লি সি কুয়াং চীনের ভুতত্ব বিদ্যার অন্যতম পথিকৃত। তিনি ভুতাত্বিক শক্তি বিদ্যার প্রবর্তক। তিনি চীনের পেটোলিয়াম শিল্প উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে গেছেন।
তরুন বয়সে বিজ্ঞানের সাহায্যে দেশের উন্নয়ন সাধনের সংকল্প নিয়ে লি সি কুয়াং বৃটেনের বার্মিংহাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভুতত্ববিদ্যা অধ্যয়ন করতে যান।বিশের দশকের প্রথম দিকে পড়াশোনা শেষ করে তিনি চীনে ফিরে আসেন। তিনি চিনের পাহাড়ী অঞ্চলে গিয়ে নানা রকমের পাথর আর প্রাচীন জীবজন্তুর জীবাশ্ম সংগ্রহ করেন। তিনি প্রথম চতুর্থ যুগে চীনের হিমবাহের ধ্বংসাবশেষ আবিস্কার করেন। তাঁর নিলরস প্রচেষ্টায় চীনের ভুস্তর চতুর্থ যুগের হিমবাহ বিষয়ক গবেষনার সূএপাত হয় ।
তিরিশের দশকের প্রথম দিকে লি সি কুয়াং নদনদী অতিক্রম করে ছিনলিন আর নানলিং পর্বেত গিয়ে ভুতাত্বিক তদন্ত চালান এবং ভুস্তরের বৈচিত্র্য পর্যবেক্ষণ করেন। তিনি প্রথিবীতে প্রথম ভুতাত্বিক গাঠামোগত তত্ব প্রবর্তন করেন।
১৯৫৩ সালে লি সি কুয়াং চীনের ভুতাত্বিক কাঠামো উপস্থাপনা করেন। ১৯৬৪ সালে তাঁর নেতৃত্বে চীনের ভুতাত্বিক তদন্ত দল লিয়াও সং সমতল ভুমি আর হুয়াপেই সমতল ভুমিতে পেটোলিয়া অনুমন্ধানের কাজ চকলাতে শুরু করেন। কয়েক বছর ধরে কঠোর প্রচেষ্টা চালানোর পর তাছিং তৈল-ক্ষেত্র, সেংলি তৈল-ক্ষেত্র আর তা গাং তৈল-ক্ষেত্রা আবিস কৃত হয়েছে। লি সি কুয়াং ও অন্যান্য ভুতত্ব বিদদের মিলিত প্রচেষ্টায় চীনে ট্যাংষ্টেন,ক্রোমিয়াম, ইউনরেনিয়াম প্রভৃতি বিরল ধাতুর সন্ধানও পাওয়া গেছে। তাঁরা ভুগর্ভস্থ পানি আর ভুগর্ভস্থ তাপ উন্নয়নের ক্ষেত্রে বিরাট সাফল্য অর্জন করেছেন।
১৯৭০ সালে ৮১ বছর বয়ষ্ক লি সি কুয়াং একাধিকবার নদ-নদী ও পর্বতমালা ডিংগিয়ে ভুকম্প উপদ্রুত এলাকায় গিয়ে তদন্ত চালিয়োছিলেন এবং ভুকম্প সমপকিত অনেক গুরুত্বপূর্ণ প্রবন্ধ লিখেছিলেন।
|