v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-04-07 11:02:29    
২০০৪ সালে চীনা নারীদের কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা

cri
    ২০০৪ সাল সবার কাছেই এক অসাধারণ বছর , এই সালের অনেক ঘটনা স্মরণযোগ্য, বলাবাহুল্য নারীদের অনেক ঘটনাও উল্লেখযোগ্য ।

    এথেন্স অলিম্পিক গেমসে চীনা নারী

    এথেন্স ওলিম্পিক গেমসের পর লোকেরা বলে থাকেন যে, ক্রীড়াজগতে নারী-বীরের যুগএসে গেছে ।এবারের ওলিম্পিক গেমসে চীনানারী ক্রীড়াবিদরা সবচেয়ে আকষর্ণীয়লোক ছিলেন , চীনের পাওয়া ৩২টি স্বর্ণ-পদকের মধ্যে ২০টি নারী ক্রীড়াবিদ অর্জনকরেছেন।একজন বন্ধু ইন্টারনেটে চীনা নারী ভলিবল দলের প্রশংসা করেছেন যে:"আপনারা চীনা ক্রীড়া প্রতিনিধি দলের সমষ্টিগত মর্যাদারক্ষা করেছেন , আপনারা ঘনিষ্ঠভাবে ঐকবদ্ধ হয়ে এক বজ্রমুষ্টিতে পরিনত হয়েছেন , আপনাদের কারণে চীনা জনগনের সমষ্টিগত প্রতিমূর্তি এত শক্তিশালী এত সুন্দর হয়েছে ।তুলি এই ওলিম্পিক গেমসের প্রথমটি স্বর্ণপদকঅর্জনকরে যে সুন্দর হাসি দেখিয়েছেন তাতে গোটা পৃথিবী মুগ্ধ হয়েছে । ফাইনাল খেলায় প্রতিপক্ষযখন চারবার আর এক পয়েন্ট পেয়ে জয় লাভ করবে তখন চীনা নারী ভলিবল দল শান্তভাবে আত্মবিশ্বাস নিয়ে চূড়ান্ত বিজয় লাভ করেছেন । এই সব মর্মস্পর্শী দৃশ্য দেখে কেউ মুগ্ধ না হয়ে পারে না । বিভিন্ন দেশের প্রতিদ্বন্দ্বীক্রীড়ার পক্ষ ওলিম্পিক গেমস শুধু এক মহা মহড়া নয় , চীনা নারীর শ্রেষ্ঠ গুনগতমানের এক প্রদর্শনীও বটে ।

    নারীদের অবসরের বয়স বাড়িয়ে দেয়া সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের আপোষ প্রস্তাব

    বতর্মানকালে চীনের সাধারণ নারীদের ৫০ বছর বয়সে অবসর নিতে হয় ।আসলে এই বয়স নারীদের কাজের সবচেয়ে উত্তম বয়স , তাই ৫০ বছর বয়সকে নারীদের অবসর নেয়ার বয়স হিসেবে যে ধার্যকরা হয় তা অপেক্ষাকৃত নিচু ।নারীদের অবসর বয়স বাড়িয়ে দেয়ার নীতি এখনো প্রনিত না হলেও খবরটা পেশাদার নারীদের মধ্যে প্রবল প্রতিক্রিয়া জাগিয়ে তুলেছে।কেউকেউ বলেছেন, বর্তমানের অবসরের বয়স নারীদের প্রতি এক পেশাগত বৈষম্য,কিন্তু পক্ষান্তরে কেউকেউ জোরালোভাবেবলেছেন, এটা নারীদের রক্ষার পরিচায়ক । একেবারে ভিন্ন দু-মত উপলক্ষে বিশেষজ্ঞরা এক আপোষ প্রস্তাব উথ্থাপন করেছেন যে ,নারীরা ৫৫-৬০ বছর বয়সের মধ্যে নিজের ইচ্ছা অনুযায়ী যে কোনো সময়ে অবসর নিতে পারেন । অবসরের বয়সের নমনীয়তায় নারী আর পুরুষের পাথর্ক্য করা হয়েছে , এটা নারীকে বিশেষ রক্ষার পরিচায়ক,সংগে সংগে বেছে নেয়ার অধিকার নারীকে দেয়া হয়েছে ।এটা ভিন্ন অবস্থারত নারীদের কাজ করার অধিকারকে সম্মান করার নিদশর্নও।

