v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2004-12-31 16:15:03    
২৩০০ বছর আগে ফুটবল খেলা চীনে চালু ছিল

cri
    ফুটবল খেলা এখন বিশ্বের একটি জনপ্রিয় খেলায় পরিণত হয়েছে।অতীতে লোকেরা সর্বসম্মতভাবে মনে করতেন যে, ১৯ শতাব্দীর প্রথম দিকে বৃটিশ লোক আধুনিক ফুটবল খেলা আবিস্কার করেছিলেন।আসলে ২৩০০ বছর আগে ফুটবল খেলা চীনে চালু ছিল।ত্রয়োদশ এশিয় কার্প ফুটবল প্রতিযোগিতা চীনে চলাকালে আন্তজার্তিক ফুটবল ফেডারেশন নির্ধারন করেছে এবং আবার ঘোষণা করেছে যে, ফুটবল খেলা প্রথমে চীনে প্রচলিত ছিল।

    বর্তমানে ফুটবল হচ্ছে বিশ্বের একটি সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং প্রভাবসম্পন্ন খেলা।এই খেলাকে এমন কি বিশ্বের প্রথম ক্রীড়া হিসেবে গণ্য করা হয়।ফুটবলের উতপতি সম্বন্ধে মতান্তর আছে।তবে ঐতিহ্যিক ধারণায় মনে করা হয়েছে, আধুনিক ফুটবলের জন্মস্থান হলো বৃটেন।তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা চামরা সেলাই-করা এক ধরনের বল নিয়ে মাঠে খেলতো। ১৮৬৩ সালে ইংল্যান্ড ফুটবল সমিতি লন্ডনে প্রতিষ্ঠিত হয়।তখন থেকে এই ক্রীড়াকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফুটবল আখ্যায়িত করা হয়। তা ছাড়া ফুটবল খেলা সম্বন্ধে প্রাসংগিক নিয়ম-বিধি প্রণয়ন করা হয়।এ থেকে সাব্যস্ত হয়েছে যে , তখন থেকে আধুনিক ফুটবলের জন্ম হয়।১৮৮৬ সালে আন্তর্জাতির ফুটবল পরিষদের প্রথম অধিবেশনে বিশদভাবে ফুটবল প্রতিযোগিতার নিয়ম প্রণয়ন করা হয়েছে।এই নিয়ম-বিধিতে ষ্পষ্টভাবে নির্ধারন করা হয়েছে, গোলরক্ষক ছাড়া অন্য কোনো খেলোয়াড় হাত দিয়ে বল ষ্পর্শ করতে পারেন না।১৯০৪ সালে ফ্রানসের প্যারিসে আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। একটি ঐক্যবদ্ধ আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রভাবে ফুটবল খেলা সারাবিশ্বে ব্যাপকভাবে চালু হয়েছে।

    আজ পর্যন্ত ফুটবল খেলার অনেক উন্নতি হয়েছে।লোকেরা আবার ফু্টবলের সর্বপ্রথম উতপতির কথা উল্লেখ করেছেন।বিভিন্ন দেশের এতিহাসবিদরা পরীক্ষানীরিক্ষা চালানোর পর আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন স্পষ্টভাবে জবাব দিয়েছে।এ বছরের চৌঠা ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন ঘোষণা করেছে যে, চীন হলো ফুটবলের জন্মস্থান।প্রাচীকালে চীনের ছুশিয়ে ছিল ফুটবলের আদি রুপ।

    চীনের প্রাচীণকালের ঐতিহ্যিক তথ্যগুলোতে লিপিবদ্ধ করা হয়েছে যে, ছুশিয়ে প্রথমে দেখা দিল চীনের বসন্ত শরত যুগের ছি রাজ্যের সেনাবিহিনীতে।ছুশিয়ে খেলার মাধ্যমে সৈন্যদের সাড়া দেয়ার ক্ষমতা আর কৌশল বাড়ানো হয়।আবার যারা সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেয় তারা এই খেলা জনসাধারণের মধ্যে আবার জনপ্রিয় করে তোলেন।খৃষ্টপুর্ব ৩০০ বছরের কাছাকাছি সময়ের যুদ্ধমান-রাজ্যসমূহের যুগে ছুশিয়ে তত্কালীণ ছি রাজ্যের সর্বজনপ্রিয় খেলা ছিল।

