v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-03-18 14:30:46    
১২ই মার্চ---১৮ই মার্চ

cri
১. দশম জাতীয় গণ কংগ্রেসের তৃতীয় অধিবেশন সমাপ্ত, রাষ্ট্র-বিভক্তি বিরোধী আইন অনুমোদন পেয়েছে

চীনের সর্বোচ্চ জাতীয় ক্ষমতা সংস্থার বার্ষিক নিয়মিত অধিবেশন সাড়ে নয় দিন ধরে চলার পর ১৪ তারিখে পেইচিংয়ে সমাপ্ত হয়েছে। সমাপ্ত হওয়ার আগে ভোটের মাধ্যমে "রাষ্ট্র-বিভক্তি বিরোধী আইন" গৃহিত হয়েছে এবং কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের পর্যালোচনা ও সংশোধনের পর কার্যবিবরণী গৃহিত হয়েছে।

সম্প্রতি থাইওয়ান কর্তৃপক্ষ "স্বাধীন থাইওয়ান" প্রয়াসী বিভক্তিমূলক তত্পরতা জোরদার করেছে এবং চীনের মূলভূভাগ ও থাইওয়ান একই চীনভূক্ত এই বাস্তবতা পরিবর্তনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, এই পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে "রাষ্ট্র-বিভক্তি বিরোধী আইন" প্রনীত হয়েছে। এই আইনে বলা হয়েছে, থাইওয়ান হচ্ছে চীনেরই একটি অংশ। রাষ্ট্র কোনোমতেই "স্বাধীন থাইওয়ান" প্রয়াসী বিভক্তিমূলক শক্তিকে থাইওয়ানকে চীনের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে দেবে না। রাষ্ট্র বৃহত্তম সদিচ্ছা নিয়ে শান্তিপূর্ণ একীকরণ বাস্তবায়নের যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালাবে। রাষ্ট্র শান্তিপূর্ণ একীকরণের পর, থাইওয়ানে মূলভূভাগ থেকে ভিন্ন ব্যবস্থা প্রবর্তন করা যাবে, উচ্চ পর্যায়ের স্বশাসন প্রবর্তন করা যাবে। এই আইনে আরো বলা হয়েছে, "স্বাধীন থাইওয়ান "প্রয়াসী বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তি যে কোনো নামে যে কোনো উপায়ে থাইওয়ানকে চীনের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করার বাস্তবতা দেখা দিলে কিংবা থাইওয়ানকে চীনের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারে এমন গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা কিংবা শান্তিপূর্ণ একীকরণের সব শর্ত হারালে রাষ্ট্র অশান্তিপূর্ণ পদ্ধতিতে আর অন্যান্য প্রয়োগনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করে দেশের সার্বভৌমত্ত্ব ও ভূভাগীয় অখন্ডতা রক্ষা করবে। এই আইনে বিশেষভাবে বলা হয়েছে, থাইওয়ান সমস্যা হচ্ছে চীনের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার, এতে কোনো বিদেশী শক্তিকে হস্তক্ষেপ করতে দেয়া হবে না।

অধিবেশনে গৃহিত সরকারের কার্যবিবরণীতে বলা হয়েছে, সরকার শহরাঞ্চল ও গ্রামঞ্চলের মধ্যে আর বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে উন্নয়নের ব্যবধান কমানো এবং সুষম সমাজ গঠনের প্রয়াস চালাবে। কার্যবিবরণীতে আরো বলা হয়েছে, ২০০৫ সালে সরকার ৭ বছর ধরে অনুসৃত সক্রিয় আর্থিক নীতির পরিবর্তে স্থিতিশীল আর্থিক নীতি অনুসরণ করবে। কার্যবিবরণীতে চীনের এই বছরের অভীষ্ট অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হার ৮ শতাংশ ধার্য করা হয়েছে।

এবারকার অধিবেশনে চিয়াং জে মিনের চীনের কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের চেয়ারম্যান পদত্যাগপত্রও গৃহিত হয়েছে এবং প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও চীনের কেন্দ্রীয় সামরিক কমিশনের নতুন চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

২. চীনের গণ রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের দশম জাতীয় কমিটির তৃতীয় অধিবেশন সমাপ্ত হয়েছে

