v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-04-05 21:51:05    
চীনের মহান কবি ছু ইউয়ান

cri
    কবি ছু ইউয়ানের জন্ম খৃষ্টপূর্ব চতুর্থ শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে। তখনকার চীন সাতটি ছোট রাজ্য নিয়ে গঠিত । এই সাতটি রাজ্য ক্ষমতা বিস্তারের জন্য পরষ্পরের বিরুদ্ধে যুদ্ধবিপ্রহে লিপ্ত ছিল । কবি ছু ইউয়ানের দেশ এই সাতটি ছোট রাজ্যের অন্যতম--ছু রাজ্য । ছু ইউয়ান ছু রাজ্যের এক অভিজাত পরিবারের ছেলে , বিশ-বাইশ বছর বয়সেই রাজা তাকে খুব বিশ্বাস করেন এবং তাকে রাজ্যে শাসনকাজে সাহায্য করতে অনুরোধ করেন । নিজের দেশকে আরো শক্তিশালী ও ধনী করে তোলা আর সাতটি ছোট রাজ্যের পারস্পরিক যুদ্ধে বিজয় অর্জনের জন্য ছু ইউয়ান রাজনৈতিক সংস্কারের প্রস্তাব উথ্থাপন করেন । কিন্তু তার রাজনৈতিক প্রস্তাব অন্য অভিজাত সম্প্রদায়ের স্বার্থহানি করেছে বলে তারা রাজা ও ছু ইউয়ানের মধ্যে মনোমলিন্য সৃষ্টির জোর প্রচেষ্টা চালায় , রাজা এই সব লোকের কথা শুনে ছু ইউয়ানকে আর আগের মতো বিশ্বাস করেন না , তবে ছু ইউয়ান আগের মতো নিজের রাজনৈতিক প্রস্তাবে অবিচল থাকেন , শেষে ছু ইউয়ানের ব্যবহারে ক্ষুব্ধ হয়ে রাজা তাকে সীমান্ত অঞ্চল নির্বাসিত করেন ।

    দশবারো বছর দীর্ঘ নির্বাসিত জীবনে ছু ইউয়ানের প্রতিনিয়তই নিজের মাতৃভূমির কথা মনে পড়ে । তিনি কবিতা লেখার মাধ্যমে নিজের উচ্চাভিলায় প্রকাশ করেন , তিনি নিজের মাতৃভূমির সেবায় আত্মনিয়োগ করার ইচ্ছা আর কোনো মতেই নতি স্বাকার না করার মনোভাব প্রকাশ করেন এবং স্বার্থপর অভিজাত ব্যক্তিদের আক্রমন করেন । মাতৃভূমি দিন দিন দুর্বল হচ্ছে দেখে ছু ইউয়ানের মন বেদনায় ভরে উঠে । ছু রাজ্যের পতনলগ্নে ছু ইউয়ান নিজের মাতৃভূমির সঙ্গে জীবনমরনের মনোভাব পোষন করে শরীরের সঙ্গে একটি ভারীপাথর বেঁধে নির্বাসন এলাকার মিলো নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছেন , সেই বছর তার বয়স ছিল ৬০ বছর ।

   ছু ইউয়ান প্রচুর কবিতা লিখেছেন , তার বিশ-বাইশটি জনপ্রিয় ববিতার মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত কবিতার নাম "লি সাও" , এই কবিতার মোট তিন শ' ৭৩টি চবণ আছে , এটি চীনের কবিতার ইতাহাসের অন্যতমো বিখ্যাত গীতি-কবিতা । এতে নিজের রাজনৈতিক সংস্কারের দর্শন আর নির্বাসিত হওযার অভিজ্ঞতা বর্ননা করেছেন এবং নিজের অভিমতে অবিচল থাকার দৃঢ় মনোবল প্রকাশ করেছেন । কবিতার শেষ অংশে রোম্যন্টিক উপায়ে সুর্য দেবতা , চন্দ্র দেবতা , বাতাস দেবতা , ও বজ্র দেবতার মুথ দিয়ে নিজের মনের আবেগ কুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন । এই কালনিক দুনিয়ায় ফিনিকস পাখি ও উড়ন্ত ড্রাগন তার আদেশমতো আসা-যাওয়া করতে পারে ।