|
|
(GMT+08:00)
2004-11-12 09:33:36
|
|
ওলিপিক ইতিহাসের প্রথম মারাথন চ্যাম্পীয়ন গ্রীসের ক্রীড়াবিদ স্পাইরিদন লুইস
cri
পরিবারের অবস্থা সচ্ছল নয় বলে ছোটবেলা থেকে স্পাইরিদন লুইসকে পিয়ং হিসেবে কাজ করতে হবে।প্রত্যেক দিন চিঠিপত্র পোছতে অনেক দুর দৌড়তে হয় বলে তার দূর-পাল্ল দৌড়ের ক্ষমতা আপনা-আপনি বেড়ে যায়।১৮৯৬ সালে তিনি এথেন্সে আয়োজিত প্রথম ওলিপিক গেমসের মারাথন দৌড় প্রতিযোগিতায় যোগ দেন। প্রাচীন গ্রীসের একজন বীরকে স্মরণ করার জন্য মারাথন দৌড় প্রতিযোগতা ইভেন্টের জম্ম হয়। গ্রীসের দৌড়বিদ এই ইভেন্টের শীরোপা অর্জন করে গ্রীস জাতির উজ্জ্বলতা পুণরায় দেখানো গ্রীসের সকল জনগণের আশা-আকাংক্ষা হয়ে দাঁড়িয়েছে।উপরন্তু দৌড়-ঝাঁপ-নিক্ষেপের অন্যান্য ইভেন্টে শীরোপা পেতে পারেন এমন লোক নেই। জাতীয় আতমযার্দার টানে গ্রীসরা সবশেষ ইভেন্ট---মারাথন প্রতিযোগিতার উপর নির্ভর করেন।চাঁরটি দেশের ১৭জন দৌড়বিদ মারাথন প্রতিযোগিতায় যোগ দেন।মাঝথে স্পাইরিদন লুইস বেশী প্রাধান্য দেখাননি।কিন্তু অর্ধেক পথ পার হওয়ার পর তিনি সকলের আগে এগিয়ে যান।যখন তিনি প্রথমে স্ট্যাডিয়ামে ছুটে পড়েন, তখন উপস্থিত গ্রীসী দর্শকরা উল্লাসে মেতে উঠলেন।উল্লাসের আওয়াজে আকাশ মুখরিত হয়।উতেজিত হয়ে গ্রীসের রাজকুমারী তার সংগে শেষ রান্ডের দৌড় সম্পন্ন করেন।রাজাও উপরে থীতিদের আসন থেকে সরিয়ে নিচে নেমে তাকে স্বাগত জানান।অবশেষে স্পাইরিদন লুইস ২ ঘন্টা ৫৮ দশমিক ৫০ সেকেন্টে আধুনিক ওলিপিক গেমসের ইতাহাসে প্রথম মারাথন চ্যাম্পীয়ন অর্জন করেন।তিনি রাতারাতি গ্রীসের জাতীয় বীরে পরিণত হন। ওলিপিক গেমসের পর তিনি আবার পিয়ং হিসেবে কাজ করেন।১৯৩৬ সাল বার্লিন ওলিপিক গেমসে তিনি বিশেষ অথীতি হিসেবে উপস্থতিত ছিলেন।তখন তাঁর বয়স ৬৪।১৯৪০ সালের ২৬শে মার্চ তিনি মারা যান। তাকে স্মরণ করার জন্য তিনি যাওয়ার পর, গ্রীস সরকার তাঁর সমাধির সামনে মার্বল চাকতি স্থাপন করেছে।এই চাকতিতে ওলিপিকের পাঁচ রং প্রতীক খোদাই করা হয়।
|
|
|