চীনের গণ রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের দশম জাতীয় কমিটির দশ দিনব্যাপী তৃতীয় অধিবেশন ১২ তারিখে বিকালে পেইচিংয়ে সমাপ্ত হয়েছে।চীনের গণ রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের চেয়ারম্যান জিয়া ছিং লিন সমাপনি অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছেন। অধিবেশনে গৃহীত রাজনৈতিক সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, সুষম সমাজ নির্মানে অবদান রাখার জন্য গণ রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনে অংশ নেয়া বিভিন্ন দল আর বিভিন্ন জাতি ও মহলের ব্যক্তিদের প্রতি সম্ভাব্য সকল শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। সবেমাত্র পদ ত্যাগ করা হংকং বিশেষ প্রশাসনিক এলাকার প্রশাসনিক তোং জিয়ান হুয়া ,জাং মেই ইং এবং জাং রোং মিং সমাপনি অনুষ্ঠানে গণ রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।

প্রস্তাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির বিচার আর তদন্তের পর , চীনের গণ রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের এয়োদশ অধিবেশন ৪৩৭৫টি প্রস্তাব দাখিল করেছে তা অধিবেশন চলাকালে সদস্যদের দাখিল-করা মোটসংখ্যার ৯৭ শতাংশ।

উল্লেখ্য চীনের দশম গণ রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের তৃতীয় অধিবেশন ১২ই মার্চ পেইচিংএ সমাপ্ত হয়েছে।অধিবেশনে ভোটদানের মাধ্যমে প্রস্তাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির চীনের দশম রাজনৈতিক পরামর্শ সম্মেলনের তৃতীয় অধিবেশনের প্রস্তাবে বিচার আর তদন্তের রিপোট গৃহীত হয়েছে।

৩. সিং ও রাইসের মধ্যে বৈঠক

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নটবর সিং ১৬ তারিখে নয়াদিল্লীতে সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাইসের সংগে সাক্ষাত্ করেছেন। দু'পক্ষ ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের রণনৈতিক অংশীদারিত্বের সম্পর্ক জোরদার করা, প্রতিরক্ষা এবং শক্তিসম্পদ সহযোগিতা উন্নত করা, ভারত ও পাকিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়া ইত্যাদি সমস্যা নিয়ে পরামর্শ করেছে।

সাক্ষাতের পরে রাইস একটি যুক্ত সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের যৌথ মূল্যবোধ আছে। দু'পক্ষ প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করতে রাজি হয়েছে এবং এফ ১৬ জঙ্গী বিমান বিক্রয় সহ বিভিন্ন প্রতিরক্ষা সহযোগিতা নিয়ে পরামর্শ করেছে।

সিং বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তান শান্তি প্রক্রিয়া অব্যাহতভাবে ত্বরান্বিত করবে। ভারত পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট মুসারাফের সফরকে স্বাগত জানিয়েছে।সিং আরো বলেছেন, ভারত যুদ্ধোত্তর ইরাকের পুনর্গঠনের কাজে আর্থিক সাহায্য দেয়ার মার্কিন প্রস্তাব নিয়ে চিন্তাভাবনা করবে।

ভারত হচ্ছে রাইসের এবারকার এশিয়া সফরের প্রথম ধাপ। তারপর তিনি পাকিস্তান,আফগানিস্তান ,জাপান ,দক্ষিণ কোরিয়া এবং চীন সফর করবেন।

৪. পাকিস্তানের নেতা ও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সংগে সাক্ষাত

পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট পার্ভেজ মুশারাফ ও প্রধানমন্ত্রী শাওকত আজিজ ১৬ তারিখ ইসলামাবাদে সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কোন্ডোলিজা রাইসের সংগে আলাদা আলাদাভাবে বৈঠক করেছেন। তাঁরা অভিন্ন স্বার্থ জড়িত বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সমস্যা নিয়ে মতবিনিময় করেছেন।

মুশারাফ বৈঠককালে যুক্তরাষ্ট্রকে কাশমির সমস্যার সমাধানকে সমর্থন করার তাগাদা দিয়েছেন। রাইস বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র অব্যাহতভাবে পাকিস্তানের সঙ্গে বিভিন্ন ক্ষেত্রের অংশীদারী সম্পর্ক উন্নয়ন করবে, পাকিস্তানের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের পরিকল্পনাকে সমর্থন করবে এবং প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে পাকিস্তানের সঙ্গে সহযোগিতা সম্প্রসারিত করবে।

আজিজ বলেছেন, পাকিস্তান বরাবরই সুপ্রতিবেশীসুলভ বন্ধুত্বপূর্ণ নীতি অনুসরণ করে এসেছে, এবং শান্তিপূর্ণ উপায়ে সব বিরোধ সমাধান করতে ইচ্ছুক। রাইস ভারত-পাকিস্তান শান্তি প্রক্রিয়ার প্রশংসা করেছেন এবং আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে পাকিস্তানের ভূমিকারও প্রশংসা করেছেন।

