১৯৯১ সালে ছেন হোং চীনের নৌবাহিনীর নৃত্য-সংগীত দলে ভর্তি হয়ে একক কন্ঠশিল্পী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন । ১৯৯৩ সালে তার প্রথম গ্রামোফোন রেকর্ড প্রকাশিত হয় , অনেক শ্রোতাবন্ধু এই গ্রামোফোন-রেকর্ড থেকে তার পরিচয় পেয়েছেন । এসম্পর্কে ছেন হোং বলেছেন ,অনেক দর্শক আর শ্রোতাবন্ধু আমার এই গ্রামোফোন-রেকর্ডের"প্রাচীনকালের কাহিনী", "স্বপ্নের নদনদীর গ্রাম " ইত্যাদি ধারাবাহিক গানের মধ্য দিয়ে আমাকে চিনেছেন । সময় খুব তাড়াতাড়ি পার হয়েছে , এই দশ-বারো বছরে আমি শ্রোতাবন্ধুদের ভালবাসা ও সমর্থন পেয়েছি বলে আমার গান গাওয়ার মান অনেক উন্নত হয়েছে ।এজন্যে সবাইকে ধন্যবাদ জানাছি ।
নৌবাহিনীর নৃত্য-সংগীত দলে একক কন্ঠশিল্পীহওয়ার কথা স্মরণ করে ছেন হোং বলেছেন ,সে সময়ে আমি প্রায়ই থিয়েন আনম্যানের সামনে বসে আসা-যাওয়া গাড়ী ও পথচারীর অবিরাম জলস্রোত দেখে মনে মনে নিজেকে বলতাম,পেইচিং জায়গাটা খুব বড়,পেইচিংয়ের আকাশ বিশাল ,পেইচিং প্রত্যেক যুবকযুবতীর নিজের মেধা দেখানোর চমত্কার মঞ্চ, আমি প্রচেষ্টা চালাব , কখনো পিছপা হব না ।
নৌবাহিনীর নৃত্য ও সংগীত দলের একজন শিল্পী হতে পেরে ছেন হোং অত্যন্ত খুশি ও আনন্দিত । কারণ সেনাবাহিনীতে ভর্তি হওয়া ছোটো বেলা থেকেই তার এক স্বপ্ন ছিল। এসম্পর্কে তিনি বলেছেন ,ছোটো বেলা থেকেই আমি সেনাবাহিনীর এক সদস্যা হতে চেয়েছি , কারণ আমার বাবা একজন প্রবীন সৈনিক,তিনি চান আমি এক সৈনিক হই।১৮ বছর বয়সে বাবা আমাকে সেনাবাহিনীতে প্রশিক্ষণ নিতে পাঠান ।সেনাবাহিনীতে তিন মাসের প্রশিক্ষন আমার মনে গভীর রেখাপাত করেছে , আমি কখনো ভুলতে পারব না ।আজ আমি নৌবাহিনীর এক সদস্যা হয়েছি বলে আমি অত্যন্ত গৌরবান্বিতা।
ছেনহোংয়ের গাওয়া"সময়করে বাড়ি ফিরে বাবামাকে দেখতে যান "গানটি শ্রোতারা খুব পছন্দ করেন।গানটির কথাগুলো এমনি :মাঝেমাঝে সময় করে সন্তান নিয়ে বাড়ি ফিরে বাবামাকে দেখতে যান, হাসিমুখে মংগলকামনা নিয়ে স্বামীর সংগে বাড়ী ফিরে যান , তোমাকে মায়ের অনেক কথা বলার আছে ।বাবা অনেক সুস্বাদু তরকারী রান্না করেছেন ।নিজের জীবনের অসুবিধার কথা মাকে জানান , কাজের কথা বাবাকে বলুন ।মাকে বাটি পরিস্কার করতে সাহায্য করুন ,বাবার পিঠ ও কাঁধ মালিশ করুন । নিজের সন্তান নিরাপদে আছে বলে বাবামা আশা করেন ।গানটি সম্পর্কেছেন হোং বলেছেন ,গানটির কথাগুলো পড়ে আমি খুব মুগ্ধ হয়েছি ।কারণ গানটি বাড়ি থেকে দূরে থাকা সব লোকের মনের অনুভুতি ব্যক্ত করেছে ।১৯৯১ সাল থেকে ১৯৯৮সাল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে আমি খুব কম বাড়ি ফিরে যাই। সবসময়ে নিজের কাজের জন্যে প্রচেষ্টা চালাচ্ছিলাম, বরং বাবামার প্রতি নিজের ভালবাসার সেই মনোভাব উপেক্ষা করেছি ।সন্তানের প্রতি বাবামার চাওয়া ভুলে গেছি । তাই আশা করি পৃথিবীর সব বাবামার সন্তানরা মাঝেমাঝে বাড়ি ফিরে বাবামাকে দেখতে যান ।
এখন ছেন হোং অত্যন্ত সুখী,তার আছে তাকে ভালবাসা দেয়ার স্বামী ।তাদের প্রেমের কাহিনী অত্যন্ত রোমান্টিক।একবার, এক যুবক হাইওয়ে ধরে গাড়ী চালিয়ে যাচ্ছিলেন, হঠাত এক গাড়ি যুবকটির গাড়ি ছাড়িয়ে সামনে চলে যায়, সেই গাড়ি চালাচ্ছিলেন এক সাদা পোষাক পরা মেয়ে, মেয়েটির কালো চূল বাতাসের সংগে নেচে উঠে ।যুবকটির চোখে এই মেয়ে এক সুন্দরী পরী । সুন্দরী পরীর গাড়ী সামনে যায় , যুবকটি গাড়ী চালিয়ে পিছনে ধাওয়া করেন। এ খেকে এক রোমান্টিক প্রেম শুরু হয় । নায়িকা হলেন আজকের গায়িকা ছেন হোং আর নায়ক ছেন হোংয়ের স্বামী , এ থেকে ছেন হোংয়ের সুখী জীবন শুরু হয় ।এখন স্বামীস্ত্রী দুজনের এক আদুরে ছেলে আছে । আমরা আশা করি ছেন হোংয়ের গান দিনদিন আরও সুন্দর হবে আর তার জীবন অধিক থেকে অধিকতর সুখী হবে।
|