v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-03-25 22:08:27    
১৯শে মার্চ---২৫শে মার্চ

cri
১. "রাষ্ট্র-বিভক্তি বিরোধী আইন" এর প্রতি আন্তর্জাতিক সমাজের আরো সমর্থন

সিনহুয়া বার্তা সংস্থার ২৩ তারিখের খবরে জানা গেছে, সাম্প্রতিক কয়েক দিনে আন্তর্জাতিক সমাজ অব্যাহতভাবে চীনের জাতীয় গণ কংগ্রেসের গৃহীত " রাষ্ট্র-বিভক্তি বিরোধী আইন" এর প্রতি সমর্থন প্রকাশ করেছে।

 আলজেরিয়ায় আরব লীগের ১৭তম শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী লিবিয়ার নেতা মোয়াম্মার গাদ্দাফি ২৩ তারিখে পুনর্বার ঘোষণা করেছেন, লিবিয়া এক চীন নীতি সমর্থন করে, দেশের সার্বভৌমত্বএবং ভূভাগের অখন্ডতা রক্ষা করার জন্য চীন সরকারের নেয়া যে কোন কার্যকলাপ সমর্থন করে, দৃঢ়ভাবে চীন থেকে তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতার বিরোধীতা করে।

লেবাননের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হামোদ এবং সংসদের বৈদেশিক কমিটির চেয়ারম্যান রফিক শালালা ২১ তারিখে লেবানস্থ চীনের রাষ্ট্রদূতের কাছে বলেছেন, লেবানন এক চীনের অধিষ্ঠানে অবিচল থাকবে, শান্তিপূর্ণ পুনরেকীকরণ বাস্তবায়নের জন্য চীনের প্রয়াসকে সমর্থন করে।

সম্প্রতি সুদানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চীনের শান্তিপূর্ণ উপায়ে দেশের সার্বভৌমত্ব, ভূভাগের অখন্ডতা এবং জাতি স্বার্থ রক্ষার প্রয়াসকে সুদান সরকার দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে।

কোটে ডি-ভার প্রেসিডেন্ট লৌরেন্ট বাগবো এবং পররাষ্ট্র-প্রতিমন্ত্রী মামাদৌ বাম্বা সম্প্রতি আলাদা আলাদাভাবে কোটে ডি-ভাস্থ চীনের রাষ্ট্রদূতের কাছে বলেছেন, কোটে ডি-ভা এক চীন নীতি সমর্থন করে, তাইওয়ান হচ্ছে চীনের ভূভাগের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।

২. হু চিনথাও : চীন কোরীয় উপদ্বীপের পারমাণবিক সমস্যার ছ'পক্ষীয় বৈঠক আবার শুরু করার জন্য গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবে

চীনের প্রেসিডেণ্ট হু চিনথাও ২৩ তারিখে পেইচিংয়ে উত্তরকোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী পাক বোংজুর সংগে সাক্ষাত করার সময়ে বলেছেন চীন পক্ষ সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সংগে মিলিত প্রয়াস চালিয়ে কোরীয় উপদ্বীপের পারমাণবিক সমস্যার ছ'পক্ষীয় বৈঠক আবার শুরু করার জন্য গঠনমূলক ভূমিকা পালন করতে ইচ্ছুক।

হু চিনথাও বলেছেন, পারমাণবিক অস্তমুক্তউপদ্বীপ অর্জনের লক্ষ্যে অবিচল থাকা, উত্তরকোরিয়ার স্বার্থজড়িত সমস্যার সমাধান, উপদ্বীপের শান্তি ও স্থিতিশীলতা সংরক্ষণ করা চীন ও উত্তরকোরিয়ার অভিন্ন স্বার্থের সংগে সংগতিপূর্ণ। সংলাপের মাধ্যমে উপদ্বীপের পারমাণবিক সমস্যার সমাধান করা হলো একমাত্র সঠিক বাছাই, চীনপক্ষ অব্যাহতভাবে শান্তিসংলাপ ত্বরান্বিত করার প্রয়াস চালাতে থাকবে।