    স্বামীর মানি-ব্যাগ স্ত্রীর আয়ত্তে দেয়ার প্রস্তাব

    ৮ই মার্চআন্তর্জাতিক নারী দিবসে চীনের জাতীয় গণ কংগ্রেসের সদস্যা লি কুইনান স্বামীর সম্পদ আর আয় সম্পর্কে স্ত্রীর জানার অধিকার আছে -কথাটা নারী-অধিকার সুরক্ষাআইন সংশোধন করা সম্পর্কেতার প্রস্তাবে লিপিবদ্ধ করেছেন ।কারণ তার আশেপাশে অনেক নারী বন্ধু বিবাহ-বিচ্ছেদের সংগে সংগে সম্পদ স্থানান্তরিত হওয়ার আঘাতের সম্মুখীনওহন । তিনি আশা করেন, নারী-অধিকার নিশ্চয়তাবিধান আইন সংশোধন করার মাধ্যমে স্বামীর সম্পদ সম্পর্কে স্ত্রীর জানার অধিকার রক্ষা করা যায় । প্রস্তাবটি বের হওয়ার পর তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে । অনেকে মনে করেন , স্বামীস্ত্রীর মধ্যেকার জানার অধিকার পরস্পরের হওয়া উচিত । প্রস্তাবটি পুরুষ আর নারীর সমানাধিকারের মৌলিক নীতি লংঘন করেছে এবং নারীকে বিবাহের দুর্বলপক্ষের স্থানে রেখে দিয়েছে । নারীরা সত্যি দুর্বল? প্রস্তাবটি স্বামীস্ত্রী সম্পর্কের অর্থনৈতিকউপাদানের উপর এবং পুরুষ ও নারী দুপক্ষের সামাজিক অবস্থানের উপর লোকদের মনোযোগ আকর্ষণকরেছে ।

    বিবাহ-বিচ্ছেদ কোম্পানি

    ৮ই মার্চসাংহাই শহরে বিবাহ সম্পর্কে এক পরামর্শদাতাকোম্পানি প্রতিষ্ঠিত হয় এবং বিবাহের অবস্থা নির্ধারনকরা নামে তার ব্যয়সহ পরিসেবামূলক কাজ উপস্থাপিত করেছে । স্বামী-স্ত্রীর বিবাহ-জীবন যদি সুখী হয় তাহলে তারা স্বামী-স্ত্রী দুজনকে ভালভাবে দিন কাটাতে প্রেরনা যুগাবে, নইলে তাদেরকে শিগ্গীরই তাদের বিবাহবিচ্ছেদ করতে তাগিদ দেবে। তাদের এই কাজের জন্যে সংবাদ-মাধ্যমগুলো কোম্পানিটিকে বিবাহ-বিচ্ছেদ-কোম্পানি বলে ডাকে ।এর পর বিবাহ-বিচ্ছেদ-কোম্পানি পরপর সেনইয়াং, ছেনতু, হাংচৌ , চিনান প্রভৃতি শহরে প্রতিষ্ঠিত হল এবং এগুলোর ব্যবসা অত্যন্ত ভাল চলছে ।কেউকেউ বলেছেন, সাধারণ বাস্তব বন্ধুবান্ধবের তুলনায় এধরনের কোম্পানি আমাদেরকে যুক্তিসংগত বিবেচনা-শক্তি দিতে পারে এবং উপলব্ধির বিনিময়ে সাহায্য করতে পারে , তারা নিরাপদ ও বিশ্বাসযোগ্য ,এটা ব্যক্তিগত নির্জনতা রক্ষা সম্পর্কে আধুনিক লোকদের চাওয়ার সংগে অত্যন্ত সংগতিপূর্ণ। কিন্তু এই বন্ধু বিনাখরচে কাউকে সাহায্য করবেন না ,তিনি সময় অনুসারে ব্যয়ভার গ্রহন করবেন।

    শহরের বার্ধক্য স্থগিত রাখার জন্যেসাংহাই দ্বিগুন আয়ের

    নি:সন্তান পরিবারকে উত্সাহ দিচ্ছে না

    ২০০৪ সালের ১৫ই এপ্রিল "সাংহাই শহরের লোকসংখ্যা ও পরিবার পরিকল্পনা নিয়মবিধি" আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকরীকরা হয়েছে , নিয়মবিধিটি অনুযায়ী সাংহাই শহরের যে পরিবারগুলো দ্বিতীয় বাচ্চা নিতে পারে তাদের আশাআকাঙক্ষা বাস্তবে পরিনত হবে । লোকসংখ্যা নিয়ন্ত্রন আর বাধর্ক্য প্রশমিত করার মধ্যে এক ভারসাম্য বের করার জন্যে নতুন নিয়মবিধি প্রণিত হয় । নতুন নিয়মবিধিটি অনুযায়ী ১৩ ধরনের প্রথম বিবাহের স্বামী-স্ত্রী আর দ্বিতীয় বিবাহের স্বামী-স্ত্রী দ্বিতীয় বাচ্চা নিতে পারেন ।নতুন নিয়মবিধিতে নি:সন্তানপরিবারকে উত্সাহ দেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়নি , এমনকি যে স্বামী-স্ত্রী বাচ্চা নিতে চান না বা সক্ষম নন তাদের পুরস্কৃত করার নীতি বাতিল করাও হয়েছে ।বাচ্চাকে লালনপালন করার জন্যে বেশ খরচ লাগবে তার চাপে এবং কমর্সংস্থানের চাপের প্রভাবে বতর্মান সাংহাই শহরে দ্বিতীয় বাচ্চা নিতে আগ্রহীদের বেশীর ভাগই উচ্চশিক্ষিত মানুষ এবং এদের আয় বেশী ।কিন্তু নতুন নীতির প্রকাশ সাংহাইতে দ্বিতীয় বাচ্চা নেয়ার আবেদন দাখিল করার উচ্চ জোয়ার জাগিয়ে তুলেনি। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, সাম্প্রতিক বছরগোলোতে সাংহাইবাসীদের প্রসববোধের অনেক পরিবর্তনহয়েছে, তাদের বেশী বাচ্চা নেয়ার ইচ্ছা ক্রমেক্রমে হ্রাস পাচ্ছে ।