"আমি তুমি সে"তে "নবীণা চৈনিক বাংলা সৈনিক" শিরোনামের লেখায় সি আর আই বাংলা বিভাগের নতুন সদস্যবৃন্দ আমাদের শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে নিজেদের মন থেকে যে কথামালা ব্যক্ত করেছেন। তা আমাকে আকৃষ্ট করেছে। তাই কিছু কথা লিখতে বসলাম।
ইয়াং ওয়েই মিং সোনার মানুষ। তাই বাংলা নাম রেখেছেন স্বর্ণা। তিনি আমাদের অত্যন্ত আপন জন। আমাদের ভাষাকে সুন্দর, সংস্কৃতিকে চমত্কার এবং আমাদেরকে বুদ্ধিমান ও দয়ালু ভেবে যে আবেগ প্রকাশ করেছেন, সত্যিই তার ঝণ রক্ত দিয়ে শোধার নয়।
আমাদেরকে নতুন অনুষ্ঠান উপহার দিতে চান সুবর্ণা। কি মহ্ত্ উদ্দেশ্য। আমরাতো চাই নতুনত্ব। নব চেতনায় আমাদের মাঝে গড়ে উঠুক মৈত্রীর বন্ধন, প্রত্যাশা তাই।
যার সাথে যার ভাব হয়, সেই তার কানে কানে কথা কয়। হ্যাঁ, বাঙ্গালীর প্রতি প্রমার ভাব আছে। তাই কাণে কাণে কথা বলতে চান । আশা করি কাণের কথা মনের মত হবে।
ওয়াং তান হোং আপনি শুধু ভাগ্যবতী নন, আমরাও ভাগ্যবান, আপনাকে আমাদের মাঝে পেয়ে তাই মনের মাঝে আপনার আসন করে দিলাম।
পান্না নামের একটি মেয়ে আমার সহপাঠি ছিল। আজ সি আর আইয়ে আরেক পান্নাকে পেয়ে মনে হচ্ছে আমার সহপাঠি পান্নাকে ফিরে পেয়েছি। আপনি আমাদের ভাল বন্ধু হতে চান। বন্ধুত্বের হাত বাড়ালাম কেমন?
ছাই য়ুএ আমাদেরকে টাটকা কিছু দিতে চান। আমরা তার টাটকা দান সাদরে গ্রহণ করবো। কিন্তু তার টাটকা দানের প্রতিদান হিসেবে একটি বাংলা নাম উপহার দিলাম। নামটি হলো "মিতা"। অর্থাত্ মৈত্রীর পতাকা। আশা করি, আত্মীয় ভেবে গ্রহণ করবেন।
আমাদের সন্তুষ্টি অর্জনের আশা ব্যক্ত করেছেন শিখা , এবং লিলি চীনে ভ্রমনের জন্য আমাদের নিমন্ত্রণ জানিয়েছেন। যদি পাখির মত ডানা থাকতো তাহলে এখনই চলে যেতাম, গ্রহণ করতাম আপনার আতিথীয়তা। কিন্তু তা কি আর সম্ভব? যদি কোন সাহিত্য সংস্কৃতি উত্সব উপলক্ষে সাংস্কৃতিক ভ্রমণের সুযোগ থাকে এবং সহযোগিতা করেন, তাহলে আপনার আতিথেয়তা গ্রহণ করবো। ধন্যবাদ সি আর আই , ধন্যবাদ নবীনা চৈনিক বাংলা সৈনিক আমার। আমাদের মাঝে গড়ে উঠুক মৈত্রির বন্ধন। আমরা যেন হয়ে যাই পরস্পরের আপন।
পলাশ আফজাল, সম্পাদক
রঙ্গনা পত্রিকা, সিলেট জেলা, বাংলাদেশ
|