ফাল্লুজাহ শহর ইরাকের বৃহত্তম আনবার প্রদেশে এবং রাজধানী বাগদাদের প্রায় ৬৯ কিলোমিটার পশ্চিমে অবস্থিত ।এর লোকসংখ্যা প্রায় তিন লক্ষ। ফোরাত নদী শহরটির উপর দিয়ে বয়ে দক্ষিন দিকে দজলা নদীর সংগে মিলিত হয় ।২০০রও বেশিটি মসজিদ ফাল্লুজাহ শহরে আর আশেপাশে গ্রামে ছড়িয়ে আছে বলে ফাল্লুজাহ মসজিদের শহর নামে পরিচিত ।
ফাল্লুজাহ এক পুরাতন ঐতিহাসিক শহর , হাজার বছর আগেকার ব্যাবিলোন যুগে মানবজাতি সেখানে বসবাস শুরু করে ।ফাল্লুজাহর কয়েকটি অর্থ আছে , এর এক অর্থ হল সিরিয় ভাষার শাখা। কারন কয়েক হাজার বছর আগে এখানে ফোরাত নদী বিভক্ত হয় ।পারস্য আর আরব খলিফার শাসনামলে ফাল্লুজাহ ছিল এক নামগোত্রহীন ছোটো শহর মাত্র ।
অস্মান সাম্রাজ্যের শাসনামল পর্যন্ত ফাল্লুজাহ এক অবিখ্যাত ছোটো শহর ছিল, ১৯৪৭ সালেও তার লোকসংখ্যা ছিলো মাত্র দশ হাজার ।ইরাকের স্বাধীনতা আর তেল ও মাকিন ডলারের প্রবেশের সংগেসংগে ফাল্লুজাহ ধাপেধাপে সম্প্রসারিত হয়। সাদ্দামের শাসনামলে ফাল্লুজাহ আর আশেপাশের কয়েকটি নগর মিলে বিশ্ববিখ্যাত সুন্নি ব-দ্বীপ অঞ্চলে পরিনত হয় ।১৯১৪ সালে ইরাকে দুটি প্রধান স্থল পথ ছিল , এর মধ্যে একটা হল বাগদাদ থেকে ফাল্লুজাহ পর্যন্ত স্থায়ী সড়ক।আজ ফাল্লুজাহ হল বাগদাদ থেকে জর্ডানেযাওয়া প্রধান সড়কের এক গুরুত্বপূর্ণ শহর ।
ফাল্লুজাহ ইরাকের সুন্নি মুসলমানদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর,এর ৯৫শতাংশ অধিবাসী হলেন সুন্নি সম্প্রদাযের মুসলমান। পুনরুথ্থান সমাজ পার্টির বহু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাফাল্লুজাহ থেকে আসেন । আজ ফাল্লুজাহ ইরাকস্থ মার্কিন বাহিনীর এক দুঃস্বপ্নে পরিনত হয়েছে । গতবছর ইরাক দখল করার পর এ পর্যন্তমোট ৬০'রও বেশি মার্কিন সৈনিক ফাল্লুজাহয় প্রান হারিয়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা বাগদাদ ছাড়া অন্যান্য শহরের চেয়ে অনেক বেশি ।
|