v চীন আন্তর্জাতিক বেতারv বাংলা বিভাগv চীনের বিশ্ব কোষ
China Radio International
চীনা সংবাদ
বিশ্ব সংবাদ
চীনের কণ্ঠ
সংবাদ ব্যক্তিত্ব
সংবাদের প্রেক্ষাপট
নানা দেশ
কুইজ
আবহাওয়া

মহা মিলন ২০০৮ পেইচিং অলিম্পিক গেমস

ভয়াবহ ভূমিকম্প দক্ষিণ-পশ্চিম চীনে আঘাত হেনেছে

লাসায় ১৪ মার্চ যা ঘটেছিল

ইয়ুন নান প্রদেশ

দক্ষিণ এশিয়া

তৃতীয় নয়ন
আরো>>
(GMT+08:00) 2004-12-30 09:29:41    
মানব জেনোসের ক্রম জরীপের কাজ সম্পন্ন হবে

cri
    মানব জেনোসের গবেষণা হচ্ছে মানুষের বড় হয়ে উঠা, জরাগ্রস্ত হওয়া ও বংশানুক্রমিক রোগ ইত্যাদি বহু রহস্যময় তথ্য উদ্ঘাটনের বুনিয়াদী প্রকল্প। এই কাজ বরাবরাই বিভিন্ন ব্যাপক মনোযোগ্য আকর্ষণ করেছে। প্রায় দুই বছর আগে আন্তর্জাতিক মানব জেনোম পরিকল্পনা সংস্থা ঘোষণা করেছে যে,মানব জেনোমের ক্রম জরীপের ৮৫ শতাংশ কাজ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এই পরিকল্পনা সংশ্লিষ্টকাজের যথার্থতার হার বাড়ানোর চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রবেশ করেছে।

    মানবজাতির মোট তেইশটি ক্রোমোসোম আছে। আমরা এই তেইশটি ক্রোমোসোমের মধ্যেকার ডি.এন.এ.'র সম্ষ্টিকে মানব জেনোম বলে ডাকি।

    প্রজননশাস্ এ অনুযায়ী, জীবদেহের প্রজনন তথ্য ক্রোমোসোমের ডি.এন.এ.'র মাধ্যমে প্রেরিত হয়।মানব ক্রোমোসোমের ডি.এন.এ. চারধরণের উপাদান নিয়ে গঠিত। তাদের ক্রম আলাদা বলেই প্রজনন তথ্যেরও তারতম্য দেখা যায়। চীনের জাতীয় মানব জেনোমের উত্তরাঞ্চলীয় গবেষণা কেন্দ্রের পরিচালক চাং পো ছিন বলেছেন, মানব জেনোম গবেষণার সুগভীর গুরুত্ব আর তাত্পর্য্য আছে।

    "মানব জেনোমে মোট তিন বিলিয়ন ডি.এন.এ. লেটার্স আছে। এগুলোতে মানবজাতির রহস্য নিহিত আছে।মানব জেনোম পরিকল্পনার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে মানব জেনোমের এই তিন বিলিয়ন ডি.এন.এ.'র ক্রম জরীপ করা এবং মানব জেনোমের গঠন ও ক্ষমতা কল্পনা করে সার্বিকভাবে মানব দেহের তথ্য জানা ও মানুষের জীবনের প্রকৃতি উদ্ঘাটন করা।"

    মানব জেনোম গবেষণার আরেকটি লক্ষ্য হচ্ছে মানবজেনোমের একটি পূণাংগ চিত্রাবলী তৈরী করা। এই চিত্রাবলী ঠিক যেন প্রত্যেকটি লোকের শরীরের কোষের ডি.এন.এ. লেটার্সের যথার্থ ক্রম প্রতিঠলনকারী মানচিত্রের মতো। এমন একটি চিত্রাবলী তৈরী করা যে কত দুঃসাধ্য কাজ তা কল্পনা করাই যায় না। এজন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বৃটেন, ফ্রান্স, জার্মানি ও চীন এই পাঁচটি দেশের এক হাজারেরও বেশী সেরা বৈজ্ঞানিক এই গবেষণার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।

    মানব জেনোম পরিকল্পনা প্রবর্তিত হয় ১৯৮৯ সালে। চীন ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে এই পরিকল্পনায় অংশ নিয়েছে এবং এপর্যন্ত এই পরিকল্পনায় অংশগ্রহণকারী একমাত্র উন্নয়নমুখী দেশ। চীনের বৈজ্ঞানিকরা মাত্র আধা বছরের একটু বেশী সময়ের মধ্যেই নিজের কর্তব্য সম্পন্ন করেছে।

    চীনের জাতীয় মানব জেনোম উত্তরাঞ্চলীয় অংশ নেয়া চীনের জেনোম গবেষণার একংশ মাত্র। চীনের জেনোম পরিকল্পনা ১৯৯৪ সালে শুরু হয়।তখন চীন সরকার ধানের জেনোমের গবেষণাকে সমর্থন করেছে। সারা দেশের বারোটি গ্রুপ মিলিতভাবে গবেষণা চালিয়ে চার বছরের মধ্যে গোটা ধানের জেনোমের চিত্রাবলী তৈরী করেছে।

    মানব জেনোম পরিকল্পনায় অংশ নেয়ার আগে চীন প্রধানত: অসুকবিসুখের জেনোম ও গুরুত্বপূর্ণ জীবের জেনোমের ওপর গবেষণা চালিয়েছে। এভাবে অপেক্ষাকৃত কম ব্যয়ে আংশিক ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক উন্নত মানের নাগাল পাওয়া ও তা ছাড়িয়ে যাওয়া যায়। চাং পো ছিন বলেছেন:

    "কয়েক বছরের গবেষণার পর আমরা বংশানুক্রমিক রোগ,যেমন লিওকেমিয়া বা রক্তের ক্যান্সার যকৃতের ক্যান্সার, নানামারন্ধ্রের ব্যান্সার, খাদ্যনালীর ক্যান্সার ইত্যাদি আনুষংগিক জেনোমের গবেষণায় উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে।"

    বর্তমানে চীনের বৈজ্ঞানিকরা চীনের সংখ্যালঘু জাতি, বিভিন্ন অঞ্চলের বিভিন্ন জাতির লোকদের জেনোমের গবেষণা চালাচ্ছে।