উত্তরকোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী পাক বোংজু বলেছেন, উত্তরকোরিয়া চীনের সংগে একত্রে দুদেশের সম্পর্ক আরও প্রসারিত করার সক্রীয় প্রচেষ্টা চালাবে ।

৩. খিলগাঁও ফ্লাইওভারের উদ্বোধন করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী

চার বছর আগে নির্মানকাজ শুরু খিলগাঁও ফ্লাইওভারের উদ্বোধন হয়েছে ২৩শে মার্চ। বৃষ্টির মধ্যে ঘন্টার পর ঘন্টা অসংখ্য নারী -পুরুষ ঠায় দাঁড়িয়ে এটি খুলে দেওয়া দেখার জন্য অপেক্ষা করেছেন। উদ্বোধনের পরপরই ফ্লাইওভারের হাজারো মানুষের জটলা জমে যায়।

  বিকালে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেন, শুধু ফ্লাইওভার নয়, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ঢাকায় এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে, পাতাল রেল নির্মাণের পরিকল্পনাও রয়েছে সরকারের।

প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া বলেন, আমরা নতুন একটি শতাব্দীতে প্রবেশ করেছি। বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে। সেই গতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে আমাদের । আর তাই এ সময়ের উপযোগী করে গড়তে হবে রাজধানী ঢাকাকে। এ প্রসঙ্গে তিনি সাম্প্রতিক সময়ে বিমান বন্দর সড়ক সহ ঢাকার বিভিন্ন রাস্তা, ফুটপাত ও সড়কদ্বীপের সৌন্দর্যবর্ধনের কথা উল্লেখ করেন।

ত্রিমুখী ফ্লাইওভারটির নির্মানে ব্যয় হয়েছে ৮১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। চার লেনের ফ্লাইওভারটি ১ হাজার ৯০০ মিটার দীর্ঘ এবং বিভাজন দেয়াল সহ এটি ১৪মিটার প্রশস্ত।

৪. পাকিস্তানে জাতীয় দিবস উপলক্ষে বিরাট কুচকাওয়াজ

পাকিস্তানের জাতীয় দিবস উপলক্ষে ২৩ তারিখ ইসলামাবাদে একটি বিরাট কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়েছে । পাক প্রেসিপেন্ট মুশারাফ , প্রধান মন্ত্রী আজিজ আর সফররত আফগান প্রেসিডেন্ট কারজায়ী এই কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছেন ।

কুচকাওয়াজে বক্তৃতা দেয়ার সময়ে মুশারাফ বলেছেন , পাকিস্তান সমতার ভিত্তিতে বিশ্বের যাবতীয় দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে এবং ভারতের সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে কাশমির সমস্যা সহ সকল বিরোধ নিষ্পত্তি করতে ইচ্ছুক । তিনি বলেছেন , পাকিস্তান আর ভারতের উচিত সর্বান্তকরণ আর নমনীয় মনোভাব গ্রহণ করা , যাতে কাশমির সমস্যা সমাধান সংক্রান্তউভয় পক্ষের গ্রহণযোগ্যএকটি কর্মসূচী খুঁজে বের করা যায় ।

তিনি আরো বলেছেন , সন্ত্রাসবাদ আর উগ্রবাদ বর্তমানে পাকিস্তানের সম্মুখীন প্রধান হুমকী । পাকিস্তান সরকার সকল ব্যবস্থা নিয়ে সন্ত্রাসবাদ আর উগ্রবাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম চালাবে ।

৫.মুসারাফ-কার্জায় বৈঠক

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট মুসারাফ ২২ তারিখে ইসলামাবাদে সফররত আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট কার্জায়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ।

দুই নেতা দু'দেশের সম্পর্ক এবং দু'পক্ষের স্বার্থের সঙ্গে সম্পর্কিত অঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সমস্যা নিয়ে ব্যাপকভাবে মত বিনিময় করেছেন । বৈঠকে মুসারাফ বলেছেন , পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সুদীর্ঘ ঐতিহাসিক ও সংস্কৃতিক যোগাযোগ আছে , রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে দু'দেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের স্থাপন অঞ্চলিক শান্তি এবং দু'দেশের সমাজ ও অর্থনীতির উন্নয়নের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ । তিনি আরেকবার ঘোষণা করেছেন যে , আফগানিস্তানের পুনর্গঠনের জন্য পাকিস্তান যে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পাকিস্তান তা পালন করবে ।

