v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-03-11 13:20:21    
৪ই মার্চ---১১ই মার্চ

cri
১. চীনের জাতীয় গণ কংগ্রেসের বার্ষিক অধিবেশন উদ্বোধন

চীনের সর্বোচ্চ জাতীয় ক্ষমতা সংস্থা-- জাতীয় গণ কংগ্রেসের বার্ষিক নিয়মিত অধিবেশন ৫ তারিখ সকালে বেইজিংয়ে উদ্বোধন হয়েছে। চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও প্রমূখ চীনের নেতারা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। জাতীয় গণ কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান উ পাং কুও উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেছেন। রাষ্ট্রীয় পরিষদের প্রধানমন্ত্রী ওয়েন চিয়া বাও অধিবেশনের উপস্থিত ২৯০০ জনেরও বেশি প্রতিনিধিদের কাছে সরকারী কার্যবিবরণী দান করেছেন।

নয় দিন ব্যাপী এবারকার অধিবেশনে কেন্দ্রীয় সরকারের , সর্বোচ্চ গণ আলাদত আর সর্বোচ্চ গণ অভিশংসক বিভাগ সহ জাতীয় গণ কংগ্রেসের স্ট্যান্ডিং কমিটির বার্ষিক কার্যবিবরণীর পর্যালোচনা এবং ভোটদান করা হবে, এবং "রাষ্ট্র-বিভক্তি বিরোধী আইনের খসড়া" পর্যালোচনা এবং ভোটদান করা হবে।

কার্যবিবরণীতে ওয়েন চিয়া বাও উত্থাপন করেছেন, চলতি বছরে চীনের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির অভিষ্ট লক্ষ্য প্রায় ৮ শতাংশ। সরকার স্থিতিশীল আর্থিক রাজনীতি এবং স্থিতিশীল মুদ্রা নীতি কার্যকরী করবে, এবং অব্যাহতভাবে রেনমিনপির বিনিময় হারের মোটামুটি স্থিতিশীলতা বজায় রাখবে। তিনি আরো বলেছেন, চীন শান্তিপূর্ণ উন্নয়নের পথে অবিচল থাকবে।

ওয়েন চিয়া বাওয়ের কার্যবিবরণীর প্রধান বিষয়বস্তুগুলো সংবাদের পর প্রচারিত প্রতিবেদনে শুনুন।

২. হু চিন থাও: বিভিন্ন জাতির জনসাধারণের মৌলিক স্বার্থ বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা চালাতে হবে

চীনের প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও পাঁচ তারিখে চীনের দশম জাতীয় গণ কংগ্রেসের তৃতীয় অধিবেশনের তিব্বতের প্রতিনিধিদলের গ্রুপ সভায় অংশ নেয়ার সময়ে বলেছেন , বিভিন্ন স্তরের সরকারকে বিভিন্ন জাতির জনসাধারণের মৌলিক স্বার্থ বাস্তবায়নের প্রচেষ্টা চালাতে হবে ।

হু চিন থাও বলেছেন , বিভিন্ন স্তরের সরকারকে ব্যাপকতম জনগণের মৌলিক স্বার্থকে পার্টি ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন কাজের ভিত্তি হিসেবে গ্রহণ করতে হবে এবং সবসময় জনগণের জীবনযাত্রার উপর নজর রাখতে হবে , জনগণের আশা আকাংক্ষা জানতে হবে , জনগণের মেধা কেন্দ্রিভূত করে জনগণের শক্তিকে মূল্য দিয়ে সত্যিকারভাবে উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন জাতির জনসাধারণের স্বার্থ বাস্তবায়ন করতে হবে ।

