v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-03-03 11:38:18    
চীনের বৈজ্ঞানিক সাবর্জনিন শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ জানালা – চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভবন

cri
    পেইচিং শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভবন হচ্ছে গোটা সমাজে বৈজ্ঞানিক সাবর্জনিন শিক্ষা চালানোর একটি গুরুত্বপূর্ণ জানালা । ভবনের মধ্যে রয়েছে জীববিজ্ঞান , মস্তিষ্ক বিজ্ঞান , প্রাণী ও পরিবেশ রক্ষা , তথ্যবিজ্ঞান , উপকরণ , যন্ত্রপাতি , যোগাযোগ , শক্তিসম্পদ , বিমান , মহাশূন্য বিজ্ঞান , গণিতবিদ্যা ও বুনিয়াদী বিজ্ঞান আর চীনের প্রাচীনকালের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইত্যাদি প্রদশর্নী কক্ষ । প্রায় পাঁচশোটি দ্রব্য প্রদশির্ত হচ্ছে ।

    এখন আপনারা যে কথাগুলো শুনতে পাচ্ছেন তা হচ্ছে চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভবনের ব্যাখ্যাকারের ব্যাখ্যা ।

    দুই হাজার সালের মে মাসে গোটা সমাজের কাছে উন্মুক্ত হওয়ার পর এপযর্ন্ত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভবন মোট আশি লক্ষেরও বেশী দশর্ককে অভ্যথর্না জানিয়েছে এবং তার বিশেষ মোহনীশক্তি দিয়ে বিভিন্ন বয়স আর সমাজের বিভিন্ন স্তরের লোকদের আকষর্ণ করেছে । গত দু'বছরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভবনটির দৈনিক দশর্ক সংখ্যা পাঁচ হাজারেরও বেশী হয়েছে ।

    চীনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভবনের প্রধান ওয়ান ইউ সেন একটি সাক্ষাত্কারে সংবাদদাতাকে তাদের একটি গোপন তথ্য জানালেন , তা হচ্ছে আনন্দ-ফুর্তির মধ্য দিয়ে জ্ঞানাজর্ন । তিনি বলেছেন , "আমি মনে করি , বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভবনের প্রদশির্ত দ্রব্যগুলোকে শীতলভাবে কাঁচের আবরণের মধ্যে শায়িত হতে দিলে আর বাইরে 'হাত দিও না' সাইনবোর্ড রাখলে চলে না । কারণ এতে প্রদশির্ত দ্রব্যগুলোর দৃশ্যমানতার অভাব ঘটতে পারে । প্রদশির্ত দ্রব্যগুলোকে গতিশীল হতে আর দশর্কদের এতে প্রবেশ করতে দিতে হয় । যাতে দশর্করা নিজেরা বিজ্ঞানের রহস্যময়তা অনুভব করতে পারেন । তাহলেই মজাদার মনে করে আরো বেশী লোক পরিদশর্ন করতে আসেন আর মজা লাভের মধ্য দিয়ে বৈজ্ঞানিক জ্ঞানাজর্ন করতে পারেন ।

    সাক্ষাত্কার নেয়ার সময়ে সংবাদদাতা দেখেছেন , দশর্কদের বেশীরভাগই তরুণ বয়েসের ছাত্রছাত্রী । এদের অনেকেই পেইচিংয়ের বাইরের ছাত্রছাত্রী ।

    নানচিং শহর থেকে আসা একজন ছাত্র বলেছেন ,

"পেইচিংয়ে আমার একজন আত্মীয়ের পরামর্শে আমি এখানে এসেছি । তিনি বলেছেন , এখানটা খুব ইন্টারেস্টিং । আমি মনে করি , বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভবন পরিদশর্ন আমার জ্ঞানের পরিধি বৃদ্ধির বিশেষ সহায়ক । যেমন এখানে প্রদশির্ত কিছু পদার্থবিদ্যার জ্ঞান বইপত্রের মতো মোটামুটি একই রকমের । কিন্তু এখানে প্রদশির্ত জ্ঞান অপেক্ষাকৃত চিত্তাকষর্ক অপেক্ষাকৃত স্বচ্ছ ।"

    খুবই ছোটো বয়সের অনেক ছেলেমেয়ে তাদের বাবা – মা'র সংগে এসেছে । একজন অভিভাবিকা সংবাদদাতাকে বলেছেন ,

"ছেলের জ্ঞান বাড়ানোর জন্যই আমি তাকে এখানে নিয়ে এসেছি । আমরা প্রায়ই ছেলেকে নিয়ে শহরের উপকণ্ঠের কিছু বৈজ্ঞানিক সাবর্জনিন শিক্ষার জায়গায় যাই । কারণ আমার ছেলে এখনো ছোটো ,এখনো স্কুলে ভর্তি হয় নি । আমি এই উপায়ে ছেলেকে বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের সংস্পর্শে আসতে দিতে চাই । যাতে ছেলেটি নিজ চোখে পৃথিবী দেখে । তার পক্ষে এটা বেশী সহায়ক ।"

    ইন্টারেস্টিং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভবন ছেলেমেয়েদের বেশী টানে । নিজ হাতে প্রদশির্ত দ্রব্য ব্যবস্থাপনাকারী একজন ছেলে আনন্দের সংগে বলেছে ,"এখানটা আমার খুবই পছন্দ । কারণ সাধারণ সময়ে যে সব জিনিস আমি দেখতে পাই না ,সে সব জিনিস এখানে রয়েছে ,যেমন রোবোট ।"

    ছেলেটির মা সংবাদদাতাকে বলেছেন ,

"আমরা ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার এখানে এসেছি ,তবুও ছেলেটির নেশা মেটে না । প্রত্যেকবার টিকেট হাতে পাওয়ার সংগে সংগেই সে অধীর হয়ে ওঠে । বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভবনে প্রবেশ করার পর আর তাকে বেরুতে রাজী করানো দায় । বস্তুত:শুধু ছেলেমেয়েরাই নয় ,আমরা বড়রাও খুবই ইন্টারেস্টিং বলেই মনে করি । আমি মনে করি ,ছোটবেলা থেকেই ছেলেমেয়েদের কৌতুহল গড়ে তোলা উচিত্ । তাছাড়া আমি মনে করি ,আমাদের দেশের বৈজ্ঞানিক সাবর্জনিনতার কাজে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ভবনের ভূমিকা বেশ উল্লেখযোগ্য । এখানে যুবকযুবতী ও কিশোরকিশোরীদের ঘনঘন আসার অনেক উপকারিতা আছে ।"

    সাক্ষাত্কার নেবার সময়ে বৈজ্ঞানিক জ্ঞান জানার জন্য জনসাধারণের প্রগাঢ় কৌতুহল সংবাদদাতার মনে গভীর ছাপ ফেলেছে । আর সাক্ষাত্কারের আগাগোড়ায় "ইন্টারেস্টিং" শব্দটি বারবার উচ্চারিত হয়েছে ।