v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-03-17 10:07:44    
জীবনকে মূল্য দেন, আত্মহত্যা প্রতিরোধ করুন – চীনের মনস্তাত্ত্বিক সংকটে হস্তক্ষেপের কাজ প্রসংগ

cri
    মনস্তত্ত্ব ও চিকিত্সাবিদ্যার গবেষণা থেকে দেখা গেছে ,ডিপ্রেশনের প্রভাব ,ভাবানুভূতির উত্পীড়ন ,অন্যান্যদের সংগে সম্পর্কের অবনতি ,কাজ ও শিক্ষার সাময়িক ব্যথর্তা ইত্যাদি সমস্যার সমষ্টি হলো আত্মহত্যার গুরুত্বপূর্ণ কারণ । চীনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে , চীনে প্রতিবছর অন্তত: আড়াই লক্ষ লোক আত্মহত্যা করে মারা গেছেন,বিশ লক্ষেরও বেশী লোক আত্মহত্যার প্রচেষ্টা করে বেঁচে গেছেনএবং একাংশ লোক আত্মহত্যার প্রচেষ্টা করে বিভিন্ন অবস্থার বিকলাংগ হয়েছেন ।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপদেষ্টা অধ্যাপক মিছের ফিলিপ্স মনে করেন ,অধিকাংশ আত্মহত্যা-প্রয়াসী লোকের মন সাধারণত: দ্বন্দ্বে ভরপুর । বাস্তবে তারা তাদের মনের দু:খকেই শেষ করতে চান ,তাদের জীবনকে নয় । তাই যদি এই সময়ে মনস্তাত্ত্বিক সংকটে বিজ্ঞানসম্মত ও যুক্তিসংগত হস্তক্ষেপ করা হয় তাহলে তাদেরকে তাদের বেঁচে থাকার সাহস পুনরুদ্ধারে সাহায্য করা যায়। তিনি বলেছেন ,

"বতর্মানে সমাজে বিপুল সংখ্যক সাইকোলজিকল অবসট্রাক্শন রোগী রয়েছেন , তাদের আত্মহত্যার সম্ভাবনা খুবই বেশী , অথচ তারা মনস্তাত্ত্বিক চিকিত্সা পাওয়ার উপায় জানেন না , অথবা তারা উচ্চ পরিসেবা ফি ভয় করেন , বা ভয় করেন মনস্তাত্ত্বিক সমস্যার জন্য চিকিত্সা অন্বেষণ করলে তাদেরকে মানসিক রোগের রোগী বলে মনে করা হবে । মনস্তাত্ত্বিক সংকটে হস্তক্ষেপের একটি উচ্চ গুণগত মানের হটলাইন পরামশর্প্রার্থীদের টেলিফোন পাওয়ার পর বিনামূল্যে বেনামী পরিসেবা দিতে পারে , যাতে মনস্তাত্ত্বিক সমস্যা প্রশমিত হয়।"

    গত কয়েক বছরে আত্মহত্যা সমস্যার উপর জনগণের মনোযোগের মাত্রা বেড়ে চলার সংগে সংগে চীনের অভ্যন্তরের মনস্তাত্ত্বিক সংকটে হস্তক্ষেপের কাজও ক্রমেই বিকশিত হয় ।

"হাউ দো ইউ দো ,মনস্তাত্ত্বিক সংকটে হস্তক্ষেপের হটলাইন । ডিপ্রেশন ও আত্মহত্যায় হস্তক্ষেপ করা আমাদের পরিসেবার আওতা ।"

    এটা হলো চীনের প্রথম মনস্তাত্ত্বিক সংকটে হস্তক্ষেপের হটলাইন পেইচিংয়ের মনস্তাত্ত্বিক সংকটে হস্তক্ষেপের হটলাইন । এই হটলাইন পেইচিং শহরের মনস্তাত্ত্বিক সংকট গবেষণা ও হস্তক্ষেপ কেন্দ্রে অবস্থিত । এই কেন্দ্রের পরিচালক ছাও লিয়েন ইউয়ান সংবাদদাতাকে বলেছেন ,

"আমাদের হটলাইনে বিশেষ মানসিক স্বাস্থ্য-কর্মীরা , প্রধানত: মানসিক রোগের চিকিত্সক , সমাজসেবক ও মনস্তত্ত্ববিদরা পরিসেবা দেন । কাজ শুরু করার আগে তারা কড়াকড়ি কেন্দ্রীভূত প্রশিক্ষণ আর স্ট্যান্ডার্ড তত্ত্বাবধান ও পরিচালনা নিয়েছেন ।"

    ছাও লিয়েন ইউয়ান সংবাদদাতাকে বলেছেন , দুই হাজার দুই সালের ডিসেম্বর মাসে মনস্তাত্ত্বিক সংকটে হস্তক্ষেপের হটলাইন চালু হওয়ার পর পরামশর্প্রার্থীদের এক লক্ষ দশ হাজারটি টেলিফোন পাওয়া গিয়েছে । আশি শতাংশেরও বেশী টেলিফোনকারী বলেছেন , মনস্তাত্ত্বিক পরিসেবা নেয়ার পর তাদের উদ্বিগ্নতা ও রুদ্ধতার অনুভূতি বিভিন্নমাত্রায় প্রশমিত হয়েছে এবং তারা আবার জীবনযাত্রার সাহস পেয়েছেন ।

    মিসেস ওয়ান ইয়া সিন হচ্ছেন পেইচিংয়ের মনস্তাত্ত্বিক সংকট গবেষণা ও হস্তক্ষেপ কেন্দ্রের একজন প্রবীণ পরামশর্দাত্রী । তিনি সংবাদদাতাকে বলেছেন, তদন্ত করে দেখা গেছে , অনেক হত্যাকারী তাদের দু:খের সময়ে তাদের দু:খের কথা শোনানোর মতো লোক জোটে না বলেই চরম পদক্ষেপ নিয়েছেন , তাই শোনা হচ্ছে মনস্তাত্ত্বিক সংকটে হস্তক্ষেপকমীর্দের প্রধান দায়িত্ব । তিনি বলেছেন ,

"কেউ কেউ টেলিফোনে খুবই আবেগপ্রবণ ,তখন আমরা তাকে বলি, যে ব্যাপারেরই সম্মুখীণ হন না কেন , আমি আপনার জন্য অপেক্ষা করবো , আপনার কথা শুনবো । তখন তার উত্তেজণা , উদ্বিগ্নতা , অশান্তি কিংবা আত্মহত্যার মনোভাব কমে আসে , তার আত্মহত্যার সম্ভাবনাও অনেক কমে যায় । তার মনোভাব শান্ত হলে আমরা যথাসম্ভব তার সংগে একত্রে তার বেঁচে থাকার যুক্তিগুলো পযার্লোচনা ও অন্বেষণ করি , যাতে তিনি একটি আত্মিক অবলম্বন খুঁজে পান । তারপর তাকে কিছু অনুপ্রেরণার কথা ও ভাবানুভূতির সমথর্ন দেবো । এগুলো তার জন্য খুবই কাযর্কর ।"

    এখন পেইচিং ছাড়া , চীনের নানচিং , ছাংসা ইত্যাদি দশ বারোটি শহরেও মনস্তাত্ত্বিক সংকটে হস্তক্ষেপের বিশেষ সংস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে ।