন ৯টা ৩০ মিনিট। টেবিলের উপর রাখা মামার ছোট পকেট রেডিওটা হাতে নিয়ে পাশের চেয়ারে বসে পড়লাম। ক্ষুদ্র যন্ত্রটি অন করে রেডিও সেন্টার ধরতে নব এদিক সেদিক ঘুরাচ্ছিলাম। হঠাত্ সুমধুর কন্ঠে ভেসে এলো "চীন আন্তর্জাতিক বেতার"। আমি অবাক হয়ে, কৌতুহল নিয়ে রেডিওটা কানের কাছে চেপে ধরলাম। এবং মনোযোগ দিয়ে পুরো অনুষ্ঠান উপভোগ করলাম। প্রথমে বুঝতে না পারলেও , পরে নিশ্চিত হলাম। এটি পেইচিং থেকে প্রচারিত সি আর আই এর বাংলা অনুষ্ঠান। সেই থেকে সি আর আই এর বাংলা অনুষ্ঠান আমি নিয়মিত মনোযোগ দিয়ে শুনে আসছি।
দীর্ঘ ৪ বছর সি আর আই এর বাংলা অনুষ্ঠানের সঙ্গে আমি ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে আছি। দিন যতো যায় সি আর আই -এর সঙ্গে আমার অকৃত্রিম ভালোবাসা আরও জমাট বাঁধতে থাকে। এভাবে সি আর আই বাংলা ভিবাগের এর প্রতিটি অনুষ্ঠান আমার কাছে নৈপূণ্যময় ও মোহনীয় হয়ে উঠেছে।
সি আর আই -এর বেশ ক'টি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান আমার খুব প্রিয়। যেমন, চীনকে জানুন , চাওয়া পাওয়া, এসো চীনা ভাষা শিখি, এ সব অনুষ্ঠান প্রচার কেবল শ্রোতা সংখ্যাই বৃদ্ধি করে না, বরং চীন দেশ দেখারও চিরন্তন আগ্রহ জাগিয়ে তোলে। কিন্তু আমাদের মতো অনেক শ্রোতা আর্থিক সামর্থ্যের অভাবে মনের অনেক ইচ্ছাই বিসর্জন দিতে হয়। তবে সি আর আই এর অনুষ্ঠান শুনে চীন ভ্রমনের তৃপ্তি কিছুটা হলেও মেটাই। এ ছাড়া সপ্তাহ জুড়ে অন্যান্য অনুষ্ঠানের মানও কষ্টি পাথর যেন , যাতে সি আর আই এর উত্কর্ষতা প্রকাশ পায়। হাজারো শ্রোতার মতামত প্রকাশের স্থানেআজ হয়তো আমিও সুযোগ পেয়েছি, অন্তর কথাকে প্রকাশ করতে।
২০০৪ সালে সি আর আই এর উপস্থাপক উপস্থাপিকাগনের ছবি সম্বলিত টেবিল ক্যালেন্ডার ও বাসুন্তিক শুভেচ্ছা পত্র পেয়ে আমি এবং আমার পরিবারের সকলেই সীমাহীন আনন্দ প্রকাশ করেছি। সি আর আই শুধু আমার কাছেই প্রিয় নয়, আমার পরিবারের সকল সদস্যের কাছে প্রিয়। বিশেষ করে আমার মা সি আর আই এর অনুষ্ঠান নিয়মিত শুনে থাকেন, তিনি খবর শুনতে বেশি পছন্দ করেন।
সি আর আই এর অতীত এবং বর্তমানের প্রতিটি অনুষ্ঠান আমার জীবনে আনন্দ স্মৃতি হয়ে থাকবে।
মোঃ ওবায়দুল হক রেজার (সংগঠনিক সম্পাদক)
বেলকুচি হ্যালো ফ্রেন্ডস বেতার শ্রোতা সংঘ
সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ
|