v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2005-01-07 14:30:37    
চীনে মৌমাছি পালন, মত্স চাষ ও সৌর শক্তি

cri
    তিন হাজার বছরেরও বেশী সময়ের আগেই চীনে মৌমাছি পালনের কাজ শুরু হয়। পৃথিবীতে চীনও একটি প্রধান মৌমাছি পালনকারী দেশ, যে দেশে মৌমাছি ও মৌমাছি পালনের উদ্ভিদের সংখ্যাপ্রকার বেশী। ১৯৯২ সাল থেকে চীনের মৌমাছি পালনের পরিমান, মধু ও রয়্যাল জেলির উত্পাদন ও রফতানির পরিমান বিশ্বের শীর্ষস্থান অধিকার করে আসছে। পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে চীনে মধুর উত্পাদন পরিমান দেড় লক্ষ টনেরও বেশী হয়েছে।

    গত ৫০ বছর ধরে চীনে মৌমাছি পালনের কাজ দ্রুতগতিতে প্রসারিত হয়েছে। মৌমাছি পালনের প্রযুক্তিও অনেক উন্নত হয়েছে এবং চীনে রয়্যাল জেলি প্রভৃতি মধু জাত দ্রব্য উত্পাদনের প্রযুক্তি সার্বিকভাবে জনপ্রিয় হয়েছে। গত ২০ বছর ধরে চীনে মৌমাছি পালনের কাজের উন্নয়ন আরো বেশি তরান্বিত করার জন্য চীনে প্রতি বছরই বেশ কিছু উন্নতমানের মধু জাত দ্রব্য উত্পালনকারী ঘাঁটি গড়ে তোলার খাতে অর্থ করাদ্দ করা হয়েছে। বর্তমানে চীনের দশটি প্রদেশে ৪০টিরও বেশী মধু জাত দ্রব্য উত্পাদনকারী ঘাঁটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ফলে মধু জাত দ্রব্যের উত্পাদন পরিমান ও গুনগত মান অনেক উন্নত হয়েছে। এর সংগে সংগে চীনে মধুজাত দ্রব্যের প্রক্রিয়াকরন শিল্পও দ্রুতগতিতে বেড়ে গেছে। এখন চীনে এক হাজারেরও বেশী শিল্প সংস্থায় নানা প্রকার মধুজাত দ্রব্য উত্পন্ন করা হচ্ছে।

    চীনের মৌমাছি পালন শিল্পজাত দ্রব্যের উপর আন্তর্জাতিক বাজারের চাতিদার পরিবর্তন মোকাবিলা করার জন্য চীন সরকার রফতানির উপর নির্ভর করার পরিবর্তে অব্যন্তরীন বাজারের উপর গুরুত্ব দিয়েছে।

    ১৯৭৮ সাল থেকে চীন সরকার চীনের মত্স চাষ শিল্পের উন্নয়নের কর্মসূচী ও নীতির ব্যাপারে পুনর্গঠনের কাজ চালিয়েছে। ১৯৯৯ সালে চীনের জলজদ্রব্যের উত্পাদন পরিমান ১৯৭৮ সালের তুলনায় সাত গুন বেড়ে ৪ কোটি ১০ লক্ষ টনে দাঁড়িয়েছে।

     পৃথিবীতে চীন একটিমাত্র দেশ, যে দেশে মত্স চাষের পরিমান মাছ ধরার পরিমানের চেয়ে বেশী। চীন সরকার সামুদ্রিক মত্স সম্পদ সংরক্ষনের উপর খুব গুরুত্ব দেয়। ১৯৯৫ সাল থেকে প্রতি বছরের গ্রীষ্মালের সবচাইতে গরম এই মাসের মধ্যে চীনের পূর্ব সাগর ও হোয়াং সাগরে সার্বিকভাবে মাছ ধরা নিষিদ্ধকরনের ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়।

    মৌমাছি পালন আর মত্স চাষের তুলনায় পৃথিবীতে সৌর শক্তি কাজে লাগানোর ব্যাপারে চীনের কোনো প্রাধান্য অর্জিত হয় নি। কিন্তু এই ব্যাপারে চীনের উন্নয়নের ব্যাপক অন্তর্নিহিত শক্তি আছে। চীনে প্রচুর সৌর শক্তির সম্পদ রয়েছে। দুই তৃতীয়াংশ অঞ্চলে বছরে মেঘমুক্ত ও উজ্জ্বল আবহাওয়ার সময় ২ হাজার ঘন্টার উপরে দাঁড়িয়েছে। প্রতিবছর চীনের মাটিতে যতটা সূর্য্যের তাপ গ্রহন করা হয়েছে, তার পরিমান ২৪ হাজার কোটি টন কয়লার সমান। সৌর শক্তি কাজে লাগিয়ে বিদ্যুত্ উত্পাদনের খরচ খুব বেশী তা সত্ত্বেও বিদ্যুতের অভাবের সমস্যা সমাধান করার জন্য চীনের কতকগুলো সীমান্ত এলাকায় ক্ষুদ্র আকারের সৌর শক্তিভিত্তিক বিদ্যুত্ উত্পাদনের ব্যবস্থা নির্মান করা হয়েছে। চীনে সৌর শক্তি কাজে লাগানোর ব্যাপারে সৌর শক্তির সাহায্যে হট ওয়টার হিটারের উত্পাদন পরিমানের দিক থেকে চীনের স্থান প্রথম।

    আন্তর্জাতিক উন্নতমানের তুলনায় চীনের সৌর শক্তির উন্নয়ন ও কাজে লাগানোর ক্ষমতার অনেক কম। বর্তমানে পৃথিবীতে সৌর শক্তিভিত্তিক ব্যাটারী বিক্রির পরিমান ১৭০ কিলোমেগাওয়াট ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু চীনে সৌর শক্তিভিত্তিক ব্যাটারী উত্পাদনের ক্ষমতা সাত্র ৪.৫ কিলোমেগাওয়াট। এই অবস্থা পরিবর্তনের জন্য চীনের জাতীয় বিদ্যুত্ কোম্পানি আর কতকগুলো তেল কোম্পানির সাহায্যে চীনে বিরাটকারের সৌর শক্তিভিত্তিক ব্যাটারী উত্পাদনের লাইন তৈরী করা হচ্ছে।