আলোচ্য যুগে প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের ক্ষেত্রেও বিরাট অগ্রগতি হয়েছিল। চীনা জ্যোতির্বেত্তারা প্রধান প্রধান গ্রহনক্ষত্রপুঞ্জের সংগে পরিচিত ছিলেন এবং তাঁরা সূর্য, চাঁদ এবং বুধ, শুক্র, মঙ্গল, বৃহস্পতি ও শনি এই পঞ্চ গ্রহের সঞ্চারণ গণনা করতে পরতেন। জলানুসন্ধানবিদ্যার যম্ত্রশিল্পী যেমন লি পিং এবং চেং কুও জলসেচন এবং জলাথার তৈরীর ক্ষেত্রে অনেক সাফল্য অর্জন করেছিলেন। যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতিলাভের সংগে সংগে ভৌগোলিকেরা বুঝতে পেরেছিলেন শুধমাত্র চীন দেশকে নিয়েই পৃথিবী গঠিত হয় নি। তাঁরা ক্রমশঃ চীন দেশের বাইরে অন্যান্য দেশের ভূগোলও আলোচনা করতে থাকেন। পর্দার্থ-বিজ্ঞানও উন্নতি লাভ করেছিল। দার্শনিক মো তি রচিত গ্রন্থে রশিম এবং বলবিদ্যা সম্বন্ধে কয়েকটি মৌলিক নীতির উল্লেখ পাওয়া যায়।
ঐযুগে কয়েকটি ঐতিহাসিক গ্রন্থেও রচিত হয়েছিল। জুও ছিউমিং-রচিত "কনফুসিয়াসের বসন্ত ও শরত্ গ্রন্থের টীকা", "রাষ্ট্রচালনা সম্পর্কে আলোচনা", "যুদ্ধরত রাজ্যসমূহের ইতিহাস" এবং "বাঁশগ্রন্থের উপাখ্যান"ইত্যাদি যুদ্ধরত রাজ্যসমূহের সময়পর্বে লিখিত হয়েছিল। সাহিত্যের বিকাশ আরও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করেছিল। বর্ণনামূলক প্রবন্ধ ছাড়া বহু বৃহত্ তাত্ত্বিক প্রবন্ধও লিখিত হয়েছিল। ছু রাজ্যের প্রতিভাবান কবি ছ্যু ইউয়ান (আনুমানিক খৃঃ পূঃ ৩৪০-২৭৮) -এর গীতিকাব্যসমূহ এবং ঐ রাজ্যের আরও অন্যান্য কবিদের রচনা-যা সম্মিলিতভাবে" ছু রাজ্যের গাথাসঙ্গীত" নামে খ্যাত এবং সবচেয়ে পুরাতর কাব্য ও গীত সংকলিত গ্রন্থ "কাব্য-গীতিকা গ্রন্থ" চীনা সাহিত্যের এক অমূল্য সম্পদ।
|