হু চিন থাও জোর দিয়ে বলেছেন , সংখ্যালঘু জাতি অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোর কর্মসংস্থান ও পুন:কর্মসংস্থান , সামাজিক নিশ্চয়তাবিধান , দারিদ্র্যবিমোচন ইত্যাদি জনসাধারণের প্রকৃত স্বার্থের সংগে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কাজ মনোযোগের সংগে ভালভাবে চালাতে হবে , দরিদ্র জনসাধারণের যত্ন নিতে হবে এবং তাদের মৌলিক জীবনযাত্রার নিশ্চয়তা বিধান করতে হবে ।

৩. চীনে বৈদেশিক পুঁজি আমদানী প্রতিবেশী এশীয় দেশগুলোর অনুকূল

৭ তারিখে জেনিভায় জাতি সংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সম্মেলন প্রকাশ্যিত একটি গবেষণা রিপোর্টে বলা হয় যে,প্রচুর বৈদেশিক পুঁজি সরাসরি চীনে প্রবেশ করার ফলে চীনের প্রতিবেশী এশিয় দেশগুলোর পুঁজি আমদানীর ব্যাহত করা হবে না, বরং গোটা এশীয় অঞ্চলের অর্থনীতি উন্নয়ন করা হবে।

রিপোর্টে বলা হয়, বৈদেশিক পুঁজি প্রবেশ গোটা এশিয়া, বিশেষ করে পূর্ব এশিয়া এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার অনুকূল, "চীনের প্রচুর বৈদেশিক পুঁজি আমদানী একই সময়ে এই অঞ্চলেরঅন্য দেশগুলোতে বৈদেশিক পুঁজির প্রবেশ ত্বরান্বিত করে", কারণ চীন যার কেন্দ্র সেই গোটা অঞ্চলের উত্পাদন লাইনে এসব প্রতিবেশী দেশ গুরুত্বপূর্ণ অনুপূরক ভূমিকা পালন করে। তাই চীনের প্রবল শিল্প ভিত্তি প্রতিবেশী দেশের অর্থনীতির উন্নয়ন দুবর্ল করে নি, বরং এসব দেশের অর্থনীতির সমৃদ্ধি ত্বরান্বিত করেছে।

২০০৪ সালে, চীন ৬২০০ কোটি মার্কিন ডলার বৈদেশিক পূজি আমদানী করেছে, সারা বিশ্বের মধ্যে শুধু যুক্তরাষ্ট্রের পর চীনের স্থান দ্বিতীয়। একই সময়ে, পূর্ব এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সরাসরি বৈদেশিকপূঁজি বিনিয়োগও ৬% বেড়েছে।

৪. লি চাও শিং বলেছেনঃ চীন-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করা আঞ্চলিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার অনুকূল

চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী লি চাও শিং ৬ তারিখে পেইচিংয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ জ্ঞাপন সভায় বলেছেন, চীন ও পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করা আঞ্চলিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার অনুকূল।

পাকিস্তানের সংবাদদাতার প্রশ্নের উত্তর দেয়ার সময়ে লি চাও শিং এই কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, চীন ও পাকিস্তান হলো "সর্বক্ষণের বন্ধু"। তিনি বিশ্বাস করেন যে দু'দেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এবং বহুমুখী ক্ষেত্রে ও আঞ্চলিক সংস্থায় বন্ধুত্বপূর্ণ সহযোগিতা জোরদার করবে, এটি যে শুধু দু'দেশের জনগণের জন্য অনুকূল তাই নয়, এটি আঞ্চলিক উন্নয়ন ও স্থিতিশীলতার জন্যও অনুকূল।

লি চাও শিং আরো বলেছেন, তিনি আশা করেন আগামী মাসে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া সহযোগিতা ও সংলাপের চতুর্থ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সভা সাফল্যের সঙ্গে সমাপ্ত হবে।

৫. ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী: কাশ্মীরের যাতায়াত ব্যবস্থা যাবতীয় ভারতীয় ও পাকিস্তানীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী নটবর সিং চার তারিখে নয়াদিল্লিতে আবার বলেছেন , ভারত-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর ও পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগরের মধ্যে সংযোগসাধনকারী যাতায়াত ব্যবস্থা যাবতীয় ভারতীয় ও পাকিস্তানীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে ।

