v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-04-01 20:52:20    
"আমরা চাষ করে আয় বৃদ্ধির সুমধুর ফল পেয়েছি"

cri
    হুপেই প্রদেশের জুং শিয়াং শহরের ছাং শও জেলার লিউ ফান গ্রামের সুদক্ষ চাষী জাং দাও হুয়া ২০০৪ সালের ফলনের শস্য কথা বলার সময় নিজের আনন্দ লুকিয়ে রাখতে পারেন না। "জমি চাষের দায়িত্ব ব্যবস্থা প্রবর্তনের পর থেকে আমি ২৪ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে চাষাবাদ করছি। এই বছরের চাষের উপকার সবচেয়ে বেশী, তার আয় বাইরে মজুরি খাটতে যাওয়ার আয়ের চেয়েও বেশী।"

    সোনালী শরত্কালে তুলাগাছ কাটার পর তুলা ধুনার সময় জাং দাও হুয়া সংবাদদাতাকে বলেছেন, ২০০৮ সালে তুলার বিক্রির অবস্থা ২০০৩ সালের চেয়ে মন্দ, তুলাবীজের দাম প্রতি কিলোগ্রেম ৩.৮ ইউয়ান রেনমিনপি, ২০০৩ সালের চেয়ে ২.৬ ইউয়ান কমেছে। কিন্তু অন্য শস্যের বিক্রির অবস্থা ভালো বলে এই বছর চাষের আয় মন্দ নয়।

    জাং দাও হুয়া বলেছেন, কয়েক বছর আগে গ্রামের অবস্থা এমন ছিল: চাষ শুধু খাওয়ার প্রয়োজনে চাষাবাদ হত, অন্য খরচ মুটাতে চাইলে বাইরে মজুরি খাটতে যেতে হবে।তাঁর দু'জন ছেলে বাইরে মজুরি খাটতে যেতো,যাতে বাড়ির প্রধানকে খরচ যুগিয়ে দিতে হত। ২০০৪ সালে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে, তিনি ছেলেকে ১০ হাজার ইউয়ান দিয়েছেন, তারা শহরে বাসা কিনার জন্য। ২০০৪ সালে ছেলেদের মজুরি জনিত আয় আনুমানিক ১৬ হাজার ইউয়ান হবে, ২০০০ সালের চেয়ে ২ হাজার ইউয়ান বেশী। ২০০৪ সালে জাং দাও হুয়ার চাষের আয় ১৮ হাজার এক'শ ২২.৩ ইউয়ান, যা ২০০৩ সালের চেয়ে ১.৮ গুণ বেড়েছে।

    তিনি সংবাদদাতাকে বলেছেন, ২০ বছর ধরে তিনি জমি চাষের দায়িত্ব ব্যবস্থায় প্রবার্তিত হবার পর তাঁর ১৩.৪মু তথা দুই একর জমির ওপর তার ভরসা রেখেছেন। বিশ বছর আগে তিনি কঠোর পরিশ্রম করে গ্রামের প্রথম মাটির ঘর ভেংগে চারটি পাকা বাড়ি নির্মান করেছেন। তারপর "শস্য সস্তা হওয়ায় কৃষকদের যুর্ভোগ"-এর কারণেও তিনি অনেক কষ্ট পেয়েছেন। ১৯৯২ সাল থেকে শস্যের দাম অস্থিতিশীল ছিল, অনেক কুষকরা চাষ ছেড়ে দিয়ে অন্য কাজে চলে গেছেন, কিন্তু তিনি অবিচলভাবে কৃষি কাজে লেগে থাকতেন, এবং তাঁর ছেলেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার খরচ যুগিয়ে দিয়ে এসেছেন। কয়েক বছর আগে, শস্যের দাম সস্তা ছিল, কৃষকদের বোঝা বেশী, তাতে অনেক কৃষক মাটি পতিত রেখে বাইরে মজুরি খাটতে গিয়েছেন। তিনি কিন্তু তাঁর দায়িত্ব মাটি থেকে একদিনও ছেড়ে দেন নি। তাঁর অধ্যবসায় আজকের "কৃষকদের অনুকূল"নীতি এই সুযোগে আসা পর্যন্ত অব্যাহত ছিলো।

    চাং দাও হুয়া উচ্ছ্বাসে বলেছেন: "নীতিমালা, চলার পথের নির্দেশক চিহ্নের মতো। কেন্দ্রের একনম্বর দলিল প্রবর্তিত হওয়ার পর, কৃষকদের মাঝে চাষের আগ্রহ সৃষ্ঠি হয়েছে।" এই বছরে শুধু "একে কম, দুইয়ে বৃদ্ধি" নীতিতে কৃষকদের আয় ২০০৩ সালের চেয়ে ৯২০ ইউয়ান বেড়েছে। সংগে সংগে শস্যের দামও বেড়েছে বলে কৃষকদের আয় অনেক বেড়েছে।

    চাং দাও হুয়া বলেছেন: "এই বছরে শস্যের দাম ভাল, আমাদের গ্রামের ৪০টিরও বেশী পরিবারের সকলের আয় ২০০৩ সালের চেয়ে বেড়েছে। কিন্তু ভবিষ্যতের শস্যের দাম স্থির হবে কিনা তা সুনিশ্চিত করবে কে? প্র্রাচীনকালে কৃষকদের ফসল প্রকৃতির উপরে নির্ভর করতো। কিন্তু আমার মতে কৃষকদের সরকারি নীতির উপরে নির্ভর করা উচিত। সরকার শস্যের উপর সর্বনিচু সুরক্ষা দাম নীতি রাখলে, কৃষকদের আর ভয়ের কিছু নেই। তা যেন নির্ধারিত ওষুধের মতো, যদিও কোনো প্রাকৃতিক দুর্বিপাক ঘটে, তবে আমাদের তা মোকাবেলার সামর্থ্য আছে।"

    হু পেই প্রদেশের কৃষি বিভাগের প্রধান ছেন পাই ওয়েই বলেছেন, ২০০৪ সালের প্রথম নয় মাসে, হু পেই প্রদেশের কৃষকদের মাথাপিছু গড়পড়তা নগদ আয় এক হাজার আট'শ ৬.৪৬ ইউয়ান, যা গত বছরের অনুরূপ সময়পর্বের তুলনায় ২২.৯ শতাংশ বেড়েছে। তা ১৯৯৭ সাল থেকে নয় বছরের অনুরূপ সময়পর্বের সর্বোচ্চ রেকর্ড। অনেক দিন ধরে, বাইরে মজুরিজনিত আয় ছিলো কৃষকদের প্রধান আয়, কিন্তু ২০০৪ সালে মজুরি জনিত আয় প্রথমবার দ্বিতীয় স্থানে নেমেছে। চাষের আয় কৃষকদের মোট নগদ আয়ের ৭৬.৫ শতাংশ দখল করেছে। এভাবেই কৃষকরা প্রথমবার চাষ করে আয় বৃদ্ধির সুমধুর ফল পেয়েছে।