    চীনের পন্ডিতরা মনে করেন, ছুশিয়ে নিয়ে গবেষণা করা আধুনিক ফুটবলের উন্নতির জন্য হিতকর।চীনের সমাজ বিজ্ঞান এক্যাডেমির প্রতনবিদ্যা গবেষণালয়ের গবেষক মিস্টার বাই ইয়েন শান বলেছেন,

    আমাদের পূর্বপুরুষরা ফুটবল আবিস্কার করেছেন এবং ছুশিয়ে খেলার কৌশল আর প্রতিযোগিতা চালানোর নিয়ম আবিস্কার করেছেন।আধুনিক ফুটবলের উন্নতির জন্য আমাদের পুর্বপুরুষরা ভিতি স্থাপন করেছেন।মানব জাতির সভ্যতার জন্য এটা হলো প্রাচীন চীনের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান।আমরা এর জন্য গর্বিত বোধ করি।আমাদের বিশ্বাস, ফটবলের উন্নয়নের ঐতিহ্যিক উতপতি ভালোভাবে উপলদ্ধি করা চীনের ফুটবলের উন্নতি এবং চীনের ক্রীড়া ও সংস্কৃতির উন্নতির অনুকুল।

    তার এই ধারণা চীনের ক্রীড়া মহলের কর্মকর্তাদের সমর্থন পেয়েছে।চীনের রাস্ট্রীয় ক্রীড়া অধিদফতরের সাহিত্য ও ইতিহাস কমিটির পরিচালক ইয়ান দা রেন বলেছেন,

    বিশ্বের ফুটবলের জন্মস্থান হলো চীন। এখন আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন আর এশিয় ফুটবল ফেডারেশনের সংসলিষ্ট ব্যক্তিদের মনোযোগ হলো, চীনের কোন জায়গা হলো ফুটবলের জন্মস্থান? এখন প্রমাণিত হয়েছে, চীনের শানডোং প্রদেশের লিজি হচ্ছে ফুটবলের জন্মস্থান। এ কথা বলা যায় যে, সারা চীনের ক্রীড়া সংক্রান্ত ইতিহাসবিদ, প্রতনবিদ্ আর পন্ডিতদের যৌথ উদ্যোগে চীনের ফুটবলের জন্মস্থান সম্বন্ধে গবেষণার কাজ সম্পন্ন হয়েছে।এ থেকে প্রতিপন্ন হয়েছে, প্রাচীন চীন মানব জাতির সভ্যতার জন্য অবদান রেখেছে।আমরা আশা করি, এ সুযোগ নিয়ে চীনের ফুটবলের উন্নতি আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে।

    ফুটবল সম্বন্ধে চীন পক্ষের প্রমাণ আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশনের স্বীকৃতিও পেয়েছে।গত ৮ই মে এশিয় ফুটবল ফেডারেশনের ৫০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত একটি উদযাপনী অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার সময়ে আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশরের চেয়ারম্যান ব্ল্যাটার চীনের ফুটবল ফেডারেশনের কাছে ফুটবলের জন্মস্থান চীন প্রতীক বিতরণ করেছেন।এশিয় ফুটবল ফেডারেশনের মহা সচিব ভেলাপান বলেছেন,

    আমি চীনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি ।কারণ চীন হলো ফুটবলের জন্মস্থান।অতীতের একটি ছোট আকারের খেলা এখন একটি বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় খেলায় পরিণত হয়েছে।আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন আর এশিয় ফুটবল ফেডারেশন স্বীকৃতি দিয়েছে ,চীনের শানডোং প্রদেশের লিনজি ফুটবলের জন্মস্থান।আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন , এশিয় ফুটবল ফেডারেশন এবং চীনের ফুটবল ফেডারেশন লিজি অঞ্চলের সংগে সহযোগিতা করবে।সেখানে এটি ফুটবল স্মরক ভবনও প্রতিষ্ঠিত হবে।