ভারতের সংবাদ মাধ্যমের খবরে প্রকাশ , নটবর সিং সংসদে ভাষণ দেয়ার সময়ে বলেছেন , ভারত ও পাকিস্তানের প্রত্যেক নাগরিক শ্রীনগর থেকে বাস্তব নিয়ন্ত্রণরেখা হয়ে মুজফ্ফরবাদ পর্যন্ত প্রসারিতএই যাঁতায়াত ব্যবস্থার পরিসেবা নেয়ার অনুমতি পাবেন । ভারত ও পাকিস্তান যার যার কর্মকর্তা নিয়োগ করে সংশ্লিষ্ট আবেদন গ্রহণ করবে এবং পরীক্ষা কেন্দ্রে পর্যটনভিসা দেবে ।

৬. আশিয়ান অঞ্চল ফোরামের অ-প্রথানুগ নিরাপত্তা ক্ষেত্রের সহযোগিতা জোরদারকরণ সেমিনার চীনে অনুষ্ঠিত

চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আশিয়ান অঞ্চল ফোরামের অ-প্রথানুগ নিরাপত্তা ক্ষেত্রের সহযোগিতা জোরদারকরণ সেমিনার সাত ও আট তারিখে দক্ষিণ চীনের হাইনান প্রদেশের সান ইয়া শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছে । ফোরামের বিভিন্ন পক্ষের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং সন্ত্রাস দমন , মাদকদ্রব্য নিষিদ্ধকরণ ইত্যাদি অ-প্রথানূগ নিরাপত্তা ক্ষেত্রের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা এবারের সেমিনারে অংশ নিয়েছেন ।

সেমিনারে অংশগ্রহণকারী প্রতিনিধিরা সমস্বরে মনে করেন , এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নিরাপত্তা পরিস্থিতি মোটের উপর স্থিতিশীল । কিন্তু সন্ত্রাসবাদ , আন্ত:দেশীয় অপরাধসাধন , সংক্রামক রোগ ইত্যাদি অ-প্রথানুগ নিরাপত্তা হুমকি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে স্পষ্টভাবে বেড়েছে এবং দিনদিন আঞ্চলিক নিরাপত্তাকে প্রভাবিতকারী অনিশ্চিত উপাদানে পরিণত হচ্ছে । সেমিনারে সন্ত্রাস দমন ইত্যাদি অ-প্রথানুগ নিরাপত্তা ক্ষেত্রে চালানো সংলাপ ও সহযোগিতায় আশিয়ান অঞ্চল ফোরামের অর্জিত সাফল্যকে পূর্ণ স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে এবং বিভিন্ন পক্ষের প্রতি সংলাপ ও সহযোগিতা আরো জোরদার করে মিলিতভাবে চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করার আহবান জানানো হয়েছে ।

৭. লেবাননের প্রেসিডেন্ট এমিলে লাহৌদ কারামিকে নতুন সরকার গঠনের অনুরোধ করেছেন

লেবাননের প্রেসিডেন্ট এমিলে লাহৌদ ১০ তারিখে আনুষ্ঠানিকভাবে সাবেক-প্রধানমন্ত্রী ওমর কারামিকে লেবাননের অন্তর্বর্তীকালিন সরকার গঠন করার অনুরোধ করেছেন । যৌথ সরকার গঠনের জন্যে করামি যে প্রস্তাব দিয়েছেন লেবাননের বিরোধী দল তার বিরোধীতা করেছে ।

৯ তারিখ সংসদে আলোচনার ফল অনুযায়ী, একইদিনে লাহৌদ কারামিকে অন্তর্বর্তীকালিন সরকার গঠনের দায়িত্ব দেয়ার সিন্ধান্ত নিয়েছেন । তারপর কারামি বলেছেন, তিনি লেবানেনের বিরোধী দলের সংগে সংলাপ করবেন, বিরোধী দলসহ জাতীয় ঐক্য সরকার গঠন করবেন , যাতে এ বছরের মে মাসে লেবানেনের সংসদ নির্বাচনের আগে অথবা অন্তর্বর্তীকালে প্রশাসন করা যায় ।