৫. লিস্তিনের বিভিন্ন দলের উন্মুক্ত সংলাপ অধিবেশন সমাপ্ত

ফিলিস্তিনের বিভিন্ন দলের নতুন দফা সংলাপ সম্মেলনের প্রথম দফা উন্মুক্ত অধিবেশন ১৫ তারিখে কায়রোয় সমাপ্ত হয়েছে।অংশ গ্রহণকারী বিভিন্ন পক্ষ পরে এবারকার সংলাপ সম্মেলনের প্রধান আলোচ্যবিষয় নিয়ে রূদ্ধ-দ্বার বৈঠক করবে।

ফিলিস্তিনের চেয়ারম্যান আব্বাস একইদিনে উন্মুক্ত অধিবেশনে জোর দিয়ে বলেছেন, ফিলিস্তিন ও ইস্রাইলের যার যার প্রতিশ্রুতি প্রতিপালন করা উচিত।ফিলিস্তিন পক্ষ ইস্রাইল পক্ষের যুদ্ধবিরতি লংঘন তত্পরতা গ্রহণ করবে না এবং ফিলিস্তিন পক্ষের উপরে চাপানো একপক্ষীয় যুদ্ধবিরতির শর্ত গ্রহণ করবে না।আব্বাস ফিলিস্তিনের বিভিন্ন পক্ষের প্রতি ফিলিস্তিনীদের সর্বোচ্চ স্বার্থ বিবেচনা করে, জাতীয় সংলাপের মাধ্যমে সকল সমস্যায় মতৈক্য অর্জন করার আহ্বান জানিয়েছেন।

সংলাপ সম্মেলনে মিসরের গোয়েন্দা সংস্থার পরিচালক সুলাইমান ফিলিস্তিনের বিভিন্ন দলের প্রতি ইস্রাইলের সাথে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সর্বসম্মত অধিষ্ঠান অর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন।

৬. লেবানন থেকে প্রথম পর্যায়ের সিরিয় সৈন্য প্রত্যাহার যথাশীঘ্র সম্পন্ন হবে

লেবাননের প্রেসিডেন্ট লাহৌদ ১৩ তারিখে বৈরুতে সফররত জাতি সংঘের বিশেষ দূত লারসেনের সংগে সাক্ষাত্কালে বলেছেন, লেবাননে মোতায়েন সিরিয়া বাহিনীকে পূর্ব লেবাননের বেকা উপত্যকা থেকে প্রত্যাহারের কাজ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সম্পন্ন হবে।

জানা গেছে, প্রথম পর্যায়ে লেবাননে মোতায়েন সিরিয়ার সৈন্য এবং গোয়েন্দা ব্যক্তিরা মার্চ মাসের শেষ নাগাদ বেকায় সরে যাবে এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে লেবানন থেকে সব সিরিয় সৈন্য প্রত্যাহার করা হবে। লাহৌদ বলেছেন, লেবানন ও সিরিয়ার সরকার এবং সামরিক কতৃপক্ষ লেবানন থেকে সিরিয়া পক্ষের সব সৈন্য প্রত্যাহারেরসময়-সীমা নির্ধারণের জন্য পরামর্শ করবে।তিনি আরো বলেছেন, লেবাননের রাজনীতি এবং নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারের প্রয়াস চলছে। জাতি সংঘের তদন্ত কমিটি বর্তমানে লেবাননের সাবেক প্রধান মন্ত্রী হারিরির বোমা বিস্ফোরণেনিহত হওয়ার ঘটনা তদন্ত করছে।

৭. ইরানের পারমাণবিক পরিকল্পনা অব্যাহত থাকবে

আন্তর্জাতিক আণবিক সংস্থায় ইরানের প্রতিনিধি দলের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা সিরুস নাসেরি গত ১৩ই মার্চ হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেছেন, ইরান তার পারমাণবিক পরিকল্পনা পরিত্যাগ করবে এমন কল্পনা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র করবে না। ইরানের বার্তাসংস্থাকে দেয়া একটি সাক্ষাতকারে নাসেরি বলেছেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ানের দেশগুলো প্রায় ইরানের ইউরেনিয়াম ঘনীভূতকরণের পরিকল্পনা পরিত্যাগ না করার সত্যতার ব্যাখ্যা গ্রহণ করেছে। ইউরোপিয়ানরা একটি যৌক্তিক মতাধিষ্ঠান গ্রহণ করতে ইচ্ছুক।তিনি বলেছেন, যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করে যে, ইরানের প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অর্থনৈতিক উত্সাহ পদক্ষেপ কার্যকরী করলে ইরান তার পারমাণবিক পরিকল্পনা পরিত্যাগ করবে, তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হয় ইউরোপীয় ইউনিয়ানের দেশগুলোর সংগে ইরানের আলোচনার বিশদ বিষয়বস্তু জানে না, নয়তো কেবল কম্পনা করছে।

