v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-01-14 22:07:31    
চীনের মত্স্য সম্পদ এবং সুরক্ষা ব্যবস্থা

cri
    চীন একটি বিশাল দেশ। তার উপকূলরেখা দীর্ঘ। চীনে যেমন আছে পর্যাপ্ত মত্স্য সম্পদ আর মত্স শিকারের সুদীর্ঘ ইতিহাস, তেমনি আছে মত্স্য সম্পদের বিকাশের সুষ্ঠু ভিত্তি। মানচিত্র থেকে আমরা দেখতে পারি যে, চীনের দক্ষিণপূর্ব দিক ঘিরে রয়েছে পোহাই সাগর, হুয়াংহাই সাগর এবং পূর্ব চীন সাগর আর দক্ষিণ চীন সাগর। এ সব সাগরের জলসীমার আয়তন প্রায় ৩৫ লক্ষ ৪০ হাজার বর্গকিলোমিটার অর্থাত্ স্থলভূমির আয়তনের শতকরা ৩৭ ভাগের সমান। এর মাঝে আট লক্ষ ১৮ হাজার নটিক্যাল বর্গ মাইলের জলসীমায় মাছ ধরা যায়। চীনে দু'হাজারেও বেশী ধরনের সামুদ্রিক মাছ আছে, চীনে প্রায় দুশো ধরনের অর্থকরী মাছ আছে। তা ছাড়া, চীনে অজস্র নদ-নদী, হ্রদ, পুকুর আর জলাধার আছে, মিঠা পানির আয়তন এক কোটি ৭৪ লক্ষ ৭০ হাজার হেক্টর, চীনে আট শোরও বেশী ধরনের মিঠা পানির মাছ আছে, তাদের মধ্যে ৫০টিরও বেশী ধরনের অর্থকরি মাছ। ব্ল্যাক কার্প, রুই-জাতীয় কার্প, রুই মাছ প্রভৃতি চীনের বিশিষ্ট অর্থকরি মাছ। এ সব মাছকে " পরিবারের প্রধান মাছ" হিসেবে গণ্য করা হয়।

    যদিও চীনের পর্যাপ্ত মত্স্য সম্পদ আছে, তবু মাছের রকমারিতার সংখ্যা কমে গেছে, বিশেষ করে নিকটবর্তী সাগরের মত্স্য সম্পদ ক্রমহ্রাসমান অবস্থায় রয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে মাছ-ধরা জাহাজের দ্রুত বৃদ্ধি এবং অতিমাত্রায় মত্স চাষ মত্স সম্পদ হ্রাসের প্রধান কারণ। অধিকন্তু, গত কয়েক বছর ধরে, শহরে লোক-সংখ্যার বৃদ্ধি এবং শিল্পের উন্নতি ফলে শহরগুলো থেকে ছুঁড়ে ফেলা ময়লা পানি আর দূষিত শিল্প বর্জ্যের পরিমাণ অতিরিক্তভাবে বেড়ে যাওয়ায় মাছ ধরার জলসীমা গুরুতরভাবে দূষিত হয়েছে। মত্স্য সম্পদ আর প্রাকৃতিক পরিবেশের সংরক্ষণ জোরদার করার জন্য এবং টিনজাদ মত্স্যের অব্যাহত বিকাশ তরান্বিত করার জন্য চীন সরকার বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে এবং বিভিন্ন মাত্রায় সাফল্যও অর্জিত হয়েছে। এ সব পদক্ষেপের মধ্যে একটি প্রসংশনীয় উদ্যোগ হলো "গ্রীষ্মকালে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা"।

    "গ্রীষ্মকালে মাছ ধরা নিষিদ্ধ-করণ ব্যবস্থা" বলতে প্রত্যেক বছরের জলাই আর আগস্ট মাসে অর্থাত্ ২৭ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশের উত্তর দিকের পূর্ব হুয়াংহাই সাগরীয় অঞ্চলে মাছ ধরা নিষিদ্ধ বোঝায়। ১৯৯১৫ সালে এই ব্যবস্থা চালু হয়। এই ব্যবস্থা কার্যকরী করার পর চীন লক্ষ্যনীয় সাফল্য অর্জিত হয়েছে।

    গত তিন বছরের জুলাই আর আগস্ট মাসে পূর্ব সাগরের প্রধান প্রধান অর্থকরি মাছ প্রজাতির জীবতত্ত্ব সম্বন্ধে চীনের মত্স্য গবেষণা আর ব্যবস্থাপনা বিভাগের জরীপ অনুযায়ী, পূর্ব সাগর অঞ্চলে যে সব পোনা মাছ ধরা হয়েছিলো তার অধিকাংশ হচ্ছে ছুরি-মাছ, চান্দা মাছ আর ছোট হলুদ-ক্রোকার প্রভৃতি। এর অর্থ এই যে, "গ্রীষ্মকালে মাছ ধরা নিষিদ্ধ-করণ ব্যবস্থা" কার্যকরী হওয়ার তিন বছরে পোনা মাছ উত্পাদনের সময় আর অবকাশ দেয়া হয়েছে এবং ছুরি মাছ অর্থাত্ প্রধান অর্থকরি পোনা মাছের সম্পদ কার্যকরভাবে রক্ষা করা হয়েছে, যার ফলে নিকটবর্তী সাগরের মত্স্য সম্পদের সংরক্ষণ হয়েছে। এ সব থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে, চীনের বর্তমান পরিস্থিতিতে "গ্রীষ্মকালে মাছ ধরা নিষিদ্ধ ব্যবস্থার" প্রবর্তন সামুদ্রিক মত্স্য সম্পদ রক্ষার জন্য সবচেয়ে কার্যকর পদক্ষেপগুলোর অন্যতম।