একইদিনের একটু দেরী সময়ে, লেবানেনের বিরোধী দল যুক্ত সরকার গঠন করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে এবং উল্লেখ করেছে যে, যদি কারামি আবার সরকার গঠন করেন, তাহলে বর্তমান লেবাননের সংকট অব্যাহত থাকবে । লেবানেনের বিরোধী দলের নেতা ওয়ালিদ জুম্বলাট একটি নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠা করার আহ্বান জানিয়েছেন । এবং তিনি আশা করে, বিরোধী দলের দাখিল করা হারিরি গুপ্তহত্যা নিয়ে আন্তর্জাতিকতদন্ত করা, লেবানেনের নিরাপত্তা বিভাগের দায়িত্বশীল ব্যক্তিকে পদচ্যুত করাএবং সিরিয়ার বাহিনী ও তথ্য সংস্থা সার্বিকভাবে লেবানন থেকে সরিয়ে নেয়ার দাবির প্রতি লেবাননের সরকারের উত্তর দেয়া উচিত ।

৮. ইরাকের অন্তর্বর্তিকালীন সংসদ এই মাসের মাঝামাঝি সময়ে প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠান করবে

৬ তারিখে ইরাকের অস্থায়ী সরকারের উপ প্রধানমন্ত্রী সালেহ বলেছেন, সদ্য-নির্বাচিত ইরাকের অন্তর্বর্তিকালীন জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন এমাসের ১৬ তারিখে অনুষ্ঠিত হবে।

সালেহ বলেছেন, প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠানের আগে, বিভিন্ন পার্টি ও জোট ইরাকের অন্তর্বর্তিকালীন সরকারের গঠন নিয়ে এক মত হবে বলে আশা করা যাছে। এক মত হতে না, পারলেও অধিবেশন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত, এবং সংসদের ভেতরে অব্যাহতভাবে এই সমস্যা নিয়ে আলোচনা ও পরামর্শ করা হবে।

ইরাকের অন্তর্বর্তিকালীন সংবিধান অনুযায়ী, অন্তর্বর্তিকালীন জাতীয় সংসদের উচিত বর্তমান অস্থায়ী সরকারের সংগে পরামর্শ করা এবং যথাশীঘ্র প্রথম অধিবেশন অনুষ্ঠান করা, যাতে স্পীকার নির্ধারণ করা যায় এবং প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট নিয়ে গঠিত প্রেসিডেন্ট কমিটি নির্বাচিত হতে পারে। প্রেসিডেন্ট কমিটির নির্দেশে সংসদের মধ্যে বৃহত্তম রাজনৈতিক জোট প্রধানমন্ত্রী মনোনীত করবে এবং মন্ত্রী সভার গঠন করবে, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী সভার নামের তালিকা জাতীয় সংসদ গৃহিত হওয়ার পরইকেবল কার্যকরী হবে।

অন্য খবরে জানা গেছে, ৬ তারিখে ইরাকে মোতায়েন ঘোষণা করেছে, মার্কিন বাহিনী ইরাকের আনবার প্রদেশে মার্কিন বাহিনীর পরিচালিত "রিভার ব্লিটস" নামক সামরিক অভিযান শেষ হয়েছে। ইস্তাহার বলা হয়, এবারকার অভিযানের লক্ষ্য হল ইরাকের অন্তর্বর্তিকালীন সরকার প্রতিষ্ঠার আগে, আনবার প্রদেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