কার্জায় বলেছেন , আফগানিস্তান আশা করে পাকিস্তানের সঙ্গে তার দৃঢ় রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হবে ।

কার্জায় সেদিন ইসলামাবাদে পৌঁছে তাঁর দু'দিনব্যাপী সফর শুরু করেছেন । জানা গেছে , গত বছরের ডিসেম্বর মাসের ৭ তারিখে কার্জায় আনুষ্ঠানিকভাবে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্টের পদে শপথ গ্রহণের পর এটা তাঁর প্রথম পাকিস্তানের সফর । তিনি বিশেষ অতিধি হিসেবে পাকিস্তানের জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ২৩ তারিখে অনুষ্ঠিতব্য কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করবেন ।

৬. পাকিস্তানের পারমাণবিক ওয়ার-হেড পরিবহণের উপযোগী ক্ষেপনাস্ত্রের পরীক্ষামূলক নিক্ষেপ

পাকিস্তানের সামরিক পক্ষের পাবলিক রিলেশন বিভাগ ১৯ তারিখে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে বলেছে, পাকিস্তান একই দিন সকালে সাফল্যের সঙ্গে পারমাণবিক ওয়ার-হেড পরিবহণের উপযোগী "শাহিন-২ " স্থল থেকে স্থল দূরপাল্লার ক্ষেপনাস্ত্র পরীক্ষামূলকভাবে নিক্ষেপ করেছে। এই ক্ষেপনাস্ত্র " হাত্ফ্ -৬" নামেও পরিচিত।

পাকিস্তানের প্রেসিডেণ্ট মুশারফ এই ক্ষেপনাস্ত্রের পরীক্ষামূলক নিক্ষেপ পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেছেন, নিজের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্যে পাকিস্তান পারমাণবিক অস্ত্রের অবিস্তার নীতি কড়াকড়ীভাবে মেনে চলার ভিত্তিতে অব্যাহতভাবে নিজের ন্যুনতম মাত্রার নিবৃত্তিমূলক পারমাণবিক ক্ষমতা সুসংবদ্ধ ও উন্নত করতে থাকবে । তিনি বলেছেন, পাকিস্তান সরকার অব্যাহতভাবে নিজের পারমাণবিক সামর্থ্য সুসংবদ্ধ ও উন্নত করাটাকে গোটা পাকিস্তান জাতির সর্বাধিক অগ্রাধিকার দেয়ার লক্ষ্য হিসেবে ধার্য করবে।

পাকিস্তানের সামরিক পক্ষের বিবৃতি অনুযায়ী, এবারকার ক্ষেপনাস্ত্রের পরীক্ষামূলক নিক্ষেপের আগে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক আস্থার স্বাভাবিক প্রথা অনুযায়ী পাকিস্তান এই পরীক্ষামূলক নিক্ষেপের তথ্য সম্পর্কে সকল প্রতিবেশী দেশকে অবহিত করেছে।

৭. ভারতের পরিবেশ সংরক্ষণ সংস্থা স্টকহোম জল পুরস্কার ২০০৫ পেল

সুনীতি নারায়ণের নেতৃত্বাধীন ভারতের বেসরকারী সংস্থা 'বিজ্ঞান ও পরিবেশ কেন্দ্র' বিশ্ব জল সম্পদ সংরক্ষণ ক্ষেত্রের বৃহত্তম পুরস্কার- ২০০৫ স্টকহোম জল পুরস্কার জয় করেছে ।

