v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-03-04 13:36:56    
প্রাচীন শহর সি আন

cri
    প্রাচীন শহর সি আন উত্তর পশ্চিম চীনের শেন সি প্রদেশের রাজধানী । সি আন পৃথিবীর চারটে প্রাচীন রাজধানী শহরের অন্যতম । চীনের ১২ টি রাজবংশের রাজধানী এখানেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল । চীনের হান রাজবংশ আর ছিং রাজবংশ থেকে সুং রাজবংশ আর থাং রাজবংশ পর্যন্ত সি আন ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আর সুন্দর শহরগুলোর অন্যতম । যারা সি আনে গিয়েছেন , তাঁরা সেখানকার মহিমাময় পুরাকীর্তিগুলো দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারেন নি । আজও পর্যন্ত সি আনে দশ-বারো কিলোমিটার দির্ঘ বিরাটাকারের প্রাচীন নগর-প্রাচীর সংরক্ষিত রয়েছে । সি আনে মানব জাতির আদিকালের বহু ধ্বংসবাশেষও আছে। লান থিয়ান মর্কট -নর আর তালি -মানবের জীবনযাত্রার ধ্বংসবাশেষ থেকে মানব জাতি বিবর্তনের কিছু কিছু চিন্হো লক্ষ্য করা যায় । পান পো সংস্কৃতি আর চৌ ইউয়ান সংস্কৃতি থেকে আদিকালের চীনা জাতির সুদীর্ঘ ইতিহাসের ধারনা পাওয়া যায় । ১৯৭৪ সালের মার্চ মাসে দুহাজার বছরেরও বেশি সময় আগেকার ছিং রাজবংশের সম্রাট শি হোয়াংয়ের সমাধি থেকে অজস্র সারিবদ্ধ, মাটির তৈরি সৈনিক আর ঘোড়ার মুর্তি উদ্ধার করা হয়েছে । এই সুর্তিগুলোকে এখন দুনিয়ার "অষ্টম বিরাট বিস্ময়" বলে গণ্য করা হচ্ছে । হান আর থাং রাজবংশের সম্রাটদের সমাধিক্ষেত্র, মন্দির প্রভৃতি অসংখ্য পুরাকীর্তি সি আন শহরে দেখা যায় । এই সব অতুলনীয় পুরাকির্তি স্বচক্ষে দেখার জন্যে প্রতিবছর দেশ-বিদেশের এক কোটি পর্যটক সি আনে যান ।

    সি আন শহর যেমন একটি প্রাচীন শহর , তেমনি আধুনিক যুগের বৈশিষ্ট্যগুলোও এই শহরে লক্ষ্য করা যায় । ১৯৯৩ সালের জুন মাসে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক , চীনের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট চিয়াং চে মিন সি আন পরিদর্শনের সময়ে " বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিদ্যা , পর্যটন এবং বাণিজ্যকে পরিচালিকা শক্তি গণ্য করে , সি আনকে দুনিয়ার কাছে উন্মুক্ত একটি সমাজতাত্রিক শহররুপে গড়ে তোলার" লক্ষ্য উত্থাপন করেছেন । দ্বিতীয় ইউরোপ - এশিয়া স্থল মোজকের মধ্যভাগে অবস্থিত বলে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সি আন শহর পশ্চিম আর পুর্বকে সংযুক্ত করার ভূমিকা পালন করতে পারে ।

    বর্তমানে সি আন শহরে সর্বশাখা -সম্বলিত একটি পূর্ণাংগ শিল্প ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে । সি আনের মহাশূণ্য -শিল্প ,বিমানশিল্প ,বৈদ্যুতিন শিল্প ,যন্ত্রপাতি শিল্প আর বস্ত্রশিল্পের সাফল্যগুলো বিশেষভাবে উল্লেখ যোগা । বিজ্ঞান আর প্রযুক্তিবিদ্যা এবং উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সি আনের বেশ প্রাধান্য রয়েছে । সি আনের বিজ্ঞানী আর প্রযুক্তিবিদদের সংখ্যা বেশি , এবং উচ্চ শিক্ষার মান খুবই উন্নত । এই দিক থেকে সারা দেশে পেইচিং আর শাংহাইয়ের পর সি আনের স্থান । সি আনে বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত মোট তিন লক্ষেরও বেশি কারিগর এবং পাঁচ শোরও বেশি বৈজ্ঞানিক গবেষণা সংস্থা আছে ।

    উন্মুক্ততার নীতি সি আনে প্রাচীন সংস্কৃতির সুরক্ষার সংগে আধুনিককিরণের গঠনব্রতের অগ্রগতিকে সংযুক্ত করেছে । কিছুদিন আগে সি আনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি কোম্পানির সংগে সি আন শহর সহযোগিতা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে । এই চুক্তি অনুযায়ী , দুপক্ষ যুক্তভাবে "সি আন একবিংশ শতাব্দির আন্তর্জাতিক প্রযুক্তিবিদ্যা -আর -শিল্প উদ্যান" প্রতিষ্ঠা করবে । এটা বহির্বিশ্বের দিকে সি আনের উন্মুক্ততার একটি দৃষ্টান্ত মাত্র । আমাদের বিশ্বাস , উন্মুক্ততার নীতির কল্যানে সি আনের একটি আধুনিক শহরে পরিণত হওয়ার পদক্ষেপ দ্রুততর হবে ।