৮. ইরানের পারমাণবিক সমস্যা সংক্রান্ত আলোচনা সমাপ্ত হয়েছে

ইরান, ফ্রান্স, জার্মানী আর বৃটেনের মধ্যে ইরানের পারমাণবিক সমস্যা সংক্রান্ত আলোচনা গত ১১ই মার্চ জেনিভায় শেষ হয়েছে।জানা গেছে, আলোচনায় কোনোবাস্তব অগ্রগতি অর্জিত হয়নি।তবে দু পক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে এ মাসের শেষ দিকে আরেক বার উচ্চ পর্যায়ের আলোচনার আয়োজন করা হবে।

একই দিন ইউরোপীয় ইউনিয়ানের পালাক্রমিক চেয়ারম্যান দেশ লাকসেমবার্গের কাছে বৃটেন, ফ্রান্স, জার্মানীর দাখিল-করা একটি চিঠিতে বলা হয়েছে, যদি ইরান ইউরোপীয় ইউনিয়ানের সংগে স্বাক্ষরিত চুক্তি মেনে না চলে এবং ইউরেনিয়াম ঘনীভূতকরণের তত্পরতা আবার শুরু করে , তাহলে ইউরোপীয় ইউনিয়ান ইরানের পারমাণবিক সমস্যা জাতি সংঘ নিরাপত্তা পরিষদের কাছে দাখিল করার পক্ষপাতী।

আরেকটি খবরে বলা হয়েছে, ইরানের রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কমিশনের মহা সচিব, পারমাণবিক সমস্যার প্রধানআলোচনা প্রতিনিধি ১১ই মার্চ আবার ঘোষণা করেছেন, ইরান আশা করে , পারমাণবিক সমস্যা কূটনৈতিক পদ্ধতিতে নিষ্পত্তি করা হবে।তিনি হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেছেন, বলপ্রয়োগের মাধ্যমে ইরানের পারমাণবিক সমস্যা নিষ্পত্তির প্রচেষ্টা গুরুতর পরিণতি জাগিয়ে তুলবে।তিনি বলেছেন, বর্তমানে ইরান ইউরোপীয় ইউনিয়ানের সঙ্গ পারমাণবিক সমস্যা সংক্রান্ত যে আলোচনা চালাচ্ছেচলছে তা সাফল্যজনক ।

৯. মাদ্রিদের সন্ত্রাসী বোমা হামলার প্রথম বার্ষিকী

গত বছরের ১১ই মার্চ মাদ্রিদের সন্ত্রাসী বোমা বিস্ফোরেণে নিহতদের স্মরণে ১১তারিখে মাদ্রিদের কেন্দ্রস্থলে একটি শোক সভা আয়োজিত হয়েছে ।

স্পেনের রাজা প্রথম জুয়ান কার্লোস ও প্রধানমন্ত্রী জাপাটেরো , জাতিসংঘের মহাসচিব কোফি আন্নান এবং বিশাধিক দেশের রাষ্ট্রপ্রধান বা সরকার প্রধান শোক সভায় উপস্থিত ছিলেন ।

যে ষোলটি দেশের নাগরিকরা সন্ত্রাসী হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন স্পেনের নিযুক্ত সেই ষোলটি দেশের কূটনীতিবিদরাও শোক সভায় উপস্থিত ছিলেন।

একই দিন স্পেন সরকারের প্রকাশিত একাধিক আইন অনুযায়ী স্পেনে বারুদ মজুত, প্রেরণ ও ব্যবহরকে কড়া নিয়ন্ত্রণে আনা হবে , ব্যাঙ্কে সন্ত্রাসীদের আমানত হস্তান্তরের উপরে নিবিড় দৃষ্টি রাখা হবে এবং স্পেনের সশস্ত্র বাহিনীর সন্ত্রাস দমন বিভাগের গোয়েন্দাদের সংখ্যা বাড়ানো হবে ।