২২ তারিখে প্রকাশিত সাংগঠনিক কমিটির একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে , ভারতের বিজ্ঞান ও পরিবেশ কেন্দ্র গবেষনা আর প্রচারের মাধ্যমে জল ব্যবস্থাপনার নতুন প্রনালী ও দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। অর্থাত্ লোকেরা বৃষ্টি সম্পদের সদ্ব্যবহার করেছে আর কার্যকর ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সবচাইতে ব্যাপকভাবে বৃষ্টি সংরক্ষণ ও সদ্ব্যবহার করেছে । ফলে বহু উন্নয়নমুখী দেশের জল সম্পদের অভাব দূর হয়েছে ।

৮. দক্ষিণকোরীয় পত্রিকা: নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদেশ হবার যোগ্যতা জাপানের নেই

২১ তারিখে দক্ষিণ কোরিয়ার " ডোং-আ ডেইলি" পত্রিকার একটি সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, ঐতিহাসিক সমস্যা সঠিকভাবে উপলব্ধি করতে না পারার দরুন , জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদেশ হবার যোগ্যতা জাপানের নেই ।

সম্পাদকীয়টিতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতিবেশী দেশগুলোর সংগে ভূভাগের সার্বভৌমত্ব নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তির ব্যাপারে জাপান এখনও সাম্রাজ্যবাদী আমলের ধ্যানধারণা থেকে মুক্ত হয় নি। জাপান অতীতে যে আগ্রাসী হামলা চালিয়েছিল ,সেই সম্পর্কে নিজের দোষ স্বীকার করে নি,বরং এই জঘন্য ইতিহাসকে সুন্দর প্রলেপ দেয়ার অপপ্রয়াস চালাচ্ছে। যদি জাপান জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যে পরিণত হয়, তাহলে সে জাতিসংঘের নীতি অনুসরণ করে আন্তর্জাতিক সমাজে সক্রীয় অবদান রাখতে পারবে কি-না, তা খুবই সন্দেহজনক।

সম্পাদকীয়টিতে জোর দিয়ে বলা হয়েছে, জাপান নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হলে আন্তর্জাতিক সমাজের জন্য অবদান রাখা তো দূরের কথা , বরং আন্তর্জাতিক বিরোধ তীব্রতর করে তুলবে। দক্ষিণ কোরিয়া যে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জাপানের স্থায়ী সদস্যপদ লাভের বিরোধিতা করে তার প্রধান কারণ এটাই।

৯. সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট লেবানন থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন

আলজিয়ার্সে অনুষ্ঠিত আরব লীগের সপ্তদশ শীর্ষ সম্মেলনের অংশগ্রহণকারী সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাসার আল-আসাদ ২২ তারিখে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে , সিরিয়ার সমস্ত সৈন্য লেবানন থেকে প্রত্যাহার করা হবে ।

সম্মেলনের বিশেষ অতিথি জাতি সংঘের মহাসচিব কোফি আন্নানের সঙ্গে বৈঠকের পর বাসার এই কথা বলেছেন । বাসার আন্নানকেপ্রতিশ্রুতি দিয়েছেন , সিরিয়া জাতি সংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ১৫৫৯ নং প্রস্তাব অনুযায়ী লেবানন থেকে তার সমস্ত সৈন্য ও গোয়েন্দাকর্মী প্রত্যাহার করবে । বাসার বলেছেন , সৈন্য প্রত্যাহরের কাজ শুরু হয়েছে , সৈন্য প্রত্যাহারের বিস্তারিত সময়সূচি নির্ধারণ করার জন্য বর্তমানে সিরিয়া লেবাননের সরকারের সঙ্গে পরামর্শ করছে ।

আন্নান বলেছেন , এপ্রিল মাসের প্রথম দিকে তিনি তাঁর বিশেষ দূত লার্সেনকে লেবাননে পাঠাবেন , তিনি আশা করেন লার্সেন সৈন্য প্রত্যাহারের চুড়ান্ত সময়সূচি নিয়ে ফিরে আসবেন ।

১০. আরব লীগের সপ্তদশ শীর্ষ সম্মেলন সমাপ্ত

দু'দিনব্যাপী আরব লীগের সপ্তদশ শীর্ষ সম্মেলন ২৩ তারিখে আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সে সমাপ্ত হয়েছে । সম্মেলন শেষে "আলজিয়ার্স ঘোষণা" প্রকশিত হয়েছে এবং মধ্য-প্রাচ্যের শান্তি প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার জন্য আবার "আরবের শান্তি প্রস্তাব" শুরু করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়েছে ।

