জাতীয় পতাকাঃ পতাকার রং লাল,তার মাঝখানে একটি সাদা দশ সংখ্যা আছে। সুইজার্ল্যান্ড জাতীয় পতাকার আদর্শের আদিকারণ আলাদা আলাদা, তার মধ্যে চারটি কারণ প্রতিনিধিত্বশীল।১৮৪৮ সালে থেকে সুইজার্ল্যান্ডের নতুন ফেডারেশনের সংবিধান সৃষ্টি হয়েছে।সাদা রং শান্তি ,ন্যায় আর আলো প্রতীক হয়।লাল রং বিজয়, সুখ আর গভীর আগ্রহের প্রতীক ।সেটা পতাকার আদর্শ অর্থাত্ দেশের ঐক্যের প্রতীক ।এই জাতীয় পতাকা ১৮৮৯ সালে পরিবর্তিত হয়েছে, আগের আয়তাকার থেকে বর্গাকারের রূপ নিয়েছে। এটি দেশের ন্যায়পরায়ণ এবং নিরপেক্ষ পররাষ্ট্র নীতির প্রতীক ।
জাতীয় সংগীতঃ তার ডিজাইন আর রং জাতীয় পতাকার একই।
সুইজার্ল্যান্ডের রাষ্ট্রপ্রধান সামুএল স্মিথ ,২০০৫ সালের পয়লা জানুয়ারী তিনি রাষ্ট্রপ্রধানের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
সুইজার্ল্যান্ডের জন সংখ্যা ৭০.৯ লক্ষ (১৯৯৭সাল)। তার মধ্যে বিদেশী প্রায় ১৯.৪%।রাষ্ট্র ভাষা জার্মান,ফরাসী আর ইটালিয়ান।জনগণের মধ্যে প্রায় ৬৩.৬% জার্মান,প্রায় ১৯.২% ফরাসী এবং প্রায় ৭.৬% ইটালিয়ান ভাষায় কথা বলে।জনগণের মধ্যে ৪৪% খৃষ্টান ধর্ম বিশ্বাস করে, ৪৮% ক্যাথলিক ধর্ম বিশ্বাস করে,অন্য ধর্ম ৫% জনগণ বিশ্বাস করে।
সুইজার্ল্যান্ডের রাজধানী বার্ণ।
রাজনৈতিকঃ সুইজার্ল্যান্ড একটি ফেডারেল রাষ্ট্র।বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত জেলা নিজের সংবিধান আছে।ফেডারেল কমিটি রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ প্রশাসনিক সংস্থা।ফেডারেল সংসদ রাষ্ট্রীয় পরিষদ আর ফেডারেশন পরিষদ গঠিত হয়।উভয় পরিষদে মতৈক্য অর্জিত হলেই কেবল আইন বা সিদ্ধান্ত ফলপ্রসূ হয়।ফেডারেল কমিটির চেয়ারম্যান হলো সুইজার্ল্যান্ড ফেডারেশনের চেয়ারম্যান।তিনি রাষ্ট্রপ্রধান এবং সরকার প্রধান।তাঁর দায়িত্ব পালনের মেয়াদ এক বছর ,কিন্তু পুনর্বার দায়িত্ব গ্রহণ করবেন না।সংবিধান সুইজার্ল্যান্ডের জনগণের নির্বাচন আর জনগণের বেছে নেয়া পদ্ধতি বাস্তবায়ন করে।এটি প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র।
সামরিকঃসুইজার্ল্যান্ড গণ -সৈন্য সংগ্রহের ব্যবস্থা প্রবর্তন করে।১৮ বছর বয়স থেকে ৪২ বছর বয়সের সুস্থ পুরুষদের মধ্য থেকে দু'বছর অন্তর তিন সপ্তাহ ধরে বাহিনীর সদস্য সংগ্রহ করা হয়।এ ক্ষেত্রে নারী ও পুরুষের অধিকার একই।তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রের সামরিক তত্পরতায় যোগদান করতে পারে।সুইজার্ল্যান্ডের সামরিক বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ২.২ লক্ষ ।তার কর্তব্য হলো প্রতিরক্ষা সন্ত্রাস দমন।
পররাষ্ট্রঃ সুইজার্ল্যান্ড একটি চির- নিরপেক্ষ দেশ। ইতিবাচক নিরপেক্ষ নীতি অনুসরণ করে।স্বাভাবিক ,সদয় পরিসেবা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা হলো সুইজার্ল্যান্ডের পররাষ্ট্র নীতির তিনটি প্রধান পদ্ধতি।
চীনের সম্পর্কঃ ১৯৫০ সালের ১৪ই সেপ্টেম্বর সুইজার্ল্যান্ড ও চীনের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ১৯৫৬ সালের জানুয়ারী আর ১৯৫৭সালে এপ্রিল মাসে দু'পক্ষ আলাদা আলাদাভাবে দূতাবাস স্থাপন করে।২০০৩ সালের নভেম্বর মাসে ,সুইজার্ল্যান্ডের ফেডারেল চেয়ারম্যান পাসকাল কৌছেপিন চীন সফর করেছেন।
|