৯. মার্কিন সৈনিক ইরাকে মুক্তিপ্রাপ্তইতালি সংবাদদাতাকে আহত করেছে

৪তারিখে মার্কিন সৈনিক গুলি চালিয়ে ইরাকে মুক্তিপ্রাপ্ত ইতালি সংবাদদাতা গিউলিয়ানাকে আহত করেছে । একই দিনে ৪জন মার্কিন সৈনিক ইরাকে প্রান হারিয়েছে ।

ইতালিতে প্রত্যাবর্তনের জন্যে গিউলিয়ানা গাড়ি করে বাগদাদ বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে মার্কিন সেনাবাহিনীর এক পরীক্ষা কেন্দ্রহয়ে যাওয়ার সময়ে আহত হয়েছেন । তার সফরসংগী ইতালির একজন গোয়েন্দা যিনি গিউলিয়ানা কে মুক্তকরার কাজে অংশ নিয়েছিলেন তিনি ঘটনাটিতে মারা যান । গিউলিয়ানা এখন বাগদাদের এক হাসপাতালে চিকিত্সাধীন আছেন।একই দিনে ইতালির প্রধানমন্ত্রী বের্লুস্কোনি রোমে জরুরীভাবে মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে ডেকে পাঠান । তিনি মার্কিনপক্ষকে ঘটনাটি সম্পর্কে যুক্তিযুক্তভাবে ব্যাখা করার দাবী জানিয়েছেন ।

কিছু সংবাদ-মাধ্যমের খবরে প্রকাশ, ইতালি সরকার নারী সংবাদদাতার মুক্তি করার জন্য অপহরণকারীদের কাছে প্রায় ৮০ লক্ষ মার্কিন ডলারের রানসম দিয়েছে।

ইতালির উপপ্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিনি ৯ তারিখে রোমে বলেছেন, ইরাকের সশস্ত্র ব্যক্তিদের অপহৃত ইতালির "ম্যানিফেস্টো" পত্রিকার নারী সংবাদদাতা স্গরেনার মুক্তির জন্য ইতালি সরকার রানসম দেয় নি।

একই দিন ইতালির টেলিভিশনে একটি বৈঠক অনুষ্ঠানে ফিনি বলেছেন, ইতালি সরকার অপহরণকারীদের কাছে যে কোনো রকম আপোসের বিরোধিতা করে এবং তাদের কাছে কোনোমতেই রানসম দেবে না। ইতালি সরকার অপহরণকারীদের কাছে রানসম দেওয়ার ঘোর-বিরোধী এবং ইতালির আইন-বিধিতেও এ আচরণ নিষিদ্ধ।

১০. মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগামী সপ্তাহে এশিয়া সফর করবেন

৯ তারিখে মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগের মুখপাত্র বৌচার তথ্যজ্ঞাপন সভায় ঘোষণা করেছেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাইস ১৪ তারিখ থেকে ২১ তারিখ পর্যন্ত চীন সহ ৬টি এশিয় দেশ সফর করবেন। এবারকার সফর জানুয়ারিতে তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর তাঁর প্রথম চীন সফর।

রাইস এবার ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, জাপান, এবং দক্ষিণ কোরিয়াও সফর করবেন। মুখপাত্র বৌচার বলেছেন, রাইসের এবারকার সফরের গুরুত্ব হল চীন, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া তিন দেশের নেতাদের সংগে কোরিয় উপদ্বীপের পারমাণবিক সমস্যার ছয় পক্ষীয় বৈঠক আবার শুরু করার বিষয় নিয়ে সংলাপ করা, আফগানিস্তান যুদ্ধোত্তর পুর্নগঠন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং ভারত ও পাকিস্তানের সধ্যে দ্বীপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন করা।

মুখপাত্র বলেছেন, রাইস এসব দেশের নেতাদের সংগে ইরাকের পর্নগঠন সমর্থন করা ও আফগানিস্তানের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা এবং আন্তর্জাতিক ও অঞ্চলের সহযোগিতা উন্নয়ন নিয়েও আলোচনা করবেন।