আলজিয়াস ঘোষণায় বলা হয়েছে , শান্তি হল আরব দেশগুলোর রণনৈতিক বাছাই । আরব লীগের সংস্কার করতে হবে , যাতে আরব দেশগুলোর যৌথ তত্পরতায় আরব লীগের ভূমিকা জোরদার করা যায় । ঘোষণাটিতে সব রকমের সন্ত্রাসী তত্পরতার নিন্দা করা হয়েছে এবং আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের বিস্তারের সঙ্গে ইসলাম ধর্মকে জুড়ে দেয়ার কার্যকলাপকে প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে ।

তা ছাড়া , সম্মেলনের অংশগ্রহণকারী দেশগুলো আবার "আরবের শান্তি প্রস্তাবের" প্রতি সমর্থন জানিয়েছে , এবং মনে করে , এই প্রস্তাব আন্তর্জাতিক নিয়ম , জাতি সংঘের সংশ্লিষ্ট প্রস্তাব এবং "ভুমি বিনিময়ে শান্তি"অর্জনের নীতির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ , তারা জোর দিয়ে বলেছে যে , আরব ও ইস্রাইলের বিরোধ শুধু এই সব উপায়ে নিষ্পত্তি করা যাবে ।

২৩ তারিখের সম্মেলনে সম্মেলনের অতিথি জাতি সংঘের মহাসচিব কোফি আন্নানও ভাষণ দিয়ে শান্তিমূলক উপায়ে ফিলিস্তিন ও ইস্রাইলের সংঘর্ষের অবসান ঘটানের আহ্বান জানিয়েছেন , সিরিয়া লেবানন থেকে সমস্ত সৈন্য প্রত্যাহারের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তিনি তার প্রসংশাও করেছেন ।

১১. ই-ইউ'র বাসন্তী শীর্ষ সম্মেলন ব্রাসেলসে সমাপ্ত

ইউরোপীয় ইউনিয়নের দু'দিনব্যাপী বাসন্তী সম্মেলন ২৩ তারিখে ব্রাসেলসে সমাপ্ত হয়েছে।

এ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী ২৫টি দেশের নেতৃবৃন্দ একই দিন আনুষ্ঠানিকভাবে ই-ইউয়ের কমিটি উত্থাপিত " স্থিতিশীলতা ও প্রবৃদ্ধি চুক্তি" অনুমোদন করেছেন এবং ইউরোপের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও ইউরোপীয় দেশগুলোর প্রতিযোগিতার সামথ্য জোরদারের জন্য লিসবেন রননীতি আবার শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এ সম্মেলনে লেবাননের পরিস্থিতি নিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। বিবৃতিতে সিরিয়ার উদ্দেশ্যে লেবাননে মোতায়েন তার যাবতীয় সৈন্য প্রত্যাহার করার আহ্বান জানানো হয়েছে এবং লেবাননে সার্বভৌমত্ব অখন্ডতা,স্বাধীনতা ও সমতা বাস্তবায়নকে সমর্থন করার কথা জোর দিয়ে বলা হয়েছে।

তাছাড়া, এ সম্মেলনে ই-ইউয়ের উদ্দেশ্যে মাঝারি ও দীর্ঘ মেয়াদী ব্যবস্থা নিয়ে আবহাওয়ার উষ্ণায়ন নিয়ন্ত্রণ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে এবং সারা বিশ্বের উন্নত দেশগুলোর প্রতি গ্যাস নিঃসরণ হ্রাস তরান্বিত করার উপদেশ দেওয়া হয়েছে।

অন্য খবরে জানা গেছে, ই-ইউ'র পালাক্রমিক সভাপতি দেশ লোক্সেম্বারগের ভাইস-প্রেসিডেণ্ট ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী জিন আসেলবর্ন সম্মেলন শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ই-ইউ আন্নানের উত্থাপিত জাতিসংঘের সংস্কার প্রস্তাব সমর্থন করে।