বাংলাদেশের ময়মনসিংহ জেলার রসুলপুর গ্রামের নেপচুন রেডিও ফ্রেন্ডস ক্লাবের পরিচালক মোঃ লুত্ফর রহমান সরকার আমাদের বিভাগের ৮জন নবীন কর্মীর যোগদান উপলক্ষ্যে শ্রদ্ধাভিনন্দন লিখে পাঠিয়েছেন।
হে নবীন,
বর্ষার বিদায়ের মূর্চ্ছনা অবিরাম বর্ষনের সাথে এক হয়ে মিশে গেছে। ভ্রাম্যমান জীবনের গতিপথে কোথাও একটু দাঁড়িয়ে ক্ষনিকের তরেও বিশ্রাম নেবার অবকাশ আমাদের নেই। জীবনের বেশ কিছু পথ পেরিয়ে আজ তোমরা এসেছ আমাদের মাঝে। শ্রোতা হৃদয়ের সবুজ শ্যামলাম্বরে আমাদের মহাসমাবেশে তোমাদের আগমন বাতাসে রং ছড়িয়েছে। প্রাপ্তির আনন্দে আমরা আজ উদ্বেলিত। চাঁদনী রাতে যেন লালপরী, নীলপরী টুকটুকে সাজে আমাদের জয়ের মিছিলে যোগ দিয়েছে। অনাড়ম্বর অথচ প্রানবন্যায় উদ্বেল এ তিথি ভাস্বর হোক সবার জীবনে। প্রেমের সুললিত মাধুর্য, তোমাদের হাস্যরসের ধারায় আমরা আত্মা দিয়ে অনুভব করছি। প্রাপ্তির প্রবল আবেগের কাছে আমাদের ভাষা হয়ে গেছে আজ দুর্বল। তোমরা আমাদের আবেগে আপ্লুত হৃদয়ের স্বতস্ফূর্ত শ্রদ্ধা ও প্রাণঢালা অভিনন্দন গ্রহণ করো। মৈত্রীর এ বিশাল মিছিলে তোমাদের জানাই সু-স্বাগতম।
হে বন্ধু,
শরতের কাঁশফুলের সাথে একাত্ম হয়ে পৃথিবীর বুকচিরে আমরা হেঁটে যাব মৈত্রীর পথে। আমরা এক সাথে হৃদয় সাগরে অবগাহন করে আমাদের ভালোবাসা আর প্রত্যাশা ভাগাভাগি করে নেব। এক অদৃশ্য বিনিসূতোর বাঁধনে আজ আমরা মৈত্রীর বন্ধন রচনা করার প্রয়াস পেয়েছি। বিশ্বাস করি, এ তোমাদের আমাদের বিশাল হৃদয়ের মিলনের ফলাফল। প্রত্যাশার বিচ্ছুরিত আলোয় পথ চিনে চিনে আমরা সৌহার্দ্য , সশ্রীতি আর মৈত্রীর সেতুবন্ধ রচনা করব। বিশ্বের মৈত্রীর সোপানে এগিয়ে যাবো। তখন আজকের এ বিশাল প্রাপ্তি সাড়ম্বর সাজে জাজ্বল্যমান থাকবে আমাদের স্মৃতিশালায়।
হে কর্মী,
স্থিতিশীল বাংলা বিভাগ আজ তোমাদের পেয়ে গর্বিত। আনন্দ আর হাস্যকুলকুল স্নিগ্ক জলধারা আমাদের হৃদয়ে ঝর্নার মতো প্রবাহমান। বিশ্বাস করি, তোমাদের কুশলী হাতের পরশে বেতার আর শ্রোতা তথা চীন-বাংলাদেশ মৈত্রী সম্পর্কে প্রাণসঞ্চার হবে। ইথারে প্রতিনিয়ত আমাদের সুন্দর হৃদয়ের গভীর সুসম্পর্ক দৃঢ়তর হবে। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, বাংলা শ্রোতাদের স্থিতিশীল অভাব-অভিযোগগুলোর প্রতি তোমরা সমাধানসুলভ দৃষ্টি দেবে। মূল্যায়ন করবে আমাদের প্রতিটি নতুন প্রত্যাশা।
হে সাথী,
যান্ত্রিকযুগের যন্ত্রনাকাতর মানবতার বুকে তোমাদের সুন্দর প্রত্যাশা আশা ও আশ্বাসের বার্তা বয়ে আনবে, নিরাশার তমিশ্র অন্ধকারে বিদ্যুচ্ছটার মতো চমক সৃষ্টি করবে শান্তিময় প্রচেষ্টা, মানবতার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে সি আর আই এর সৃজনশীলতায়। সি আর আই বাংলা বিভাগ চত্ত্বর তোমাদের কলকাকলিতে মুখরিত। মুক্ত আকাশ, সবুজ প্রকৃতি, নীল দিগন্ত সবই যেন তোমাদের সাথে বাঙময় হয়ে উঠেছে। এ বিশাল পৃথিবীর দুই দেশের ভৌগোলিক সীমানাকে পরাজিত করে দু'দেশের মৈত্রী দূতেরা যে দৃপ্ত প্রত্যয় নিয়ে বিশাল মৈত্রী মিছিলে সামিল হয়েছে, তা তিল হতে তিলোত্তমা হয়ে ছড়িয়ে পড়ুক চতুর্দিকে। আমাদের সাধ আকাশের মতো সীমাহীন, কিন্তু সামর্থ্য সীমিত। তাই এ অনাড়ম্বর আয়োজনে তোমাদের জন্য অসীম শুভ কামনা। লাজনম্র নবীন তোমরা একদিন বিকশিত হবে সম্প্রীতির স্পর্শে।
কবির ভাষায়,
"আশ্চর্য বসন্তের নির্যাসে
মুখরিত ধরাতল
মহিমার স্নিগ্ধতায় ভাস্বর
প্রানের কলকোলা হলে বাঙ্ময়
হৃদয় নূতনেরে করে আহ্বান
এরই মুক্ত প্রাঙ্গনে উদার আলোয়।"
পরম করুনাময় তোমাদের মঙ্গল করুন ।
|